আগুন
বারান্দা থেকে উবে যাচ্ছে চৌকাঠ
অন্যদিকে আড়াল। ডাকনাম ধরে আজও...
মাঝরাতের নাবিক জানে না খুব ধীরে শিল্পী হচ্ছে সে প্রতিদিন
এই ডাক আর যোগ এসব একদিন হঠাৎ জ্বলে উঠবে
আনাচেকানাচে জোনাকিরা জীবিত হয়ে যাবে আচমকা
তারপর...
কতকিছু। আগুনের পাশে এসে বসেছে মৌমাছি
একটি সম্পূর্ণ বাক্য - ঐতিহাসিকও
মেঘ
ঠিকানা জমাতে জমাতে ডাকঘর হয়ে গেল।
সামনে চিঠি কালিপেন রুলটানা খাতা
আড়ালঘরে ঘোমটা অবসাদ উল্লাস। সাদা বক।
অন্তহীন যাত্রার মাঝ বরাবর এসব ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে সেই মেয়েটা
...যে দুটো লম্বা বিনুনী দুলিয়ে ঘরময় ছড়িয়ে রাখত বালিশের তুলো
মেঘনাদ আর মেঘ তাহলে কি সমানুপাতিক সম্পর্কযুক্ত?
পাখি
অনবরত, চুঁইয়ে পড়ছে কার্নিশ ঘেঁষে
আমি বললাম কি? তুমি বলেছিলে "তোমার স্পর্শনাম"
কত সহজে লম্বা চুলগুলো কেটে ফেলে মেয়েটা বিছানায় এলিয়ে ফেলছে মাথা
এখন পাথর অনেক মসৃণ, বিকেল সাদা পায়রার মত বকম বকম
নিথর চোখে আলগা হয়ে লেগে থাকা আলো, ক্রমাগত গাঢ়...
তুমি আসো।লাইট জ্বালাও।
ডানাপাখনা আর কিছুটা তরল ভাইব্রেশন পুষে রাখা মেয়েটা মিইয়ে যায় গোপন ডেরায়...