নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু নিয়ে কবিতা। নেতাজী নিয়ে কবিতা।নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কবিতা


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আপামর ভারতবাসীর কাছে একটি আবেগের নাম। দেশকে, ভারতমাতাকে প্রাণের থেকেও বেশি ভালবাসতেন যিনি।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু
বুম্বা

নেতাজি মানেই একটা স্বপ্ন,

দেশকে স্বাধীন করা।

নেতাজি মানেই বীরের মতো,

ইংরেজ দের সাথে লড়া। 

নেতাজি মানেই দেশের জন্য,

অনেক কষ্ট স্বীকার,

নেতাজি মানেই ইংরেজদের, 

সব পরিকল্পনাই বেকার।

নেতাজি মানেই যেন দেশপ্রেম,

আর দেশ কে ভালোবাসা।  

নেতাজি মানেই লড়াই করে,

স্বাধীনতা নিয়ে আসা।

নেতাজি মানেই যার মৃত্যু নেই,

শুধু জন্মদিনটাই আছে।

নেতাজি মানেই হৃদয়ে যিনি,

রয়েছেন আজও বেঁচে।

 

বীর নেতাজী
পত্রলেখা ঘোষ

দেশদরদীর খুব অভাব তোমার প্রিয় বাংলায়,

সবাই ব্যস্ত স্বার্থের তরে কে রুখবে আর অন্যায়!

তোমার মতকে কেউ মানেনি সবাই আজকে ভীরু-

যেমন দেশকে দেখতে চাইলে তেমন হয়নি শুরু।

তোমার ত্যাগে পেলাম আমরা স্বাধীনতার নিশানা,

গর্ব করে লোককে জানাই স্বাধীন দেশের ঠিকানা।

দিবারাত্রি তুমি থাকবে বাংলার প্রতি ঘরে-

ভোলে নি তো জাতি কভু নিত্য তোমায় স্মরে।

তোমার সাহস তোমার নীতি ঘোর আঁধারে আলো,

বাঙ্গালীরা আজন্ম কাল বাসবে তোমায় ভালো।

আসবে কি আর নতুন নেতা ভারতের এই ভূমে?

কাজ করবে যে তোমার পথে তোমার পদকে চুমে?

প্রতি ভোরে সূর্য যেমন ছড়ায় নতুন আলো,

প্রিয় নেতা যেথায় থাকো থেকো তুমি ভালো।

চিরঞ্জীব হে বীর নেতাজী আছো মানব হৃদয়ে-

হিমালয়বৎ উচ্চতায় হে রও গৌরবে অভয়ে।।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু
মজিবুর রহমান

উড়িষ্যার সুন্দর কটক শহর

         দীপ্তিময় হয়ে উঠলো বিস্তর

                        নেতাজীর শুভ আগমনে।

আঠারোশো সাতানব্বই সাল

         হৃদয়ে নিয়ে স্বাধীনতা মশাল

                এলেন তিনি প্রভাবতীর অঙ্গনে।

দিনটি ছিল তেইশে জানুয়ারী

        জানকীনাথ বসুর মন বিহারী

                      করলেন ভারতভূমি উজ্জ্বল।

একটু একটু করে হয়ে বড়ো

        বুঝিয়ে দিলেন তিনি নয় জড়

                   প্রতিভায় দৃঢ়তায় কঠিন উত্তল।

পড়াশোনায় ছিলো ভালো মন

        স্নাতক ডিগ্রি করলেন অর্জন

                        স্বমহিমায় নিয়ে শাস্ত্র দর্শন।

আই সি এস  করলেন পাস

       গড়লেন এক নতুন ইতিহাস

                      বাধাবিপত্তি সব করে খন্ডন।

পরাধীনতার সব কঠিন গ্লানি

         মেনে নেয়নি তাঁর হৃদয়খানি

                       করলেন ত্যাগ ব্রিটিশ দাসত্ব।

হৃদয়ে নিয়ে এক দৃঢ় প্রত্যয়

       দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে হলেন উদয়

             সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে করতে নিরস্ত।

চিত্তরঞ্জন দাসের গুরু মন্ত্রণায়

         অসীম সাহস আর চরম উদ্দীপনায়

                    মাতৃভূমি স্বাধীনতার নিলেন ব্রত।

বিদেশি শাসনের করতে অবসান

         জনগণ তরে করলেন আহ্বান

                " দেশ স্বাধীনতায় দাও তোমরা রক্ত।"

গড়লেন ফরওয়ার্ড  ব্লক পার্টি

         বুকে নিয়ে দেশ ভক্তির মন্ত্র খাঁটি

                    পরাধীনতার ভাঙতে ঘৃণ্য শেকল।

গড়লেন আজাদ হিন্দ ফৌজ

        বিদেশি শাসনকে দিতে কড়া ডোজ

                       চিরতরে লুঠতন্ত্র করতে বিকল।

ষড়যন্ত্রের নানা গরল মন্ত্রণায়

        স্বাধীনতার পূর্বেই নিলেন বিদায়

                     লিখিয়ে ইতিহাসে নেতাজী নাম।

দেশমাতৃকার জন্য এমন বলিদান

        ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া নয় আসান

                           জানে সারা বিশ্ব, জগৎ ধাম।

চিরদিন থাকবে তুমি মানব হৃদয়ে

         অতি জ্যোতির্ময়ী, অম্লান হয়ে

                     দিকদর্শী দীপ্ত ধ্রুব তারার ন্যায়।

জগৎ জনগণ করে আহ্বান

          আবার ধরায় এসো সটান

                করতে দূর যতো অত্যাচার অন্যায়।

(পূবারুণ,মালদা,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

নেতাজী
তুহিন কান্তি ভট্টাচার্য্য

১৮৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি,

জন্মালেন বীর সাহসী নেতাজী,

ওড়িশার কটক শহরে,

সুভাষচন্দ্র বসু নাম ধরে।

প্রভাবতী দেবীর কোল আলো করে,

জানকীনাথ বসুকে সন্মানিত করে,

দেশবাসীকে স্বাধীনতা দেবে বলে,

নতুন সূর্যের আলোর দিশারী হয়ে।

জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন,

ফরওয়ার্ড ব্লক দল স্থাপন করলেন,

বিদেশি শাষকদের নড়িয়ে দিয়েছিলেন,

দেশবাসীকে স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছিলেন।

স্বাধীনতার ইতিহাসে বর্নময় ্যক্তি,

দেশের জন্য এনেছিলেন বিদেশি শক্তি,

অনেক সৈন্য অর্থ নিয়ে লড়েছিলেন,

দেশের যুবসমাজকে উৎসাহিত করেছিলেন।

আজ‌' তিনি অমর রয়ে গেছেন,

নিজ কৃতিত্বের সাক্ষর রেখে গেছেন,

অন্তর্ধান রহস্য আজ' উন্মোচিত হয়নি,

বাঙালির হৃদয় হতে আসন টলানো যায়নি।।


প্রণমি তোমায় নেতাজী
সমীর মাইতি

হে নেতাজী! অসীম তেজী

মহান নেতা তুমি ;

তোমার  শৌর্য  তোমার বীর্য

 তোমার তুলনা তুমিই।

যুগে যুগে দেশে দেশে

কত নেতা ভাই ;

নেতাজী তবু সুভাষচন্দ্র বসু

তাহার উপরে নাই।

পরাধীনতার শৃঙ্খল করিতে বিকল

আসুক যত ঝড় -বাদল ;

স্বাধীনতা তরে দেশের বাহিরে

গড়িলে তুমি সেনাদল।

তোমার ডাকে উঠলো জাগি

দেশভক্তি যুবশক্তি যত ;

তোমার ডাকে উঠলো জাগি

নারীশক্তি শত শত

দেশের বাহিরে মনের জোরে

গড়িলে তুমি সরকার ;

স্বাধীনতা পেতে ইংরেজ হঠাতে

বুঝেছিলে এর দরকার।

তোমার বাহিনী আঘাত হানি

জয় করে ইংরেজঘাটি ;

প্রথম তেরঙ্গা নাড়ায় মাথা

ধন্য মনিপুরের মাটি।

তোমার বাহিনী জ্বলন্ত কাহিনী

আত্মত্যাগের কথা ;

তুমিই সফল হওনি বিফল

তোমার জন্যই স্বাধীনতা।

তোমার স্বদেশ স্বপ্নের দেশ

স্বাধীন হয়েছে বটে ;

তবু হানাহানি ধর্মীয় উস্কানি

আজো গণতন্ত্রের গলা কাটে

তোমার নামে আজো হৃদয়ধামে

 কমিছে আবেগ কি?

তোমার গর্বে ধন্য সর্বে

 প্রণমি তোমায় নেতাজী।



Post a Comment