কবি আতাউল হাকিম আরিফ এর তিনটি কবিতা

দেহাতীত ফসলের মাঠ
আতাউল হাকিম আরিফ 

একদিন চাঁপাবনে দস্যুদর্পে তোকে বুকে জড়িয়েছিলাম 

সেদিন কেবলি হেঁটে চলেছিলো রক্তের উত্তাপ 

অপ্রকাশিত শব্দপুঞ্জে কিংবা অনুরাগে- নীরব রোদনে 

দেখেছি তোর বুকেও বেজে উঠেছিলো কামুক দীর্ঘশ্বাস!

 

প্রগাঢ় এক চুম্বনের আবেশে আমার বাদামীবুকে  

কিছুসময় ঝরে পড়ে বৃষ্টিধারা, সেদিন 

হৃদপিণ্ডের কোলাহলে আমিও বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম 

দেহাতীত ফসলের মাঠ কিংবা রূপ রূপান্তরের 

মধ্যে জেগে উঠতে পারে অন্য এক সত্তা!

স্নায়ুশিরায় উদভ্রান্ত উষ্ণতার প্লাবনে বংশীধ্বনি বাজুক।

মাটি শব্দের বেদনা 
আতাউল হাকিম আরিফ  

আমার হৃদপিণ্ড জুড়ে মাটি শব্দের বেদনা,

প্রাচীন গুহা থেকে আধুনিক কালের বিবর্তন প্রসূত 

বহুজাতিক গর্ভসঞ্চার কিংবা রক্তের সিঁড়ি বেয়ে 

অবিশ্বাস্য রকম যাত্রিক যজ্ঞতা-শব্দের বিবিধ কোলাহল!

অলক্ষ্যে কখন যে শুশ্রূষাহীন যৌবন পেরিয়ে গেছি!

মাটির নিকটে কিংবা আরো গভীর থেকে

অদৃশ্যের বিবরণ পাঠ করতে গিয়ে দেখি বিশাল শূন্যতা

অনিয়ন্ত্রিত রক্তবীজ, ক্রোধ কান্নার প্রতিধ্বনি!

 

জন্মদগ্ধ ক্ষত নিয়ে
আতাউল হাকিম আরিফ
 


শীতের শেষলগ্ন, কুয়াশার চাদর অনেকটায় সরে গেছে

কুমারীর স্তনোস্ফীত বুকে জমে থাকা অজস্র দ্বিধা, যন্ত্রণা 

খড়কুটো রোদ্দুরে শ্রাদ্ধ হতে থাকে।

যেমনটি কমরেডদের আদর্শের খসড়া লুটে গেছে

উত্তুঙ্গ যুদ্ধযাত্রার তুমুল অসুখ, বিসুখে।

জন্মদগ্ধ ক্ষত নিয়ে আমরাও বেঁচে আছি 

ভাত, রুটির সাথে একপ্রকার মিস্রিত তোয়াজ নীতির সারগামে ....

ধুন্ধুমার বোমাকেও মাঝেমধ্যে প্রেমিকার স্তন ভেবে লেহনে মেতে উঠি।

Post a Comment