বড় দিন কি?।যীশু খ্রীষ্টের জীবনী।যীশু খ্রিস্ট কে কেন মারা হয়েছিল।যীশু খ্রীষ্টের জীবন কাহিনী

বড় দিন কি?

বড় দিন, যা ক্রিসমাস নামেও পরিচিত, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি  বছরের ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় এবং যীশু খ্রিস্টের জন্মের স্মরণে উদযাপন করা হয়। 

বড় দিনের ইতিহাস প্রাচীন কালে শুরু হয়। যীশু খ্রিস্টের জন্মের সময় exact তারিখ জানা না থাকলেও, ৪র্থ শতাব্দীর আগে থেকে ২৫ ডিসেম্বরকে যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করা শুরু হয়। এটি প্রথমে রোমানদের একটি Pagan উৎসব, ‘সল ইনভিকটাস’ (Unconquered Sun) এর সাথে সম্পর্কিত ছিল, যা শীতকালে সূর্যের পুনর্জন্মের উপcelebration ছিল। ক্রিস্টানরা এই সময়ে যীশুর জন্মের উদযাপন শুরু করে।

ধীরে ধীরে, বড় দিন বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রূপে পালিত হতে থাকে। খ্রিস্টীয় ধর্মের প্রচার ও মনোভাবের মাধ্যমে এটি একটি বিশ্বব্যাপী উৎসবে পরিণত হয়েছে। বড় দিনে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়, এবং এটি পরিবারের সাথে একত্রিত হওয়ার সময় হয়ে দাঁড়ায়। 

আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে বড় দিন উদযাপনের শৃঙ্গারিক উদ্ভাবন, সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি, এবং উপহার দেওয়ার রীতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বড় দিন শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব নয়, বরং বন্ধন ও প্রেমের উদযাপন হিসেবেও এটি চিহ্নিত হয়।

যীশু জন্মদিন


যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন, যা বড় দিন বা ক্রিসমাস নামেও পরিচিত, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যীশুর জন্মের সঠিক তারিখ জানা যায়নি, তবে এটি সাধারণত ২৫ ডিসেম্বর উল্লেখ করা হয়। এর পেছনে ইতিহাস ও ধারণা রয়েছে।

প্রাচীন রোমে এ দিনটি ‘সল ইনভিকটাস’ (Unconquered Sun) উৎসব হিসাবেও পালিত হত। এটি সূর্যের পুনর্জন্ম উদযাপন করত এবং শীতকালীন অন্ধকার শেষে আলো ফেরার प्रतीক ছিল। ৩ শতাব্দীর পরে ধর্মযাজকরা এই রোমান উৎসবকে যীশুর জন্মের সাথে মিলিয়ে একটি ধর্মীয় উৎসবে পরিণত করেন।

৪র্থ শতাব্দীতে প্রথম গির্জার তত্ত্বাবধানে ২৫ ডিসেম্বরকে যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালিত হতে শুরু করে। এই সিদ্ধান্ত সাধারণভাবে খ্রিস্টান ধর্মের উন্নতিকালে গৃহীত হয় এবং এর ফলে বড় দিন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পান। 

যীশুর জন্মের ঘটনা চারটি প্রধান গসপেল—মথি, মার্ক, লূক ও জনে উল্লেখ করা হয়েছে। এইসব গসপেলে বলা হয়েছে, যীশুর জন্ম Bethlehem-এ, মেরি ও যোসেফের জন্য এটি ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। 

বড় দিন পালনের সময়, গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, আদর্শ উপাসনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি ও উপহার বিনিময়ের মতো আধুনিক রীতির উদ্ভবও ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 

এতে, মানবতার জন্য প্রেম, compassion, এবং একতার বার্তা বিদ্যমান। বড় দিন বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নানা ধরণের ঐতিহ্য ও রীতির সাথে পালন করা হয়, যা মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

যীশু খ্রিস্ট কে কেন মারা হয়েছিল


যীশু খ্রিষ্টকে মারা হয়েছিল মূলত ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক কারণে। ধর্মীয় নেতৃত্ব, যেমন ফারিসি ও সাদুকি নেতারা, ক্ষমতা ও তাদের প্রথার প্রতি হুমকি মনে করেছিলেন যীশুকে। তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন একটি ধর্মের বার্তা ছড়িয়ে দেন, যা তাদের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করছিল। 
যীশুর শিষ্যেরা এবং তার উপদেশগুলি রোমান শাসকদের নীতির বিরোধী ছিল। রোমান কর্তৃপক্ষ শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য যীশুকে ক্রুশে টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারা তাকে 'রাজা' হিসেবে নিয়ে যাওয়ার কারণে জনগণের মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল।
শেষ পর্যন্ত, ধর্মীয় বিচারকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয় এবং ক্রুশবিদ্ধ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর ফলস্বরূপ, যীশুর মৃত্যুকে খ্রিষ্ট ধর্মের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা পরে তার পুনরুজ্জীবন দ্বারা প্রতীকীত হয়ে ওঠে।

বড় দিন নিয়ে রচনা

বড় দিন, বা ক্রিসমাস, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটি যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় গুরুত্বে বড় দিন হলো একটি বিশেষ অনুষ্ঠান।

বড় দিনের পেছনের ইতিহাস প্রাচীন রোম থেকে শুরু হয়। সেখানে ২৫ ডিসেম্বর দিনটি 'সল ইনভিকটাস' উৎসব হিসেবে পালিত হত, যা সূর্যের পুনর্জন্মকে উদযাপন করত। খ্রিস্টধর্মের প্রচারের সাথে সাথে এই দিনটি যীশুর জন্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ওঠে। ৪র্থ শতাব্দী থেকে জন্য এটি ধর্মীয়ভাবে উদযাপিত হওয়ার আনুষ্ঠানিক শুরু হয়।

বড় দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতিতে আনন্দ এবং উৎসবের একটি বিশেষ সময়। মানুষ এই দিনটি একত্রিত হয়, পরিবার ও বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং আয়োজিত বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেয়। গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং মেজাজের জন্য সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়। 

বড় দিন উদ্যাপন করার সময় সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি, এবং উপহার বিনিময়ের রীতি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। সান্তা ক্লজ, শীতকালে শিশুদেরকে উপহার দিয়ে থাকে, যা একটি আনন্দদায়ক রীতি। ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর মধ্য দিয়ে পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে সন্তুষ্টি এবং ভালোবাসা প্রকাশিত হয়।

ক্রিসমাসের মূল বার্তা হলো প্রেম এবং মহত্বের শিক্ষা। এটি জনগণের মধ্যে একটি ঐক্য এবং সহানুভূতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে উদ্বুদ্ধ করে। অনেকেই এই দিনটিকে charities এবং দান করে দ্রষ্টব্য হিসেবে পালন করেন। 

বড় দিন শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি মানবিক সম্পর্কের, ভালোবাসা এবং সহযোগিতার উৎসব। বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দেশগুলোতে কাটাতে এই দিনটি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উদযাপন করলেও, তার মূলত্ব থাকে সবার হৃদয়ে। বড় দিন, সত্যিকার অর্থে, মানবতা এবং শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়।

Post a Comment