সমাজ
ভাবনা
মোঃআজহারুল ইসলাম
অফিস
আদালতে যেমন কেউ স্বাধীন নয় সবাই একটা
বিধিবদ্ধ নিয়ম নীতিতে চলে বলেই সর্বত্র শৃঙ্খ লা এবং নিরাপত্তা বিরাজমান থাকে।সমাজও নিয়মনীতির বাইরে নয়।সমাজে নিয়মনীতি ও শৃঙ্খলা আরও
বেশী প্রয়োজন।কিন্তু ইদানিংকালে একটা বিষয় সমাজকে বিষিয়ে তোলছে আর তা হলো
ব্যক্তি স্বাধীনতার তথাকথিত স্লোগান। প্রতিটি মানুষই নাকি স্বাধীন।প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে চলার এবং কর্ম করার অধিকার আছে সমাজে
ভালোকথা।স্বাধীনতা
মানে চলার পথে সীমা লংঘন নয়।অশ্লীলতা বেহায়াপনা যথেচ্চচার নয়।অথচ
ব্যক্তি
স্বাধীনতার স্লোগান তোলে সমাজে ব্যক্তি পর্যায়ে এমনকিছু কর্মকান্ড ঘটছে প্রতিনিয়ত সমাজ তার ভার বইতে পারছেনা। শিক্ষক য়েমন ক্লাশরুম নিয়ন্ত্রন করে ছাত্রকে সুশিক্ষা দিয়ে সুমানুষ করে গড়ে তোলেন তেমনি সমাজেরও শিক্ষক থাকা প্রয়োজন।যে শিক্ষক সমাজ সংস্কার সমাজের ভালোমন্দ বিচার করে সমাজকে সুন্দর গ্রহণযেগ্য শান্তিময় করে গড়ে তোলবেন। কথা আসতে পারে সমাজের শিক্ষক বা
নেতা তো আছেই।যেমন চেয়ারম্যান
মেন্বার উপজেলা এমপি ইত্যাদি।আসল সত্য হলো এসব ব্যক্তিরাই সমাজকে কলোষিত করার জন্যে মূলত দায়ী।কারন বর্তমানে বিশেষ করে চেয়ারম্যান মেন্বার পদে সমাজে অগ্রগণযোগ্য ব্যক্তিরাই আসছে।সমাজ এতোটাই নিন্ম পর্যায়ে চলে গেছে যে এসব মানুষদেরকেই
কোননা কোনভাবে পদে বসাচ্ছে।ফলে দিন দিন সমাজ আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে কারন এসব সমাজপতিরা ন্যায়নীতি আদর্শের ধার ধারেনা।আগেকার দিনে সমাজের গন্যমান্য সবার কাছে প্রহণযোগ্য ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্যরা এসব পদ অলংকৃত করতেন।কিন্তু
বর্তমানে হুমরা চুমরা সন্ত্রাসীরাই এসব পদে যাচ্ছে প্রায় সর্ব ক্ষেত্রে।তাই সমাজ হয়ে পড়ছে অভিভাবকহীন।সমাজ শিক্ষকের ভূমিকায় সমাজের ভালো কোন মানুষেকে দেখা যাচ্ছেনা।তাই অশিক্ষা কুশিক্ষা মাদক ইভটিজিং বেআদবী সন্ত্রাস এখন স্বাভাভিক সামাজিক রীতিতে পরিনত হয়েছে।অন্যায়কে এখন যেন কেউ অন্যায় মনে করছেনা।অসত্যকে কেউ খারাপ বলছেনা।মানেটা এমন দাঁড়ায় যে শিক্ষক
যেমন ছাত্র তো তেমনই হবে।
আজকে সমাজের যে বাস্তবতা এমন চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সমাজের চিত্র কি হতে পারে নতুন প্রজন্মের অবস্থা কি হবে তা ভাবলে গা শিহরিয়ে উঠে। এ প্রেক্ষিতে সকল বাবা মায়ের প্রতি অনুরোধ আপনার সন্তানকে সময় দিন ভলোবাসুন।ভালোমন্দ শেয়ার করুন।সে যেন আপনাকে আপন মনে করে বন্ধু ভাবে।ঘরকে আকর্ষণীয় করুণ।সন্তান যেন বাইরে থাকার চেয়ে ঘরে থাকতে পছন্দ করে বেশী।অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত এর বিকল্প না ভাবাই উচিৎ।মনে রাখতে হবে আপনার সন্তান সমাজের সন্তান।সমাজ গড়তে হলে আপনাকেই সমাজের শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।মনে রাখবেন যতো কাজই আপনি করেন সবচাইতে বড় কাজ হলো আপনার সন্তানকে সুমানুষ করে গড়ে তোলা।নয়ত আপনি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেননা। আর একটি গুরুত্নপূর্ণ বিষয় সন্তানকে সুসন্তান করতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।। এসব দায়ীত্ব পালন না করলে সমাজ কখনও আর ঘুরে দাঁড়াবেনা। এ ভাবধারা চলমান থাকলে অদূর ভবিষ্যতে পরিবার সমাজ বলতে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবেনা।দ্রুত এর ধ্বংস অনিবার্য। আপনি কখনও মানসিক প্রশান্তুি পাবেননা,পেতে পারেননা।হতাশা হাহাকারে আপনার জীবন বিষিয়ে উঠবে।নিশ্চয়ই আমরা কেউ তা চাইনা।