মোঃ ইসহাক মিয়া এর কবিতা।দ্বিচারিণী।মানবের কল্যাণে

দ্বিচারিণী
মোঃ ইসহাক মিয়া

মোহেতে পড়িয়া লোভে মজায় অন্তর,

ছুঁড়ে ফেলে দেয় হীরা ভাবিয়া কঙ্কর।

 

ভাঙিয়া মধুর প্রীতি হয়ে যায় পর,

ছাড়িয়া যায় সাধের স্বপ্নে ঘেরা ঘর।

 

স্বামী,সংসার,সন্তান তুচ্ছ করে মোহে,

বিচ্ছেদ ঘটায় মিছে অজুহাতে দোঁহে।

 

ভাব যদি সদা তারে হৃদ্ কুঞ্জ রানি,

অতি যতনে ভাঙিবে সেই চিত্ত খানি।

 

যার সর্ব কর্মে হয় সে অনুপ্রেরণা,

নিখাদ বিশ্বাসে তারে করে প্রতারণা।

 

হেন চৌকশ রমণী ভুবনে বিরল,

বর্হিভাগ নমনীয়  ভেতরে গরল।

 

নিখুঁত ছলনা তার বোঝা হবে দায়,

হৃদ আস্ফালন গাত্রে প্রকাশ না পায়।

 

সুমধুর কন্ঠে কহে অমৃত বচন,

স্বর্গ সুখে দোলে হিয়া করিলে শ্রবণ।

 

ভুবন ভুলে অন্তর হেরিলে লোচন,

যেন বিশ্ব মহীয়সী চন্দ্রিমা বদন।

 

যৌবনে জৌলুসে যত রূপের বাহার,

ঠিক ততটাই হয় চিত্ত কদাকার।

 

নয়নে হেরি যায় না দ্বিচারিণী চেনা,

না করিয়া তার সনে প্রীতি লেনাদেনা।

 

ধর্মীয় বন্ধনে দোঁহে এক হলে পরে,

বুঝা যায় ধীরে তারে মেলামেশা করে।

 

এ ছাড়া চরিত্র তার পড়ে নাকো ধরা,

যদিও থাকে না কিছু আফসোস ছাড়া।


মানবের কল্যাণে
মোঃ ইসহাক মিয়া

সৃষ্টি যত রাখছো সকল

সদায় তোমার ধ্যানে-

যাহা কিছু করো দয়াল

সবই,মানবের কল্যাণে।

 

সুখে কিবা দুখে রাখো

রোগে বা আরোগ্যে-

তাহাতেই যে আমার মঙ্গল

এই হৃদ্ তা মানে,

তব লীলা বুঝার নাহি সাধ্য

আমার ক্ষুদ্র এই জ্ঞানে।

 

দিয়ে আমার প্রেম শক্তি

রাখি,তব প্রতি বিশ্বাস ভক্তি-

নাহি করি তব হুকুম তামিল

পড়ি ভুবন মায়ার টানে,

নিত্য ডুবি পাপে তবু

আমি,সকল জেনেশুনে।

 

ওগো আমার জগৎপতি

তব ধারে শুধু এই মিনতি-

ক্ষমা করো পাপ মোর যত

দয়ার বলে,তুমি নিজ গুণে,

কাঁদিয়ে যদি খুশি থাকো তুমি

তাতেই সুখ মোর মনে।।

 

যেদিন আল ক্বাহার রূপ ধরি

করবে বিচার সর্বোপরি -

থাকবে নাকো বাঁচার উপায়

তোমার আরশ ছায়া বিনে,

সেদিন শুকরিয়া উসিলা করি

ইসহাকেরে দিও মুক্তি

শেষ বিচারের দিনে।।

1 comment

  1. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও উক্ত পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি