![]() |
নবী হোসেন নবীন |
ঈদের শোক
সুগন্ধি চালের পোলাও
পেটে দাউ দাউ আগুন জ্বালে।
ক্ষুধা হতে আক্ষেপ বাড়ে
আনন্দের ঢেউ জাগে না খুশির সাগরে।
মাংস ফ্রিজের খাবার হয়ে
জমা হয় হিমাগারে।
ঈদ আসে ঈদ যায়
ক্ষুধার উত্তাপে গলে না বরফ।
যেখানে জীবন আছে জীবিকা নেই
ক্ষুধা আছে খাবার নেই
ঈদ আছে আনন্দ নেই
সেখান ঈদ শুধু কেড়ে নেয় নিদ।
অন্যদিকে ঈদ পুনর্মিলনী উৎসব দেখে
আরও কিছু শোক পায়
দেহের কফিনে ঢাকা বেঁচে থাকা শব
পরমিকা পর্ণি
না বলা কথার কলি ফুল হয়ে ফুটা
পূর্ণিমার চাঁদ হাসে তব বাঁকা ঠোঁটে।
বিতনু বালিকা তুমি ওগো পরমিকা
তোমাকে দেখিয়া নত হলো কমলিকা।
গোলাপও গরিমা গায় দেখে মুখখানি
আমি তো ভুলেই গেছি কবিতার বাণী।
পেলব পরশে তব হয়ে বিহবল
পাথরও হয়ে যায় কুসুম-কোমল।
এক অঙ্গে দেখে এত রূপের বাহার
আলোর আড়ালে গিয়ে লুকায় আঁধার।
রূপের এ অঙ্গ যেন বহমান নদী
চলনে প্রণয় ধারা বহে নিরবধি।
রূপের আগুনে পুড়ে সাগর শুকায়
পিপাসার জল খোঁজে চোখের তারায়।
মরুভূমে জ্বলে যদি রূপের প্রদীপ
সাহারাও হয়ে যায় দারুচিনি দ্বীপ।
অচেনা অতিথি তুমি ওগো অনামিকা
মনান্তরে থাক তুমি হয়ে পরমিকা।
চোখ যদি নাহি পড়ে চোখের তারায়
তবু রোজ হবে দেখা নিসর্গ শোভায়।
বসন্ত বিষাদ
ফাগুন তো আগুন জ্বালবেই বনে
তুমি কেনো পুড়ে পুড়ে কিছু কথা লুকাও মনে?
দখিনা বাতাস তো চুমু খাবেই পাপড়ির গালে
তুমি কেনো হা-হুতাশ করছ বিরহ ব্যথার ঝালে?
বসন্ত দূত তো মন মাতাবেই কুহু কুহু তানে
তুমি কেনো ভাসছ বসন্তের বানে?
পল্লব তো গজাবেই পত্রহীন শাখে
শূন্য কেনো সরসী তোমার যৌবন ভরা কাঁখে?
দিন শেষে ফুল তো ঝরে যাবেই ভূমে
তুমি কেনো কাঁদছ ঝরা ফুল চুমে?