প্রবাসের রেমিটেন্সে সচল অর্থনীতি। অর্থনীতির চালিকা রেমিটেন্স

প্রবাসের রেমিটেন্সে সচল অর্থনীতি
সাদিয়া আফরিন মুক্তা

পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ হলেও, বর্তমান অর্থবছরে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এদেশ।জাতিসংঘের খাদ্য কৃষি সংস্থা (এফএও),বাংলাদেশ ব্যাংক,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)বিভাগ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৫টি খাতে বিশ্বের দরবারে গৌরবোজ্জ্বল ঈর্ষণীয় শীর্ষ  দশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।এক্ষেত্রে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয় খাতে বাংলাদেশের স্থান সপ্তম।তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ভারত পাকিস্তানের পরপরই  তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হলো রেমিটেন্স।যা দেশীয় বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। রেমিটেন্স ইংরেজি শব্দ,যার অর্থ প্রেরণ করা। অর্থাৎ বিদেশে কর্মরত প্রবাসী কর্মীরা নিজ দেশে পরিবার বা স্বজনদের কাছে যে অর্থ প্রেরণ করে তাকে রেমিটেন্স বলে।

বাংলাদেশের  বিপুলসংখ্যক জনসমষ্টি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।বর্তমানে ১৭৪টি দেশে বাংলাদেশিদের বসবাস।মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় ১কোটি ২৫ লাখ প্রবাসী কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে সৌদি আরবে। সেখানে বাঙালিদের সংখ্যা প্রায় ১দশমিক ২মিলিয়ন।এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত,কুয়েত,কাতার,ওমান,ইতালী, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা কাজ করছে।তবে তাদের মধ্যে দক্ষ শ্রমিকের তুলনায় অদক্ষ স্বল্পশিক্ষিত শ্রমিকই বেশী।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে। রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় অক্সিজেনের মতো কাজ করে।মানুষের জীবনযাত্রার মান,কাঠামোগত,নির্মাণ,আবাসন,কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে রেমিটেন্স। আমাদের দেশের বিপুলসংখ্যক প্রবাসীরা তাদের পরিবারের অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ইত্যাদির জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা পাঠায়।ফলে সরকারের এই বিপুল জনসাধারণের দায় ভার নিতে হয় না।তাছাড়া প্রবাসীরা যদি  তার সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের আত্মকর্মসংস্থান

Post a Comment