একটি ছেঁড়া কাঁথায়।
মিন্টু সারেং
সমৃদ্ধির চাকা ঘুরে না কেবল তাঁতিপাড়ার
নন্দিতাদের ঘরে।
সেখানে প্রতিদিন
তীব্র হা-ভাতে কাটছে প্রতিটি ক্ষণ।
মানুষ বাঁচে কিভাবে?
দেখতে চলুন,
'দু-চারটি মাটির হাঁড়ি পাতিলে,
বাসন,কোসন।
টিনের থাল একটি
যেন আকাশ ছোঁয়া স্বস্তি।
শিল-পাটায় মরিচে -রসুনে
সাদা ভাতে মাছি।
ভীষণ ঠান্ডায়,
মাদুরে শোয়া
মা আর মেয়ে বেঁচে থাকে
একটি ছেঁড়া কাঁথায়।
সকালে উঠা নববর্ষের
সূর্যটা আলো ছড়ায়
সেখানে নন্দিতাদের সমান ভাগ।
এভাগে হাত দেওয়ার কোন সুযোগ নেই
সূর্যের আলোয়, বয়ে যাওয়া বাতাসে, অথবা
বৃষ্টির জলে,কারো ক্ষমতা নেই ভাগ বসানোর
একথাও নন্দিতারা বুঝেনা।
বিভাজনের পৃথিবী
যারা লুটছে সম্পদ
তাদের ক্ষমতা, কেড়ে নেয় নন্দিতাদের প্রান,
তাই বিভাজিত প্রতিদিন।
কেউ তেড়ে আসবেন না,
আমি কোন শ্রেণি সংগ্রামের
কথা বলছি না,
আমি বলছি ক্রমাগত লুট
আর দুর্নীতির বরপুত্রদের কথা।
যাদের অসম্ভব কারু কাজে,
নিপুণ শোষণ- শৈলীতে
নন্দিতাদের পাঁজরের হাঁড়ে,
ভেংছি কাটে সভ্যতা।
নিদারুণ এই কষ্টকে তুলে আনা।
মুর্ত্য কি হবে এভাবে,
রাষ্ট্রের অমিত সম্ভাবনা।
সব এভাবে চলবে,
রাষ্ট্র কতদুর যাবে?
০৩/০১/২০১৬ ইং
কোর্ট পাড়া, নোয়াখালি।