ধুমপান বিষপান
শেখ আক্তারউজ্জামান দরগাহপুরী(বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা)
ধুমপান বিষপান জেনেও দিনদিন ধুমপানকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ-কুঅভ্যাস থেকে আগামী দিনের নাগরীকগণকে রক্ষা করতে হলে ছোটোবেলা থেকে পিতা মাতা ধুমপানের ক্ষতিকর বিষয় গুলো নিজ নিজ সন্তানদেরকে জানাতে হবে এবং সতর্ক করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ ধুমপান করলে যে, কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে তা ছাত্র ছ।ত্রী দেরকে বোঝাতে হবে। গ্রামে গ্রামে মহল্লায় মহল্লায় যুবকদের নিয়ে ধুপান বিরোধী সভাসমাবেশ কমকরে হলেও মাসে এক দিন করতে হবে। টেলিভিশনে ও রেডিওতে ধুমপানের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে হবে খুব গুরুত্বের সঙ্গে। তা ছাড়া মাঠ-কর্মীর মাধ্যমে ধুমপান মুক্ত নারী ও পুরুষদের জন্য সাদা ফরমে স্বাক্ষর এবং ধুমপানকারী ও যেকোনো নেশা পানকারীদের লাল ফরমে স্বাক্ষর বছরে একবার নেওয়ার ব্যবস্থা করলে ধুমপানকারীর সংখ্যা ধীরেধীরে কোমতে বাধ্য হবে।
বর্তমানে ধুমপানে অভ্যস্ত হয়ে তরুণ-তরুনীরা ধীরেধীরে হীরইন, গাঁজা, মদ ইত্যাদি নেশাদ্রব্য সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তার কারণে তাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়। মাতা-পিতার আশা হয়ে যায় ভঙ্গ; শুধু তাই নয় এই নেশাগ্রস্ত সন্তান তাদের জন্য হয়ে পড়ে বড়ধরনের বোজা। এই সব নেশাগ্রস্থদের মধ্য হতে কেউ কেউ সন্ত্রাসী পথ বেছে নেয়। তখন তারা দেশের শান্তিকামী মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দেশের জন্য মানব সম্পাদ। আর নেশাগ্রস্থ অস্বাভাবিক মানুষ দেশের জন্য বোজা ও ক্ষতিকর।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার এবং সচেতন জনগণ যদি শুরু থেকে ধুমপান বিরোধি মনোভব ভবিষ্যত নাগরীকদের অন্তরে সৃষ্টি করে দিতে পারেন তবে মানব সম্পদ আর বোজা হবে না। আসুন, আমরা সকলে ধুমপান বিরোধী আন্দলন গড়ে তুলি। ধুমপান মুক্ত ও নেশা মুক্ত দেশ ভবিষ্যৎ বংশধরদের হাতে রেখে যাবো এটাই হোক আমাদের সকলের কামনা।।
--------------------------