কিডনি ভালো রাখার জন্য কয়েকটি টিপস। কিডনি রোগের লক্ষণ।অন্ডকোষ কিটকিট কেন করে?।কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

কিডনি ভালো রাখার জন্য কয়েকটি টিপস অনুসরণ করুন:

বিশেষভাবে জল পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন, এটি কিডনির মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

সুস্থ খাদ্যাভ্যাস: শাকসবজি, ফল, এবং সম্পূর্ণ শস্য খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত খাবার কমান।

লবণ সীমিত করুন: বেশি লবণ খাওয়া কিডনির উপর চাপ ফেলে, তাই লবণের গ্রহণ সীমিত করুন।

প্রচুর ফল ও শাকসবজি: পটাসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো কিডনিকে সুস্থ রাখে।

শরীরচর্চা: নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়ান: বেশি অ্যালকোহল এবং ধূমপান কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

রক্তচাপে নজরদারি: উচ্চ রক্তচাপ কিডনির উপর চাপ ফেলে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে হবে।

মেডিকেল চেকআপ: সময়ে সময়ে কিডনি ফাংশন পরীক্ষার জন্য ডাক্তারকে দেখান।

পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ও কোয়ালিটির ঘুম কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এগুলি মেনে চলা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি।ৎ

কিডনি রোগের লক্ষণ

সবসময় ক্লান্তি
কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্তি, দুর্বল অনুভব করা, ওজন কমে যাওয়া এরকম যদি নিয়মিত হতে থাকে। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয় সে কারণে এই ক্লান্তিভাব হয়।

ফোলাভাব
বিশেষ করে চোখের নিচে, পায়ের গোড়ালি ও হাতে ফোলা ভাব।একটু বেশি ঘুমালে বা অ্যালার্জির কারণে ফুলে যাওয়ার সাথে কিডনির অসুখে ফোলার পার্থক্য হচ্ছে এর স্থায়িত্ব।

"যদি চোখের নিচে, পায়ের গোড়ালি ফোলাভাব স্থায়ী হয়, এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ হয় তাহলে সেটা কিডনি'র কারণে হতে পারে।"

কিডনি যখন শরীর থেকে পানি বের করতে পারে না তখন তা শরীরে জমে গিয়ে এই ফোলাভাব হয়।

ঘুমের ব্যাঘাত

কিডনি'র অসুখে বলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
এটিও কিডনি সমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে। কিডনি যখন শরীর থেকে পানি নিঃসরণ করতে পারে না তখন কিছু পানি ফুসফুসে জমে যায়। সে কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

"দাঁড়ানো অবস্থায় বুক ভরে শ্বাস নেয়া যায় কিন্তু দেখা যায় শোয়া অবস্থায় বুক পুরোপুরি প্রসারিত হতে পারে না। পানি জমলে সমস্যাটা বেশি হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসে সমস্যা হয় বলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

ত্বকের সমস্যা ও রঙ পরিবর্তন
কিডনির একটি কাজ হল শরীর থেকে সব ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া। কিডনি সেই কাজটি ঠিকমতো করতে না পারলে ত্বকে এর ছাপ পড়ে।

যেমন শরীরের ইউরিয়া বের হতে না পেরে ত্বকের নিচে জমা হতে থাকে। তখন চুলকানি হয়, ত্বকের রঙ পরিবর্তন ও খসখসে হয়ে যেতে পারে, ফুসকুড়ি হতে পারে।

ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে থাকলে কিংবা রক্তের চর্বি বেড়ে থাকলে অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কিডনি বিকলের প্রধান কারণ এগুলোই।

কিডনির রোগের লক্ষণগুলোকে জানুন। ক্ষুধামান্দ্য, বমিভাব, প্রস্রাব কম হওয়া, পায়ে পানি আসা প্রভৃতি হতে পারে কিডনি রোগের লক্ষণ। লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসা নিন।

যেকোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগের ক্ষেত্রে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো এবং রোগের জটিলতার লক্ষণ সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন। রোগীর পরিবার কিংবা রোগীর সেবা দেন যিনি, তাঁদেরও বিষয়গুলো জানতে হবে।

অন্ডকোষ কিটকিট কেন করে?

ডান অন্ডকোষ কিটকিট করার বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। সাধারণত এটি অন্ডকোষের স্বাস্থ্য, হৃদরোগের সমস্যা অথবা বিভিন্ন রকমের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। কিছু কারণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন: কিটকিট করার সময় শরীর টেস্টোস্টেরন প্রস্তুত করে, যা পুরুষের প্রজনন কার্যকলাপে গুরুত্বপূর্ণ।

মস্তিষ্কের সংকেত: মস্তিষ্ক থেকে সংকেত পাওয়ার ফলে নাড়ি সঙ্কুচিত হয়ে কিটকিট সৃষ্টি হয়।

দুর্বলতা বা ঝুঁকি: কখনও কখনও কিছু শারীরিক অবস্থার কারণে কিটকিট হতে পারে, যেমন ফেরি বা এপিডিডিমাইটিস।

রক্ত সঞ্চালন: রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে অন্ডকোষ কিটকিট করতে পারে।

সবসময় যদি কিটকিট অনেক বেশি হয় বা অসুবিধা বোধ হয়, তবে ডাক্তারকে দেখানো উচিত।

Post a Comment