স্বাধীনতা প্রবন্ধ
বিমল সমদ্দার
আজ স্বাধীনতার স্থপতি দেশে প্রত্যাবর্তন করে স্বাধীনতার পূর্ন মুক্তি আনুষ্ঠানিক ভাবে আমরা করতে পেরেছি।জাতির জনক শেখ মুজিব যার একদফা। বাংলার স্বাধীনতা।
আমি যদি নির্দেশ নাও দিতে পারি তোমাদের এক্সার যা আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পরো। এর নাম কমান্ড। কিসের কমান্ড, স্বাধীনতা যুদ্ধের।
৭ই মার্চ তখন ১৯৭১এর সময় তখন পাকিস্তানের অধীনে থেকে আর কি বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এখনো রাজাকারদের প্রতিহিংসার প্রপাকান্ডা বন্ধ হয়নি।
দুঃখের বিষয় বেশ কিছু অবিবেচক বুদ্ধিজীবী এখনো এই দেশের অগ্রগতির পথ রোধ করতে খেয়ে-নাখেয়ে প্রপাকান্ডা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।
বর্তমান সরকার প্রধান বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে জীবন বাজি রেখে, দেশী বিদেশী কুচক্রীদের, মাথায় পাড়া দিয়ে দেশ এগিয়ে নিয়ে চলছে।
হয়তো যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে তারা।
কারন এই অভুতপূর্ব উন্নয়নের অন্তরায় প্রতিহিংসা এবং বাজার নষ্টের কারনে, বিদেশি কিছু চক্র খুবই তৎপর।
তাদের সাথে জড়িয়ে আছে, আমাদের দেশের কয়েক লক্ষ মির্জাফরের দল। তাদের সাথে মিলে মিসে আছে কিছু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন। যাদের বর্তমান সরকার করে যাচ্ছে শাসন এবং বিচার আচার।
কি করেছে এই পঞ্চাশ বছরে, পূর্বের সরকার গুলো ।
এখন কি করে এই বেপরোয়া উন্নয়ন হচ্ছে।
এখানে শুধু দেশী বিদেশি কুচক্রী মহলই নয়। দেশের আমলা তান্ত্রিক জটিলতা উন্নয়ন এবং দেশের প্রবৃদ্ধি প্রতিবন্ধকতার আর একটি বিরাট অন্তরায়।
কারন ওপেন দুর্নীতি দূরাভিলাষীরা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কিছু সরকারি আমলারা। তাদের অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতি কোন সরকারই রোধ করতে পারছেনা।
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিচক্ষণ দুরদর্শিতায় একদিকে আমলা তান্ত্রিক জটিলতা, অন্য দিকে দেশের কুচক্রী মহল বিদেশে অর্থ লগ্নি করে দেশের উন্নয়ন প্রতিহত করে যাচ্ছে।
তারা রাষ্ট্র দ্রোহী। তাদের অন-উপস্থিতিতে বিচার করে ফাঁসির আদেশ দেয়া দরকার।
নকশাল'রা যেমন কোন রাষ্ট্র বানাতে পারবেনা অথচ মানুষ মারে শ্রেণী শত্রু হিসাবে। এরাও তেমন কোন রাষ্ট্র বানাতে পারনেনা, তবে দেশের অবকাঠামো নির্মাণ এবং নিয়মতান্ত্রিক উন্নয়ন রোধে সত্যিকারের নেতাকে মেরে দেশকে পিছ সরিয়ে দেয়। নোংরা রাজনৈতিক উৎতাপে।
তাই আজ এই বর্তমান সরকার বাধ্য হয়ে আর্মিদের প্রশাসনে এনে, উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সাধন করছে।তা না'হলে কোন ভাবেই এই উন্নয়ন করা সম্ভব হইতোনা।
এখনো মাঝে মাঝে কিছু কাজ এই আমলাদের মাধ্যমে দেয়া আছে, দেখুন সে কাজের মান এবং অগ্রগতি কোথায়।
হাসিনার উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি এই আর্মি ব্যবহার করেই হয়। তা না হলে নয়।
যার কারনে, এখন তলে তলে কোট কাচারি কিছু কিছু সরকারি বড় বড় আমলারা অনবরত প্রতিটি প্রকল্পের ভুলভাল হিসাব, আর বাংলাদেশ এই শ্রীলঙ্কা হয়ে গেল বলে ধর্মীয় অনুভূতি কে ভুল পথে ব্যবহার করে, প্রতিটি প্রকল্পের ভুল ব্যখ্যা অপপ্রচার চালিয়ে, জনমনে একটা বদ্ধমূল ভুলধারনার বিজ বপন করে দেশের উন্নয়ন রোধে কাজ করে যাচ্ছে।
এখানে আমাদের দেশের অর্থ যারা বিদেশে নিয়েছে হাজার হাজার কুটি টাকা।
তারা লুট পাটের টাকা নিয়ে বসে আছে, তারাই তাদের সেই অবৈধ অর্থে ভারাটে খুনি এবং লভিষ্ট নিয়োগ করে দেশ ধ্বংসের পায়তারা করছে।
দুঃখের বিষয় হইল, যে, জনগনের জন্য জীবন বাজী রেখে জিনি কাজ করে যাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে এবং তার পরিবারের প্রতিটি সদশ্যের এমন কি আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে অপোপ্রচার করে যাচ্ছে।
আবার তাদের থেকে যাহারা সুবিধা নিচ্ছে তারাও এই প্রপাকান্ডা করে বেড়াচ্ছে।
এন এস আই দের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করলেই তাও বেড়িয়ে আসবে।
অন্য দিকে বর্তমান সরকারের কাছের কিছু মানুষের, দুর্ব্যবহার সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট।
তারা কেন যেন বিনয়ী হইতেই পারছেনা। জনসাধারণের ধারে কাছেই যেন তাহারা নেই। অহমিকা অনেক বেশী মনে হচ্ছে। তারা সবাই যেন প্রধান মন্ত্রী।
আর্মিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পায়তারা করছে আর একটা শ্রেনী ।
আর্মির বড় বড় অফিসার যাহারা দেশের উন্নয়ন কার্জে অতন্ত্র প্রহরী। তাদের নামে অপবাদ দিয়ে তাদের নিম্নোক্ত কর্মকর্তাদের খেপিয়ে কু'করার পায়তারা চালাচ্ছে একদল ।
সব শেষ হয়ে যাচ্ছে, এই সরকার পালালো বলে,গদি ছেড়ে পালাবে। এমন ভাবে কতো কথা বলছে, যেন সরকার দ্রুতই কারো হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর কারার জন্য লোক খুঁজছে।
তারা প্রতিনিয়ত ভুলভাল কথা বলে যাচ্ছে, এই পদ্মাসেতু নিয়ে প্রথম বলছে, এই পদ্মাসেতু কি করে নিজেদের অর্থায়নে করবে?
হাসিনার বাবা টাকা রেখে রেখে গেছে, তাই দিয়ে করবে। কিছু জানেনা বুঝেনা যাখুশি তাই বলছে হাসিনা।
আরে সেই পদ্মাসেতুতো হয়েই গেল।
করোনাও থামাতে পারলোনা,এর কাজ।
একই সাথে কি করে কর্নফুলী টানেল এটা আর একটা পাগলামি হাসিনার।
আরে তা আবার কর্নফুলী টানেল করেই ফেললো হাসিনা।
মেট্রে ট্রেন এটা ভুয়া প্রকল্প তাও বলছে ভাগার সময় হয়েছে তাই নাম ফুটাতে নামকরন করছে, এগুলো হাসিনার স্বপ্ন।
এখন মেট্রে রেলে মানুষের ভির। লাইনে দাড়িয়ে টিকেট নিতে হয়। আশুলিয়া থেকে ১০মিনিটে খামারবাড়ি তা কি করে এটা হইল।
মানুষ জানেনা বরিশালের পায়রাবন্দ, তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প, বরিশাল ক্যান্টন মেন্ট। মাতার বাড়ি গভীর সমূদ্র বন্দর। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে সময় লাগবে ৪/৫ঘন্টা, রেলে করে।
ঢাকা থেকে মঙ্গলা যাবে ৩/৪ ঘন্টায় যাওয়া যাবে, এখন ঢাকা থেকে বরিশাল যায় মাত্র ৩ ঘন্টায় যাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম সাবমেরিন ঘাটি। কক্সবাজার আধুনিক রেলষ্টেশন। ঢাকায় আর চট্টগ্রামে বড় বড় উড়াল পথে হাইওয়ে এক্সপ্রেস ওয়ে। যাহা কত তারা তারি যত্র তত্র যাওয়া আসা যাবে। এই সারা বাংলাদেশের চার লেইন ছয় লেইন শরক। সারা বাংলা দেশের অভুতপূর্ব যোগাযোগ ব্যাবস্থা। দেশের অভুতপূর্ব উন্নয়ন এনেদিবে। সারা দেশে চলছে দেশের অবকাঠামো নির্মান।এই অবকাঠামো হচ্ছে বলেই দেশের অভুতপূর্ব উন্নয়ন। এবং এই অবকাঠামো হচ্ছে শিল্পবিপ্লব এর মূল মন্ত্র।শিল্প ছাড়া দেশ এগোতে পারেনা, শিল্প করতে উউৎপাদন শক্তি দরকার উৎপাদন শক্তি হচ্ছে গ্যাস বিদ্যুৎ তেল আর জনগণ। আমাদের এই জনগণকে কাজে লাগাতে পারলেই আমরা বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তির রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারব।
যখন দেশে বিপ্লব চলে তখন এক দলের গনতন্ত্র থাকে যারা বিপ্লবের সাথে জড়িত শুধু তাদেরই স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে।বাদ বাকি যাহারা বিরোধিতা করবে তারা রষ্ট্র দ্রোহী তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে বন্দি রাখতে হয়।
এখন দেশের অবকাঠামো নির্মাণ ঠেকাতে একই শ্লোগান অতিরিক্ত ব্যায় করছে। টাকা চুরি করছে।
আরে কাজ করাচ্ছে আর্মি, তারা টাকা মারেনা তারা দেশ গড়ে, তারা মাঠে বিধায় উন্নয়নের সুফল দেখা যাচ্ছে।তারা মাঠে না নামলে কোন প্রজেক্ট প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা যেতোনা।করতে দেয়া হতোনা।তাহলে এখন যে যুদ্ধ চলছে তা বুঝতে বাকী নাই।তাই আরো মাত্র দশটি বছর অপেক্ষা করতে হবে।
এখন কোন কোন ক্ষেত্রে আয় দেখা দিচ্ছে। এক পদ্মা সেতু। রংপুরের গ্যাস কয়লা বিদ্যুত রক্ষনাবেক্ষন করতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তার সাথে তিস্তা ব্যারেজ দেশকে স্বনির্ভর হবার দার খুলে দিবে। জলের জন্য আমাদের আর কারো কাছে। ধর্না ধরতে হবেনা।বড়ং তারাই আমাদের দারস্ত হইতে হবে এই নিয়েই এখন বাদ বিতন্ডা চলছে।
অন্য দিকে ক্ষমতা পেতে হন্নে হয়ে পাগলের মতো লোভিষ্ঠ নিয়োগ দিচ্ছে যে কোন অসমচুক্তিতে ক্ষমতা দকলে যেতে বদ্ধ পরিকর।
আর গোপন সরযন্ত্র চালাছে, ভিতরে বাহিরে। জামাত বিএনপি। একহাট্টা হয়ে বিদেশী দের টাকায় এবং দেশ থেকে লুটপাট করে যে টাকার পাহার করে বিদেশে যাহারা অবস্থন করছে তারা।
যাদের দেশের মাটিতে কবর দেয়ার জায়গাও তারা।
******

