আলোর
সাইরেন
আতাউল হাকিম আরিফ
ভাত
গন্ধ, শরীরের রক্ত, ঘাম, স্পন্দন এবং মাটির মগ্নতায়
চিত্রিত
দৃশ্যপট প্রায়শ; বর্ণের বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে জাগিয়ে তোলে আপন সত্তা
তবুও
আমার উজ্জ্বল স্বপ্নগুলো সপে দিলাম একটি উড়ন্ত পাখির ডানায়
ভোরের
স্তব্ধতা ডিঙ্গিয়ে ব্যাপ্ত নক্ষত্রের সুবিশাল তরঙ্গে ঈশ্বরের খোঁজে.….
এই
অধম- নারকীয় অন্ধকার সইবনা, বুকে বাজুক আলোর সাইরেন।
শব্দহীন
প্রেমিকারা নেচে বেড়ায়
আতাউল হাকিম আরিফ
অসহিষ্ণু
প্রেম, নশ্বর-অনাহত উন্মাদনায় তোমার শরীরময় জুড়ে আজ বর্ধিষ্ণু দূর্বাঘাস।
স্নায়ু প্রবাহিত প্রেমহীন নির্মাণ যেমনটি পক্ষাঘাতগ্রস্ত বিস্তীর্ণ অরণ্য!
বিদীর্ণ
হচ্ছে প্রেমিক পুরুষের অজস্র রাত-দীর্ঘশ্বাস! অশুভ স্বপ্নের মতো অভিশপ্ত চোখে জেগে উঠে মনুষ্যত্বহীন রূপান্তরের মাঠ, সেখানে ভীষণ অন্ধকার। শব্দহীন প্রেমিকারা নেচে বেড়ায়, ঘামের গন্ধ ছড়ায়, ওদের যোনীতে নীল বিষ! শ্লীলহীন উচ্চকিত শব্দে একদল দাঁড়কাক উড়ে যায় ।
যৌবন
হারায়
আতাউল
হাকিম আরিফ
নক্ষত্রের
মতো উজ্জ্বল, তেজী তোমার রূপ,
সৌরমণ্ডলের
গতিবিধির মতো তুমিও দুর্বোধ্য
ঝড়
তোলে, ফেনা উপচিয়ে এবং
উষ্ণতায়
ভেতরে শিহরণ জাগাও.....
তোমার
স্তনোস্ফীত বুক, তটিনী চোখ,
অঙ্গের
তাপ
আমাকে
বেশুমার ক্ষুধা জাগিয়ে দেয়!
কামরূপ-কামাক্ষার মন্ত্রবাণ-তন্ত্রবাপ
এক
নিমিষেই উড়ে যায়....
অসন্তুষ্ট
নদীর গহব্বরে স্নায়ু বশীভূত -
পরাজিত
পুরুষ আমি, পুনরায় যৌবন হারায়!
যদি
বুকে জড়িয়ে ধরো
আতাউল হাকিম আরিফ
ধরে
নিলাম তোমার সৌন্দর্য ইউরেনিয়ামের খনির চাইতেও দামী
যেখানে
ঢু- মারতে চাইবে তামাম পৃথিবীর পরাক্রমশালী ব্যক্তিবর্গ,
তুমি
হবে লাসভেগাসের জুয়ার আসরের সবচাইতে বড়দান
কিংবা
পেন্টাগনের যুদ্ধ জয়ের কৌশলে সবচাইতে বড় অস্ত্র!
তোমার
রূপযৌবনে ভাসতে থাকবে আরব সাগরের তেল, এশিয়ার গ্যাস, আফ্রিকার সোনা এবং
আমেরিকা,
রাশিয়ার কারখানায় উৎপাদিত রাসয়নিক, হাইড্রোসিল বোমা....
তুমিও
হতে পারো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম উৎসমুখ!
এইতো
তোমার শক্তি,
মুহুর্তে
রূপের আগুনে ছাইভস্ম করে দিতে পারো আমাকে
তাতেও
আমি রাজি, যদি একবার এসে বুকে জড়িয়ে ধরো।
ধ্বনি
আতাউল
হাকিম আরিফ
অস্পষ্ট
গোধূলি আলোয় গোলাপের মতই সুরভিত তোমার মুখ,
উদ্ভিদের
পদশব্দ,পাখির কলরব এবং শ্মশানবাসিনীর বিলাপ ডিঙ্গিয়ে শিহরণ জাগে
অতপর
বুকের ভেতর বাজে কিন্নর,
তোমার
কন্ঠনালীতে মিশে যায় আমারও কন্ঠনালী,
প্রেমিক
মুখ বক্ষে যায় মিশে!
যদিও
লোকে তোমার শরীরটাকেই শিল্প বলে,
আমি
শরীরি শিল্পে বিশ্বাসী নই
স্তন,
উরু কিংবা যোনীপথ কোনটাই আমার কাছে শিল্প নয়!
আত্মার
ধ্বণিটাকেই আমি বলি শুদ্ধাচার!