আমার সেই প্রিয় গ্রাম
এবার দেখি গ্রামের বাড়ি
অবাক করা ভোর,
মিষ্টি মধুর পাখির ডাকে
খুললো মনের দোর।
টুনটুনির ঐ একটানা ডাক
ডাকছে কোকিল কুহু,
ভোরের মাঠে শিশির পড়ে
রং লেগেছে বহু।
এই গ্রামেই ছোট্ট
বেলা
মায়ের কাছে ছিলাম,
জানিনা আমি এই জীবনে
মাকে কি যে দিলাম।
যান যটের শহর ছেড়ে
যেই গ্রামে আসি,
ছোট্ট বেলার স্মৃতি গুলি
বেড়ায় মনে ভাসি।
তার পরেও যেতে হয়
ঐ শহরে ফিরে,
এ ভাবেই গ্রামের
মোহ
কাটছে ধীরে ধীরে।
ভোলানাথ পোদ্দার
এটাই
জীবন
বৌয়ের
সঙ্গে ভাগাভাগি
করছি
অনেক কিছু,
তার
পরেও রাগা রাগি
ছাড়ছে
নাযে পিছু।
আমার
তো বুদ্ধি কম
অবেগে
পথ চলি,
গোপন
কথা আস্তে করে
বৌয়ের
কানে বলি।
সে
সব দেখি রটে যায়
প্রতি
বাড়ি বাড়ি,
বৌয়ের
সঙ্গে লেগে যায়
অনেক
বড়ো আড়ি।
খুব
আমার দাম ছিলো
হবে
যখন বিয়ে,
এখন
আর ভাবিনা আমি
সেসব
কিছু নিয়ে।
প্রতি
দিন মুরগী খেতাম
মেয়ের
বাড়ি থেকে,
আমাকে
তারা সম্মান করতো
সিংহাসনে
রেখে।
বিয়ের
পরে দেখেনি কেউ
আমার
দিকে চেয়ে,
আমি
কিন্তু খুশী ছিলাম
বৌটি
ঘরে পেয়ে।
আস্তে
আস্তে বুঝতে পারলাম
বৌ
পালাকি জ্বালা,
প্রতি
দিনের বাজার আনতে
জীবন
হতো কালা।
মিথ্যা
বলেও আটকে যেতাম
বাজার
না এনে ,
বৌয়ের
আদেশ এখন চলি
সুন্দর
করে মেনে।
একসময়ে
এদিক ওদিক
ছিলো
আমার টান,
এ
বয়সে ওগুলো নাই
বৌ
আমার প্রাণ।
প্রতিদিন
ঘরে থাকি
বৌয়ের
কথা শুনি,
কবে
শেষ ডাক আসবে
সে
সময়টা গুনি।
সবাইকে-ই যেতে হবে
পৃথিবী
টা ফেলে,
যা
পারেন নিজ সংসারে
যাননা হেসে খেলে।