বর্তমান সমাজে ব্যভিচার, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক এবং বহুবিবাহ একটি serious problem। চলুন দেখি, এসব সমস্যা নিয়ে প্রচলিত আইন কি বলে? প্রচলিত আইনে কী কী remedy আছে?
আমাদের
সকলের আইন জানা উচিত। অনেক না জেনেই হয়তো
অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। অত্যন্ত কমন কিছু অপরাধ যেমন- বহুবিবাহ, ব্যভিচার ও বিবাহ বর্হিভূত
সম্পর্ক এবং এর শাস্তি নিয়ে,
আজ আমরা পেনাল কোডে-১৮৬০ এর আলোকে আলোচনা
করব।
ব্যভিচার
বা Adultery- যদি কোন পুরুষ জেনেশুনে অন্যের বউয়ের সাথে sexual intercourse অর্থাৎ শারীরিক সর্ম্পকে লিপ্ত হয় সেক্ষেত্রে উক্ত
ব্যক্তি পেনাল কোডের ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী, ৫ বছর পর্যন্ত
জেল বা জরিমানা হতে
পারে। পার্টনার অর্থাৎ অন্যের স্ত্রীর সম্মতি থাকা সত্বেও এই অপরাধ সংঘটিত
হবে এবং অপরাধের সহযোগী হিসেবে wife কোন
সাজা পাবে না।
কিন্তু
২০১৯ সালে, একটি রীটে রুল দিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বলেছে, আইনটি সংশোধনের যেহেতু আইনটি Discriminatory and
unconstitutional.
কিন্তু
২০১৯ সালে, জনস্বার্থে একটি রীটে রুল দিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বলেছেন, আইনটি অসাংবিধানিক ও অবৈধ এবং
আইনটি সংশোধনের।
৪৯৮-
কোন নারী অপর ব্যক্তির বউ, তা জানা সত্বেও
যদি কোন ব্যক্তি ঐ নারীকে যৌনসঙ্গম
বা গোপন বা আটক করার
উদ্দেশ্যে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যায়, তবে উক্ত ব্যাক্তির ২
বছর পর্যন্ত সাজা বা জরিমানা হতে
পারে।
৪৯৭
ও ৪৯৮ ধারায়, মামলা দায়েরক অধিকার দেয়া হয়েছে, অভযুক্ত মহিলার Husband কে বা কোর্টের
অনুমতি সাপেক্ষে অন্য কোন ব্যাক্তি যে ঐ স্ত্রীর
দায়িত্বে ছিল।
পেনাল
কোডের 493 ধারা আলোচনা করেছে Cohabitation বা লিভ টুগেদার
নিয়ে।
কোন
ব্যক্তি যদি নারীর সাথে আইনসম্মতভাবে বিবাহিত না হয়েও, ঐ
নারীকে প্রতারণামূলকভাবে বিশ্বাস করায় যে তারা বৈধভাবে
বিবাহিত এবং sexual intercourse অর্থাৎ সহবাস করে তাহলে ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তিকে ১০ বছর পর্যন্ত
জেল এবং জরিমানা হতে পারে।
যদিও
৪৯৪ ধারায়, স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করলে শাস্তির বিধান বর্ণিত আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে special law থাকায় special law প্রধান্য পাবে।
কিন্তু
Muslim Family Laws Ordinance-1961 এর
৬ ধারা অনুযায়ী, ২য় বিয়ে বৈধ
হবে, যদি বিয়ের পূর্বে সালিশি
অফিস থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে আসে এবং সালিশি পরিষদের কাছে আবেদনে অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে যে, বর্তমান স্ত্রীর অনুমতি রয়েছে।
সালিশী
পরিষদের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে, সেই বিয়ে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন)
আইন 1974 এর অধীনে রেজিস্ট্রেশন
করা যাবে না।
স্ত্রী
ও সালিশি পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহের অভিযোগ
আদালতে প্রমাণিত হলে, এক বৎসর পর্যন্ত
বিনাশ্রম জেল বা ১০ হাজার
টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ড হতে
পারে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্বামীই দায়ী হবে, কোনভাবেই ২য় স্ত্রীকে দায়ী
করা যাবে না।
একই
সাথে, প্রথম স্ত্রী ডির্ভোস ছাড়াই সম্পূর্ণ দেনমোহর ও ভরণপোষণ পাবার
অধিকারী হবেন।
৪৯৫-
পূর্বের বিয়ে গোপন করে যদি আরেকটি বিয়ে করে সেক্ষেত্রে এটি একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর সাজা সর্বোচ্চ
১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা হতে পারে।
৪৯৬-
কোন ব্যক্তি যদি প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে, আইনগতভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে না, তা জানা সত্বেও
বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে, সেক্ষেত্রে অপরাধের সাজা 7 বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।
পরিশেষে,
মনে রাখতে হবে, যে অপরাধগুলো আলোচনা
করলাম সবগুলোই Non-cognizable অর্থাৎ এই মামলাগুলো কোর্টে
করতে হবে এবং except 493 all are
Bailable অর্থাৎ জামিনযোগ্য অপরাধ।
এই
অপরাধগুলো বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। পরিশেষে, Family life e
happiness খুবই
important ব্যাপার। আমরা যদি সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এবং আইন
মানি, তাহলে সমাজ থেকে এই সকল সমস্যাগুলো
দূর করা সম্ভব।
লেখক-
ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান