অত্যাচরের শেষ কোথায়?। অত্যাচার নিয়ে রচনা। অত্যাচার অনুচ্ছেদ

অত্যাচরের শেষ কোথায়?
রঞ্জিত কুমার রায়

ভাবতে অবাক লাগে দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরে ও আমরা কি সঠিকভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইচ্ছার রাস্তায় চলতে পারছি। আমার তো মনে হয় না!আজকে আমরা দেখছি যত বড় বড় শহর দেখছেন সেখানে ইংরেজদের কিছু না কিছু অবদান আপনি অবশ্যই খুঁজলে পাবেন। ওরা অনেক করেছে আমাদের দেশের জন্য তবে হ্যাঁ ইতিহাস বলে নিয়েও গেছে অনেক কিছু আর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আর ও অনেক সাধারণ নাগরিকদের উপর ও চালিয়েছেন অনেক অত্যাচার।

আজকে কলকাতা থেকে শুরু করে আশেপাশে ছোট ছোট উপশহর শহরের পত্তন করেন ইংরেজরা। কলকাতা শিলিগুড়ি চন্দননগর মুর্শিদাবাদ এবং বিশেষ করে গঙ্গার আশেপাশে পাহাড়ের আশেপাশে এবং ছোট বড় অনেক শহরে অনেক কিছু ওরা করেছেন। সেই সব স্মৃতি এখনো ওদের সাক্ষী বহন করে। ওদের তৈরি করা এখনো অনেক বিল্ডিং এবং রাজভবন স্টেশন এরকম অনেক কিছুই রয়েছে। আজকে আমরা দিন দিন কোথায় পৌঁছে যাচ্ছি আমার তো মনে হয় অত্যাচারের দিক থেকে আমরা ইংরেজদের ও ছাড়িয়ে যাচ্ছি।

আজকাল প্রত্যান্ত গ্রামে যেসব ঘটনা ঘটছে জানিনা এর সত্যতা কতটা কিন্তু অনেক রাজ্যেই আমরা দেখছি নানা রকম হিংসার দাবানল! চারিদিকের  ঘটনা দেখলে শুনলে আমাদের লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে । সেখানে নেই মা-বোনেদের সম্মান নেই মানুষ হিসেবে নেই মানুষের সম্মান। মানুষ আর কতদিন এভাবে চলবে অমানুষের মতো আচরণ যাদের হাতে যত ক্ষমতা তারা  করবে ক্ষমতার অপব্যবহার? এভাবে চলতে থাকলে মানুষ হয়তো বাঁচার জন্য আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এখনো সময় আছে সংবিধান অনুযায়ী চলুক সবাই নাগরিক দের আছে অনেক দায়িত্ব। কোন ভাবেই কেউ গাঁয়ের জোরে ক্ষমতায় এসে যা খুশী তাই করবেন না। ক্ষমতায় আনার মূলে নাগরিকরাই থাকে সাথে সাথে তাদের নিয়েই চলতে হবে।তাদের সাথে অবিচার কখনোই ঠিক নয়। সত্যি মিথ্যা যাচাই করার আমরা কেউ নই, যাদের উপর অন্যায় হয় যারা অন্যায় করে তারাই সবথেকে ভালো জানবে। ব্রিটিশদের অত্যাচার ছিল একরকম আর এখন মানুষে মানুষে হানাহানি মারামারি যেটা হচ্ছে সেটা কারা সৃষ্টি করছে। জানিনা এই অত্যাচারের শেষ কোথায় হবে? মানুষের সাথে মানুষ থাকুক মিলেমিশে।

স্বত্ব সংরক্ষিত।

Post a Comment