১.
জানাজার নামাযের নিয়ত:
نَوَيْتُ اَنْ اُؤَدِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتِ
صَلَوةِ الْجَنَا زَةِ فَرْضَ الْكِفَايَةِ وَالثَّنَا ءُ لِلَّهِ تَعَا لَى وَالصَّلَوةُ
عَلَى النَّبِىِّ وَالدُّعَا ءُلِهَذَا الْمَيِّتِ اِقْتِدَتُ بِهَذَا الاِْمَامِ مُتَوَجِّهًا
اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
নিয়তের
বাংলা উচ্চারণ: "নাওয়াইতু আন উয়াদ্দিয়া লিল্লাহে
তায়ালা আরবা আ তাকবীরাতে ছালাতিল
জানাজাতে ফারজুল কেফায়াতে আচ্ছানাউ লিল্লাহি তায়ালা ওয়াচ্ছালাতু আলান্নাবীয়্যে ওয়াদ্দোয়াউ লেহাযাল মাইয়্যেতে এক্কতেদায়িতু বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতে আললাহু আকবার।"
জানাজার নামাযের ছানা
নিয়তে
তাকবীরে তাহরিমা অর্থাৎ, আল্লাহু আকবার বলার পর হাত তুলে
তারপর অন্যান্য নামাজের মতো হাত বেঁধে নিতে হবে। হাত বেধে সানা পড়তে হবে।
আরবিতে
সানা:
سُبْحَا نَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَا
لَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلاَ اِلَهَ غَيْرُكَ
বাংলা
উচ্চারণ:
"সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারা কাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা, ওয়া জাল্লা ছানাউকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।"
যে দোয়ায় জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়
رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا ، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا ، وَبِمُحَمَّدٍ
رَسُولًا
উচ্চারণ : ‘রাদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’।
সূরা মুলক বাংলা উচ্চারণ
(বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম)
(১)
তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
(২)
আল্লাযী খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়া-তা লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহছানু‘আমালাওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আঝীঝুল গাফূর।
(৩)
আল্লাযী খালাকা ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফী খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল
বাসারা হাল তারা- মিন ফুতূর।
(৪) ছু
ম্মার জি’ইলবাসারা কাররাতাইনি
ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া
হুওয়া হাছীর।
(৫)
ওয়া লাকাদ ঝাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বীহা ওয়াজা’আলনা- হা- রুজূমাল লিশশায়া-তীনি ওয়া আ’তাদনা- লাহুম
‘আযা- বাছছা’ঈর।
(৬)
ওয়া লিল্লাযীনা কাফারূবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুজাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসীর।
(৭) ইযাউলকূফীহা-
ছামি’উ লাহা- শাহীকাওঁ
ওয়াহিয়া তাফূর।
(৮)
তাকা- দুতামাইয়াঝুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফীহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাযীর।
(৯)
কা- লূবালা- কাদ জাআনা- নাযীরুন ফাকাযযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাঝঝালাল্লা- হু মিন শাইয়িন
ইন আনতুম ইল্লা- ফী দালা- লিন
কাবীর।
(১০)
ওয়া কা-লূলাও কুন্না-
নাছমা’উ আও না’কিলুমা- কুন্না-ফীআসহা-বিছছা’ঈর।
(১১)
ফা’তারাফূবিযামবিহিম ফাছুহক্বললিআসহা-বিছ ছা’ঈর।
(১২)
ইন্নাল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবীর।
(১৩)
ওয়া আছিররূকাওলাকুম আবিজহারূবিহী ইন্নাহূ’আলীমুম বিযা- তিসসুদূ র।
(১৪)
আলা- ইয়া’লামুমান খালাকা ওয়া হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর।
(১৫)
হুওয়াল্লাযী জা’আলা লাকুমুল
আরদা যালূলান ফামশূফী মানা-কিবিহা- ওয়া কুলূমির রিঝকিহী ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
(১৬)
আ আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামূর।
(১৭)
আম আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা’লামূনা কাইফা নাযীর।
(১৮)
ওয়া লাকাদ কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা- না নাকীর।
(১৯)
আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম সাফফা-তিওঁ ওয়াইয়াকবিদন । মাইউমছিকুহুন্না ইল্লাররাহমা-নু
ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িম বাসীর।
(২০)আম্মান হা-যাল্লাযী হুওয়া
জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দূ নিররাহমা-নি
ইনিল কাফিরূনা ইল্লা- ফী গুরূর।
(২১)
আম্মান হা- যাল্লাযী ইয়ারঝকুকুম ইন আমছাকা রিঝকাহূ
বাল্লাজ্জূফী ‘উতুওবিওয়া নুফূর।
(২২)
আফামাইঁ ইয়ামশী মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহী আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশী ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিমমুছতাকীম।
(২৩)
কুল হুওয়াল্লাযীআনশাআকুম ওয়া জা‘আলা লাকুমুছছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা
কালীলাম মা-তাশকুরূন।
(২৪)
কুল হুওয়াল্লাযী যারাআকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারূন।
(২৫)
ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া’দুইন কুনতুম সা-দিকীন।
(২৬)
কুল ইন্নামাল ‘ইলমু’ইনদাল্লা- হি ওয়া ইন্নামাআনা
নাযীরুম মুবীন।
(২৭)
ফালাম্মা-রাআওহু ঝুলফাতান ছীআত ঊজূহুল্লাযীনা কাফারূওয়া কীলা হা-যাল্লাযী কুনতুম
বিহী তাদ্দা’ঊন।
(২৮)
কুল আরাআইতুম ইন আহলাকানিয়াল্লা-হু ওয়া
মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ
ইউজীরুল কা-ফিরীনা মিন
‘আযা-বিন আলীম।
(২৯)
কুল হুওয়াররাহমা-নুআ-মান্না-বিহী ওয়া’আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা’লামূনা মান হুওয়া ফী দালা-লিম
মুবীন।
(৩০)
কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম
গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তীকুম বিমাইম মা’ঈন।
সূরা
মূলক বাংলা অর্থ
“পরম
করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি”
(১)বরকতময় তিনি
যার হাতে সর্বময় কর্তৃত। আর তিনি সব
কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।
(২)যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি
করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে
আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী,
অতিশয় ক্ষমাশীল।
(৩)
যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোনো অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি?
(৪)অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই
দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে
তোমার দিকে ফিরে আসবে।
(৫)আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপঞ্জু দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য
প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আজাব।
(৬)আর যারা তাদের
রবকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব। আর কতইনা নিকৃষ্ট
সেই প্রত্যাবর্তনস্থল!
(৭)যখন তাদেরকে তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তারা তার বিকট শব্দ শুনতে পাবে। আর তা উথলিয়ে
উঠবে।
(৮)
ক্রোধে তা ছিন্ন ভিন্ন
হবার উপক্রম হবে। যখনই তাতে কোনো দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তার প্রহরীরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোনো সতর্ককারী
আসেনি’?
(৯)
তারা বলবে, ‘হ্যা, আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল। তখন আমরা (তাদেরকে) মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কিছুই নাজিল করেননি। তোমরা তো ঘোর বিভ্রান্তিতে
রয়েছ’।
(১০)
আর তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বুঝতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের মধ্যে থাকতাম না’।
(১১)অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। অতএব, ধ্বংস জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের জন্য।
(১২)
নিশ্চয় যারা তাদের রবকে না দেখেই ভয়
করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় প্রতিদান।
(১৩)
আর তোমরা তোমাদের কথা গোপন কর অথবা তা
প্রকাশ কর, নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহে যা আছে সে
বিষয়ে সম্যক অবগত।
(১৪)যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না?
অথচ তিনি অতি সূক্ষদর্শী, পূর্ণ অবহিত।
(১৫)
তিনিই তো তোমাদের জন্য
জামিনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে-প্রান্তরে
বিচরণ কর এবং তাঁর
রিজিক থেকে তোমরা আহার কর। আর তাঁর নিকটই
পুনরুত্থান।
(১৬)যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের সহ জমিন ধসিয়ে
দেয়া থেকে কি তোমরা নিরাপদ
হয়ে গেছ, অতঃপর আকস্মিকভাবে তা থর থর
করে কাঁপতে থাকবে।
(১৭)
যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের ওপর পাথর নিক্ষেপকারী ঝড়ো হাওয়া পাঠানো থেকে তোমরা কি নিরাপদ হয়ে
গেছ, তখন তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী?
(১৮)আর অবশ্যই তাদের
পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করেছিল। ফলে কেমন ছিল আমার প্রত্যাখ্যান (এর শাস্তি)?
(১৯)
তারা কি লক্ষ্য করেনি
তাদের উপরস্থ পাখিদের প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও গুটিয়ে নেয়?
পরম করুণাময় ছাড়া অন্য কেউ এদেরকে স্থির রাখে না। নিশ্চয় তিনি সব কিছুর সম্যক
দ্রষ্টা।
(২০)পরম করুণাময় ছাড়া তোমাদের কি আর কোনো
সৈন্য আছে, যারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে? কাফিররা শুধু তো ধোঁকায় নিপতিত।
(২১)
অথবা এমন কে আছে, যে
তোমাদেরকে রিজিক দান করবে যদি আল্লাহ তাঁর রিজিক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অহমিকা ও অনীহায় নিমজ্জিত
হয়ে আছে।
(২২)
যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখের ওপর ভর দিয়ে চলে
সে কি অধিক হেদায়াতপ্রাপ্ত
নাকি সেই ব্যক্তি যে সোজা হয়ে
সরল পথে চলে?
(২৩)বলো, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং
অন্তকরণসমূহ দিয়েছেন। তোমরা খুব অল্পই শোকর কর’।
(২৪)
বলো, ‘তিনিই তোমাদেরকে জমিনে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে সমবেত করা হবে’।
(২৫)আর তারা বলে,
‘সে ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
(২৬) বলো,
‘এ বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই নিকট। আর আমি তো
স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’।
(২৭)
অতঃপর তারা যখন তা আসন্ন দেখতে
পাবে, তখন কাফিরদের চেহারা মলিন হয়ে যাবে এবং বলা হবে, ‘এটাই হলো তা, যা তোমরা দাবী
করছিলে’।
(২৮)
বলো, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি’? যদি আল্লাহ আমাকে এবং আমার সঙ্গে যারা আছে, তাদেরকে ধ্বংস করে দেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া করেন, তাহলে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আজাব থেকে কে রক্ষা করবে’?
(২৯)বলো, ‘তিনিই পরম করুণাময়। আমরা তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর ওপর তাওয়াক্কুল করেছি। কাজেই তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে
রয়েছে’?
(৩০)
বলো, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভে চলে যায়, তাহলে কে তোমাদেরকে বহমান
পানি এনে দিবে’?
জুমার
দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার
দিন আসরের নামাজের পর না উঠে
ঐ স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে
উল্লেখিত দরুদ শরীফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ
মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল
ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে। দোয়াটি হলো-
আরবি
উচ্চারণ: اَللَّهُمَّ
صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسَلِّم تَسْلِيْمَا
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।
যদি খাবারের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে যায়, তাহলে বলবে, ‘বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩২৬৪)
খাবার
সামনে এলে যে দোয়া পড়বেন
আরবি
:
উচ্চারণ
: আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফিমা রাজাকতানা ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থ
: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যে জীবিকা দান
করেছেন, তাতে বরকত দিন এবং আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচান।
কবরের আজাব থেকে বাঁচার দোয়া
আল্লা-হুম্মা ইন্নি আউ-জুবিকা মিন
আ’জা-বিল ক্ববরি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি
আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই।
উত্তম
সন্তান অবশ্যই বাবা-মায়ের জন্য কল্যাণকর হয়ে থাকেন। তাদের জন্য দোয়া করে আখেরাতে সওয়াব পৌঁছান। তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। বলা বাহুল্য যে, কোনো সন্তান যখন মৃত বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করে, আল্লাহ তাদের নেয়ামত ও সুখ-শান্তি
আরও বাড়িয়ে দেন।
পবিত্র কোরআন শরিফে স্পষ্টতই বর্ণনা করা হয়েছে, আপনার মৃত বাবা-মায়ের জন্য আপনি কি দোয়া করবেন।
শান্তির দোয়া
মা-বাবার জন্য শান্তির দোয়া করা সন্তানের কর্তব্য। মা-বাবার অবদান
ও ভূমিকার বদলা সন্তান জীবনেও আদায় করতে পারবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন-
رَبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [الاسراء:
٢٤]
উচ্চারণ
: রাব্বির হামহুমা, কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।
অর্থ
: ‘হে আমার প্রতিপালক, তাদের উভয়ের প্রতি রহম করো; যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল : ২৪)
আরও
পড়ুন : মা-বাবার জন্য
যেসব আমল করবেন
ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া
আল্লাহ
তাআলা বাবা-মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি পবিত্র কোরআনে বলেন-
رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ
يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ٤١﴾ [ابراهيم: ٤١]
উচ্চারণ
: রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওমা
ইয়াক্বুমুল হিসাব।
অর্থ
: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! রোজ কিয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে
ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪১)
তিন.
মা-বাবাসহ অন্যদের জন্য দোয়া
উপরেল্লিখিত
দোয়া দুইটি ছাড়াও আরও একটা বিশেষ দোয়া রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বান্দাদের শিখিয়েছেন, যেন মৃত বাবা-মায়ের জন্য বিশেষভাবে তারা এই দোয়া করে-
رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا
وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا
٢٨ ﴾ [نوح: ٢٨
উচ্চারণ
: রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়া লিমান দাখালা বাইতিয়া মু’মিনা; ওয়ালিল
মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাত। ওয়ালা
তাজিদিজ জা-লিমিনা ইল্লা
তাবারা।
অর্থ
: ‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে
ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষদের ক্ষমা করুন এবং আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বাড়িয়ে
বাড়িয়ে দেবেন না।’ (সুরা নুহ, আয়াত : ২৮)
অতএব,
বাবা-মায়ের জন্য বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও প্রত্যেক মোনাজাতে বাবা-মায়ের নাম ধরে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিশেষভাবে জরুরি।
আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া
উচ্চারণ
: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া মিন আজাবিন্নারি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ্দাজ্জাল।
অর্থ
: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কবরের শাস্তি, জাহান্নামের শাস্তি, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা
ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।
উপকার : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) উল্লিখিত দোয়া পাঠ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ১৩৭৭)
জুম্মার দিনে বিশেষ আমল
১. উচ্চারণ: " লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হাক্কালু মালিকুল মুবিন"
২.
দিনে একবার হলেও পড়ুন
উচ্চারণ: " আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্না নিল্লাহ গাফুরুর রাহিম "
ছোট্ট দোয়া
উচ্চারণ :
"জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা- হুয়া আহলু"
পাহাড় পরিমাণ গুনাহ মাফ হয়ে যাবে
উচ্চারণ:
" রাব্বিগ ফিরলি জুন-বি"
যেকোনো মুনাজাতের মধ্যে পাঁচটি নাম আমল করলে মোনাজাত কবুল হবে ইনশাআল্লাহ।
উচ্চারণ:
১.
আল্লাহ ২. আল হাইয়্যুল
৩. আল কাইয়ুম
৪.
আর- রহমান ৫. আর-রাহিম
৬.
আল্লাহর নাম পাঁচটি পড়ুন
ইয়া
আল্লাহ
ইয়া
রহমান
ইয়া
রাহিম
ইয়া
হাদী
ইয়া কুদ্দুছ
মুনাজাত যখন করবো আল্লাহতালার এ নামগুলো ধরে ডাকবো।
ইয়া
রহমানের রহিম
ইয়া
রহমান
ইয়া
গফুরুর রহিম
ইয়া
গাফফার
ইয়া
মালিক
ইয়া
জব্বার
ইয়া
আল্লাহ
ইয়া
কুদ্দুছ
ইয়া
করিম
আমরা এই নাম ধরে সকলে ডাকবো ইনশাআল্লাহ।
রাসুল
সাঃ বলেন তুমি অধিক সংখ্যায় দোয়াটি পড়ো
"লা
হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ"
( কেননা
জান্নাতের সপ্ত
ধন)
সব সময় সুস্থ
থাকতে আল্লাহতালার এই গুণবাচক নামটি
30 বার করে শরীরে মেসেজ করে দিন কোন ধরনের রোগ আসবে
না।আমলটি : " ইয়া সালামু"
এই দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ আপনাকে এমন রাজত্ব দান করবে যে রাজত্ব কাউকে দান করবেন নাই।
দোয়াটি:
লাইয়াম দাজিলিহায়াহান।
বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করবেন:
" ইন্না রাব্বি মা-ইয়া সাইয়াদ্বীন"
.বিপদে আছেন এই তিনটি দোয়া আমল করুন :
"লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন "
"আস্তাগফিরুল্লাহ "
" আল্লাহুমা
সাল্লিআলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম "
ছোট দরুদ:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল
মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া
হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
ছোট দোয়া:
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।
১৪.ফেরেশতাদের সাহায্য পাওয়ার অজিফা।অজিফাটি ৩১৩বার পড়তে হবে।
অজিফাটি:
"ইয়া রাব্বি লাকাল হামর্দ" (সুবহানাল্লাহ)
দয়াময় আল্লাহর প্রিয় দুইটি নাম
সুবহানাল্লাহি
ওয়া বিহামদিহি
সুবহানাল্লাহিল
আযিম
আরেকটি দোয়া:
লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু দাখালাল জান্না
ছোট ছোট দোয়াগুলি:
ঘুম
থেকে ওঠার পর 20 বার পড়ুন দোয়াটি
"আল
মুক্তাদিরু "
সুরা ইয়াসিন এর গুরুত্বপূর্ণ আয়াত
"সালামুল
কওলাম মির রব্বির রাহিম"
ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া
"রাব্বি
ইন্নি জালামতু নাফছী ফাগ ফিরলী"
দুনিয়া ও আখিরাতের উত্তম দোয়াটি:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল মুআফাতা ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।
প্রতিদিন তিনবার পড়ুন জান্নাত পাওয়ার দোয়া :
"আল্লাহুমা ইন্নি আস আলুকা জান্নাতা আউযুবিকা মিনান্নারে "
রাতে ঘুমানোর আগে তিনটি নাম 21 বার পাঠ করে ঘুমাবে :
ইয়া
আল্লাহ
ইয়া
গফুরু
ইয়া
কাদিরু
ঘুমানোর আগে পাঠ করবে সূরাটি
সূরা নাস তিনবার
সূরা
ফালাক তিনবার
সূরা
ইখলাস তিনবার
কবরের আজাব থেকে বাঁচার দোয়া দোয়াটি:
আল্লাহুম্মা
ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কুবরি
কবর দেখলে দোয়াটি পাঠ করুন :
আল্লাহুম্মা
জাআলললি নূরান-ফী ক্বুবরি
ভাত খাওয়ার দোয়া :
বিসমিল্লাহি
ওয়া-আলা বারাকাতিল্লাহ।
খাবার সামনে আসলেই এই দোয়াটি পড়তে
হয় দোয়াটি :
আল্লাহুম্মা
বারিক লানা ফিমা রাজাক তানা ওয়াকিনা আজাবান নার
খাওয়ার
শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে:
বিসমিল্লাহি
আওয়ালাহু অ-আ খিয়াহ।
১। কঠিন বিপদ থেকে মুক্তির (ইউনুস আলাইহিস সালামের) দুআ:
لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা ছুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায য-লিমীন। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৮৭)
২। দুরারোগ্য অসুখ থেকে মুক্তির (আইয়্যুব আলাইহিস সালামের) দুআ:
رَبِّ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ: রব্বি আন্নী মাসসানিয়াদ দুররু ওয়া আনতা আরহামুর র-হিমীন। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৮৩)
৩। সন্তান লাভে (যাকারিয়া আলাইহিস সালামের) দুআ:
رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
উচ্চারণ: রব্বি লা তাযারনি ফারদাও ওয়া আনতা খইরুল ওয়া-রিছীন।
(সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৮৯)