আজব বানর
আয়রে খোকা আয়রে খুকু
দেখবি বাদর নাচ,
এ বাদরের আছে
আবার
নূতন নূতন সাজ।
মাথায় আছে ফেটি বাধা
কোমরে তার রশি,
সারাক্ষন ই লেগে আছে
মুখে মুচকি হাসি।
হাতে আছে মোবাইল একটা
পায়ে বাটার জুতো,
না নাচলে মালিক
তাকে
দিচ্ছে লাঠির গুঁতো।
হেলে দুলে নেচে নেচে
নিচ্ছে
বানর টাকা,
চাঁদা বাজের ভয়ে মালিক
দিচ্ছে যে গাঁ ঢাকা।
মানুষরা ই নাচায় বাদর
টাকা আয়ের ফন্দি,
টাকা আয়ের পরেই বাদর
থাকে খাচায় বন্দি।
বাদর যদি জানতো কভু
তাকে কেনো নাচায়,
আদর করে খাওয়ায় পরায়
কেনো তাকে বাচায়।
তাহলে ই বাদর নিজে
মুক্ত হয়ে যেতো,
বনের বানর বনে থাকতো
কেবা তাকে পেতো।
উপদেশ
নেই জানা
মানুষ এমন হচ্ছে কেন
নষ্ট থাকে মনটি,
ভাবছি এবার সেই মানুষের
গলায় বাধবো ঘন্টি।
কিছু কিছু মানুষ এখন
ডুবায় সমাজ টাকে,
ওরাই আবার সর্ব ক্ষেত্রে
থাকে ফাঁকেফাঁকে।
বিশ্বাস সব ধ্বংস হচ্ছে
নষ্ট মানুষের কারনে,
এতো নিচে নামে ওরা
ভালো হয়না বারনে।
কুকুরকে বাসলে ভালো
আনেক কিছু বোঝে,
এসব মানুষ বাসলে ভালো
ক্ষতির পথটি খোঁজে।
মানুষ দেখে সত্যি মানুষ
যায়না কভু চেনা,
মানুষ কোনটি চিনতে পারবেন
থাকলে লেনাদেনা।
আমি শুধু কবিতা লিখি
উপদেশ নেই
জানা,
অন্যের ক্ষতি করিনা ভাই
করতে আছে মানা।
জেগে
ওঠো বাহে
ঘুম
ভাঙবে কবে তোমার
ঘটছে
কতো কিছু,
মানুষ
এখন খাওয়ার জন্য
ছুটছে
চোরের পিছু।
চেয়ে
দেখো পৃথিবীর সব
নিত্য
নতুন হচ্ছে,
চোর
ডাকাতে বড়ো ভাইয়ের
আশীর্বাদ
টা লচ্ছে।
প্রতি
দেশে যুদ্ধাস্ত্র
ঝন
ঝনিয়ে বাজছে,
পর্ন
শালায় টাকার জন্য
নর্তকী
রা নাচছে।
খাওয়ার
জন্য কতো মানুষ
রাস্তায়
রাস্তায় ঘুরছে,
সুযোগ
পেলে চুরি করে
খাবার
পেটে পুরছে।
কতো
জনে পালা কুকুর
রাজার
মতো পালছে,
ঋষি
নিজের পেটের ক্ষুধায়
মরা
গরু ছালছে।
দেশে
দেশে চলছে এখন
যুদ্ধের
নামে ধ্বংস,
এভাবেই
শেষ হবে কি
মানুষ
নামের বংশ।
তুমি
তো জন্ম থেকেই
বাঁচার
আশায় আছো,
ভালো
করে বাঁচার জন্য
নায়িকা
হয়ে নাচো।
তুমিতো
বোঝ না যে
মৃত্যু
সবার হবে,
প্রতিদিন
সবার অপেক্ষা
আসবে
মৃত্যু কবে।
সকালে
যে সূর্য ওঠে
বিকালে
যায় ডুবে,
পরদিন
আবার নূতন সূর্য
উঠে
ঠিকই পূবে।
জীবন
কিন্তু অমন নয়
একবার
চলে গেলে,
দেহটা
এই পৃথীবিতে
যেতে
হবে ফেলে।
জ্ঞান
ছড়িয়ে দিন
মানুষ
সব আসে যায়
চায়না
একটু ফিরে ,
নদী
যায় শব্দ করে
জ্ঞান
যায় ধীরে।
জ্ঞানী
মানুষ যারা আছে
তাদের
শত্রু বেশী,
তারপরও
জ্ঞানী মানুষ
একদম
হয় দেশী।
দেশ
প্রিয়তা থাকুক সবার
সহ
মর্মিতা রাখুক,
সৃষ্টি
কর্তার অশেষ কৃপায়
সবাই
ভালো থাকুক।
মন
দিয়ে করলে কিছু
সফলতা
আসে,
এভাবেই
সুখ সাগরে
সবাই
একদিন ভাসে।
মানুষের পাতা ফাঁদই
মানুষ
মেরে ফেলে,
বিচারক
রা বিচার করে
মানুষ
পাঠায় জেলে।
সব
কিছুর মাঝে আছে
ভিন্ন
এক রূপ,
কেউ
থাকে অনেক সরব
কেউ
থাকে চুপ।
যে
পারে সে বলুক তাকে
কি
করতে হবে,
সেখান
থেকে মানুষেরা
জ্ঞান
পাবে তবে।
এভাবে
চলতে থাকলে
স্মৃতির
আছে মূল্য,
মূল্য
নেই অন্য কিছুর
জীবন
স্মৃতির তুল্য।
আপনি
ও রেখে যান
এমন
কিছু প্রিতি,
যেখান
থেকে অন্য মানুষ
পেতে
পারে স্মৃতি ।
দুনিয়াতে
ভালো কিছু
করা
মহৎ কর্ম,
কাজের
মধ্যে সব কিছু
ভালো
কাজই ধর্ম।
আপনি
কিছু ভালো করলে
পাবেন
তার ফল,
এভাবেই
এই দুনিয়ায়
নড়ে
ধর্মের কল।
ভোলানাথ
পোদ্দার
মায়া
হীন পৃথিবী
প্রতিদিন
পৃথিবী থেকে
বিদায়
নিচ্ছে মানুষ,
মায়া
হীন এই পৃথিবী
রঙিন এক ফানুস।
এটি
একটি রঙ মঞ্চ
ঘটে
কতো কান্ড,
সবাই
এখানে ব্যাস্ত থাকে
ভরতে
নিজের ভান্ড।
অনেক
ভান্ড ভরে মানুষ
অপকর্ম
দিয়ে,
যাওয়ার
সময় যেতে হয়
খালি
হাত নিয়ে।
টাকা
দিয়ে এসব মানুষ
করে
অপকর্ম,
টাকায়
এরা কিনতে চায়
যতো
আছে ধর্ম।
সভা
মঞ্চে পায় এরা
বড়ো
বড়ো আসন,
টাকার
জন্য দিতে পারে
নিজের
মতো ভাষন।
এরা
হয় ভদ্র বেশী
নেড়ি
কুত্তার মতো,
গরীবের
হক মেরে খাবে
সামনে
পাবে যতো।
মুখে
এদের মিষ্টি কথা
অপকর্মের
হোতা,
লেখাপড়া
জানেনা এরা
কলম
এদের ভোতা।
এদের
ছাড়া হবেনা কাজ
যা
করতে চান,
চাঁদার
নামে করে যাবেন
এদের
টাকা দান।
এমন
দেশেই এসে ছিলো
রবী
আর নজরুল,
সবার
হাতে দিয়ে গেছে
যুগের
সুন্দর ফুল।
বাংলা
পেয়েছে অমর বাক্য
অনেক
দামী লেখা,
যুগে
যুগে পেয়েছে অনেক
দামী মানুষের দেখা।