আসুন আমরা প্রতিযোগীতা দিয়ে জিনিসের দাম বাড়াই - মোঃ মিরাজ উদ্দীন


"আসুন আমরা প্রতিযোগীতা দিয়ে জিনিসের দাম বাড়াই!"

যদিও শুনতে হাস্যকর কিন্তু ঘটনা এমনি ঘটছে বাংলাদেশে! শিক্ষকরা বলে মাসিক ফি এই মাসে বাড়িয়েছি, জানেন-তো? এখন জিনিসের দাম বাড়া! একজন দিনমজুর বলে স্যার বেতনটা বাড়িয়ে দিন, কারণ, স্কুলের ফি বাড়িয়েছে!  মুরগি/মাছ/তরকারি/কাপড়-চোপড়ের দাম বাড়িয়েছি,  কারণ ডাক্তারের ফি আর ওষুধের দাম বাড়া। গাড়ি ভাড়া বাড়িয়েছি, তেলের দাম বাড়া! তেলের দাম বাড়িয়েছি, কারণ, শুল্ক বাড়া! শুল্ক বাড়িয়েছি, কারণ, টাকার দাম কমেছে! 
সব কিছুর দাম বাড়া কিন্তু টাকার দাম কমে গেল কেন, স্যার? 

এটার উত্তর যারা জানেন,  তারা হলেন বাংলাদেশের একমাত্র সহনশীল সচেতন "তথাকথিত মধ্যবিত্ত" নামের মিসকিন।

মধ্যবিত্ত নামের কোনো সংজ্ঞাই ডিকশনারিতে নাই। "মধ্যবিত্ত" শব্দটি হল উচ্চমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যুগে যুগে সাধারণ মানুষের সাথে ব্যবহার করা রাজনীতিবিদদের  সুন্দর একটি ফাঁদ।  ঠিক সে-ই কারণেই জিনিসের দাম বাড়ার পর সবাই হৈচৈ করলে-ও একটা শ্রেণি মুচকি হেসে হেসে বলেন, কম খান! এত খেতে হয় কেনো আপনাদের? 

_খেঁজুরের পরিবর্তে বরই খান! 
_তারপর-ও চুপ যান! 
_আমার সরকার মেহেরবান!
_মেরা দেশ মহান!

এভাবে চলতে চলতে একদিন কেয়ামত চলে আসবে। আবার সেই "মধ্যবিত্তের" শখ জাগবে কাফনের কাপড় কিনার জন্য!  কিন্তু কাফনের দাম-ও হয়ে যাবে চড়া! কারণ, সবাই মৃত্যুর জন্য ছুটাছুটি করলে-ও, একটা শ্রেণির তখনও মৃত্যুর কথা মনে পড়বে না! কারণ,  তাদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন! তাই, এরা কখনো হেদায়েতপ্রাপ্ত হবে না।  এখানেই, কোরানের আয়াত সত্যি প্রমাণিত হবে আবার!

লেখক:
মোঃ মিরাজ উদ্দীন, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, গাছবাড়িয়া মমতাজ বেগম কলেজ, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।

Post a Comment