নিজেকে আগে ভালো রাখুন।মঞ্জুশ্রী মণ্ডল

নিজেকে আগে ভালো রাখুন
মঞ্জুশ্রী মণ্ডল

সংসারের পরিচালিকা হচ্ছে মহিলা। মহিলারা যদি নিজেরা নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয় তাহলে তারা গোটা পরিবারকে সুস্থ রাখতে পারবে ।কিন্তু বেশিরভাগ পরিবারে দেখা যায় মহিলারা তার শরীর খারাপ কে সেই ভাবে গুরুত্ব দেন না ্তার স্বামীর ,সন্তানদের যতটা সুস্থ রাখার জন্য ভাবেন ,চেষ্টা করেন সেই চিন্তাটা নিজের জন্য কমই রাখেন। এক্কেবারে খুব খুব কষ্ট না হলে তিনি ডাক্তারখানায় যেতে চান না। নিজের দিকে নজর দেওয়াই হয় না।

জীবনের প্রথম থেকেই মেয়েদের শারীরিকভাবে নিজেকে যত্ন করা আগে দরকার।

বিভিন্ন বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের এই খেয়াল রাখতে হবে।

মেয়েদের এই স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখার জন্য খুব সাধারন বিষয়গুলোকেই নজর রাখতে হবে আগে।

অর্থাৎ শরীরটা যেন মোটামুটি ঠিক থাকে।

প্রথমত সুস্থ ভালো পানীয় জল যেন তার জন্য বরাদ্দ থাকে বা সে পায়। তাহলে পেটের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

এটা কিন্তু মায়ের জন্য ,পরিবারের জন্য ,সন্তানের জন্য সবার জন্যই কার্যকর। এটা খুবই সাধারণ জিনিস। যেটা মেনে চলা যেতেই পারে।

দ্বিতীয় হচ্ছে যথাযথ শৌচালায়। শৌচালয়ে গিয়ে যদি তারা শৌচ কর্ম করে এবং তারপর হাতে ভালো করে সাবান দেওয়ার অভ্যাস করে রোগ বাসা বাধার সম্ভাবনা থাকবে না।

মহিলাদের জন্য শৌচালয় অবশ্যই অবশ্যই প্রয়োজন। আমাদের দেশে হুক ওয়ার্ম বলে একটি জীবাণু আছে যা রক্তাল্পতা ঘটায়। এই শৌচালয় যথাযথ ব্যবহার এবং ব্যবহারের পর হাত যথাযথ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা, এটাও কিন্তু খুবই সাধারণ ব্যাপার। এটা করা যেতেই পারে।

তৃতীয় হল মাসিক হলে যথাযথ পরিষ্কার ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত। কাপড় ছেঁড়া ব্যবহার করলেও সেটা যথাযথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া দরকার।

সাধারণ ব্যাপারটাও অনেক মহিলা গুরুত্ব দেয় না, স্বামী আর সন্তান নিয়ে এতই পরিবারের মহিলারা ব্যস্ত থাকেন।

চতুর্থত হলো, যদিও অল্প বয়সে বিয়ে প্রশাসন মারফত রোধ করা যায় ।তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কখনো ফাঁকফোকর থেকেও যায় ।এরকম সদ্য আঠারো  বছর পার করেছে এরকম আছে ।এসময় তার শরীরটা গঠন বা মাতৃ জঠোর সেইভাবে তৈরি যদি না হয় তাহলে সন্তান ধারণ করলে তার শারীরিক অবনতি হবে। সন্তান পুষ্ট হবে না। কাজেই নিজের শরীর এবং মাতৃ জঠর পুরোপুরি গঠন হয়ে একটা পরিপূর্ণতা এলে ২০/২২ বছর বয়স হলে তবেই বিবাহ করা উচিত।

এখন যদিও অনেক মেয়েই শিক্ষিত হচ্ছে ।শিক্ষা পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তারপর বিবাহের কথা ভাবছে। ঠিকই কিন্তু যে সমস্ত মেয়েরা পড়াশোনা করছে না,  তাদের বিয়ের জন্য বাড়ির থেকেই ব্যবস্থা করা হয়। এখন এই কম বয়সে বিয়ে হওয়াটা তার শরীরের পক্ষে এবং তার শিশুর পক্ষে ক্ষতিকর।

কাজেই পড়াশোনাটা শিখতে শিখতে শরীর মন দুটি পরিপূর্ণতা ভাবে লাভ করবে।

এবং তার সাথেই ছোট বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। না যদি শিক্ষার আলোটা হৃদয়ে  প্রবেশ করে তারা এই সামান্য বিষয় গুলো গুরুত্ব দেবে না।

 শুধু তাই নয় মেয়েরা পড়াশোনা করে চাকরি করতে করতে যখন বেশি বয়সে বিয়ে করতে যাচ্ছে তখনও শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কম বয়সেও বিয়ে যেমন হওয়া উচিত নয় আবার অতিরিক্ত বয়সেও বিয়ে হওয়া উচিত নয়। দুটোই শরীরের পক্ষে বাচ্চা ধারণের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হয়। সুস্থ পুষ্ট বাচ্চা হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না।

তাই প্রতিটি মহিলার তথা কিশোরী ,সদ্য যৌবনপ্রাপ্তা ,কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক সকল মহিলাদের ক্ষেত্রেই বিশেষ বিশেষ সময়ে বিশেষ বিশেষ ভাবে সচেতন সতর্ক হওয়াটা প্রত্যেকের জরুরী। শুধু বাড়ির সদস্যদের নয় ,সর্বোপরি নিজের যত্ন নিতে শিখলেই অন্যদের যত্ন আরো  ভালোভাবে নেওয়া যাবে।

Post a Comment