শ্রাবণের আজ মেঘকন্যা
ভীষণ খুশি মনে,
আকাশ জুড়ে খেলছে সেজে
আনন্দে ভরে প্রাণে।
কাজল কালো মেঘ ছড়িয়ে
ঢাকছে আকাশ, আলো,
এক নিমেষেই মেঘ সরিয়ে
এক পশলা জল ঢেলে দিল।
কখনো হাসে, কখনো কাঁদে
কখনো গাল ফুলিয়ে বসে,
দমকা হাওয়ার পিছু পিছু
যায় চলে ভেসে ভেসে।
মেঘকন্যার খেলা দেখে
রৌদদ্রী এসে বলে,
আয় রে সই লুকোচুরি
খেলব দুজন মিলে।
দুইজনের এই খেলা দেখে
বজ্র গেল রেগে,
অট্টহেসে বলে, আলো-কালোর
এ কেমন খেয়াল জাগে।
আলো থাকে সোনা মেখে,
কালো আঁধার মেখে,
দুইজনের এই বন্ধুত্ব
জ্বলছে শরীর দেখে।
বজ্রের কথা শুনে এলো
মেঘের চোখে জল,
তারপর মেঘ বলে রেগে
চল রে বজ্র দেখবি চল।
ঐ দেখ ঐ শুকনো মাটি,
অভুক্ত চাষির দল,
ডাকছে মরু, ডাকছে প্রাণ
আমিই তাদের বল।
আঁধার কালো বলেই এত
ভোরাই লাগে ভালো,
মূর্খরা সব বিভেদ করে
থাকে মনেই আসল কালো।
সাদা কালো দুই ই ভালো
গুরুত্ব দুই এর সমান,
পরিপূরকের হয় না বিভেদ
ইতিহাসে আছে তার প্রমাণ।
মেঘকন্যার কথা শুনে
বজ্র গেল থেমে,
ফ্যালফেলিয়ে দেখছে শুধু
অবাক তাদের প্রেমে।
মেঘকন্যার আড়াল ঘেঁষে
ছড়িয়ে দিয়ে আলো,
আবার খেলায় উঠল মেতে
প্রেমের সুবাস ছড়িয়ে দিল।