প্রতিবাদী কবিতা
ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
আজও মনে আছে আমার সেই দিনটা
যেদিন তুমি পুড়িয়ে ছিলে আমার লেখা কবিতা।
কবিতায় বর্ণিত ছিল প্রতিপদে তোমার নিষ্ঠুরতা
আর আমার প্রতি ঘটা চরম বর্বরতা।
তাতে লিখেছিলাম আমার প্রতি ঘটা অন্যায়
তুমি ভয়ে পুড়িয়ে ছিলে,যদি তা প্রকাশ পায়!
বিয়ের সময় চেয়েছিলে পন ৫০ হাজার টাকা
অত টাকা দিতে পারবেন না বলেছিলেন বাবা ।
শেষমেষ তা হল ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা
অবশেষে হয়েছিল আমাদের বিয়েটা।
বিয়ের কয়েকদিন পর শুরু হল কান্ডটা
রোজ রোজ দিতে শুরু করলে টাকার খোঁটা।
টাকা না আনলে বাপের বাড়ি থেকে
প্রচন্ড মারধর শুরু করলে আমার উপরে।
তীব্র অসুস্থতায় যখন থাকতাম বিছানায় শুয়ে
চুলের মুঠি ধরে তুলে সমস্ত কাজ করাতে।
যখন ইচ্ছে হবে আমায় ভোগ করবে
আমি যেন ছিলাম একটা পুতুল তোমার কাছে।
আমার উপর ঘটা সমস্ত অত্যাচার
তা রূপ দিলাম আমার কবিতায়।
একদিন প্রকাশিত হল তা প্রত্রিকায়
জানলো সবাই বিভৎস রূপটা তোমার।
সত্যকে কি কখনো ঢাকা যায়
একদিন তা ঠিকই প্রকাশ পায়।
দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়লো কবিতাটি
মানুষের মুখে মুখে তোমার কুকীর্তি।
বুঝেছিলে সেদিন কলমের শক্তি কতখানি
এই কবিতা কখনো প্রেম আবার কখনো বিপ্লবী।
--------
নাম: ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
জেলা; পূর্ব মেদিনীপুর
রাজ্য: পশ্চিমবঙ্গ
দেশ: ভারতবর্ষ