বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী রসায়নবিদ স্যার আচার্য প্রফুল্ল।স্যার আচার্য প্রফুল্ল জীবনী

স্যার আচার্য প্রফুল্ল 

বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী রসায়নবিদ স্যার আচার্য প্রফুল­ চন্দ্র - পি,সি,রায়।১৮৬১ সালের আগস্ট।

'রাড়ুলী'' গ্রামটি হলো  খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী ।এখানের

 হরিশ্চন্দ্র রায় ছিলেন আরবী, ফার্সী ইংরেজী ভাষায় দক্ষ।তিনি উপমহাদেশে নারী শিক্ষা উন্নয়নকল্পে স্ত্রী ভূবনমোহিনীর নামে ১৮৫০ সালে  রাড়ুলী গ্রামে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

 হরিশ্চন্দ্র   ভূবন মোহিনী দেবীর আদরের  সন্তান  "ফুলু"   ফুলুর শিক্ষা জীবন শুরু হয় পাঁচ বছর বয়সে। ১৮৬৬ - ১৮৭০ সাল চার বছর কাটে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাড়ুলীতে।

১৮৮২ সালে ফুলু প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অনার্স সহ স্নাতকশ্রেনীতে অসাধারন মেধার বলে গিলক্রিষ্ট বৃত্তি নিয়ে চলে যান এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে - পান বি-এস-সি ডিগ্রি

 রসায়ন শাস্ত্রে গবেষনায় ফুলু  মারকুইরাস নাইট্রাইট-এর মত রসায়ন শাস্ত্রে মৌলিকপদার্থ উদ্ভাবন করায় চমকে দেন বিশ্বকে। এরপর থেকে সম্মান সূচকডিগ্রী ১৮৮৬ সালে পি,এইচ, ডি, ১৮৮৭ সালে ডি,এস, সি, ১৯১১ সালে সি,আই,, ১৯১২ সালে আবার ডি,এস,সি, এবং ১৯১৮ সালে নাইট উপাধি পান।  পরিচিত হলেন বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী রসায়নবিদ স্যার আচার্য প্রফুল­ চন্দ্র পি,সি,রায় বলেই যিনি বিশ্ব - বিজ্ঞানী মহলে প্রশংসিত।

 ব্যক্তি জীবনে ফুলু  ছিলেন অবিবাহিত। দেশ-বিদেশে তাঁর  প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আজও মানব সেবা দিচ্ছে।

১৯০৩সালে বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায় দক্ষিণ বাংলায় প্রথম আর,কে,বি,কে হরিশচন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন বাবার নামে- চারটি গ্রামের নাম মিলে। পাশেই রয়েছে তাঁর মায়ের নামের স্কুল।

১৯০৯ সালে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায় ব্যাংক পদ্ধতির জন্যে জন্মভিটায় কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।

আজও প্রতিষ্ঠানগুলো স্বমহিমায় এগিয়ে চলছে।দেশ-বিদেশে তাঁর স্থাপিত প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান সাধনায় কথা স্মরণ করেন সর্বস্তরের মানুষ।

১৯৪৪ সালে ১৬ই জুন কোন উত্তরসূরী না রেখে জীবনাবসান ঘটে বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল­ চন্দ্র রায়ের। নিজহাতের ছোঁয়ায় স্থাপিত অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আজও রয়েছে জন্মভূমিতে।

 খুলনা জেলা থেকে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি পিসি রায়ের জন্মভূমি পর্যন্ত।পাইকগাছা উপজেলা থেকে এখনও বিছিন্ন   পিসি রায়ের জন্মস্থান সরাসরি সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বোয়ালিয়ায় কপোতাক্ষ নদের উপর শেষ হয়নি নির্মাণাধীন ব্রীজ।অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেক পর্যটক আসেন না। এলাকাবাসীর মতে, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানীর

বসত বাড়িকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পি.সি রায় প্রেমী বিজ্ঞানীর জীবনী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। পাইকগাছা উপজেলা থেকে ভ্যান, ইন্জিন ভ্যান এবং মটরসাইকেলে করে সেখানে যাওয়া যায়।পাইকগাছা উপজেলা সদর থেকে স্যার পি,সি রায়  এর বাড়ীর দুরত্ব ১৩- ১৪ কিঃমিঃ।

"ফাদার নাইট্রাইট'খ্যাত বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানীস্যার পি,সি রায়ের ভবনগুলো  ছিলো অবহেলিত।  স্বাধীনতার পরবর্তী সময় বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা চলে পি,সি রায়ের জন্মভূমি স্মৃতি চিহ্ন বসতভিটা দখলের।  ২০০৯ সালেরঅক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্মৃতিচিহ্ন বসতভিটা দখল নেয় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।

এখন যদিও অনেক সংস্কার করা হয়েছে।

স্যার আচার্য প্রফুল


Post a Comment