#প্রবন্ধ
শিরোনাম : এই মোবাইলই আজকের ছেলেমেয়েদের নষ্ট করেছে
রচনাকারী : তাশরীফ তালুকদার
আজকের সময়ে মোবাইলের সুফল যেমন প্রত্যক্ষ, সমান প্রত্যক্ষ না হলেও সমান স্ত্য এটাও যে মোবাইলের ব্যভার বয়ে আনতে পারে মারাত্মক এবং ভয়াবহ পরিণাম।
মোবাইল কি, এর ইতিহাস কি, কিভাবে কাজ করে, এইসব নিয়ে সবারই কম বেশি ধারণা রয়েছে। আজকে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই, তা হলো মোবাইলের লাভ বেশি না ক্ষতি বেশি । এক মোবাইল যে কতো কিছুর জায়গা দখল করে আছে তা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না।
•ক্যামেরা
•ঘড়ি
•ক্যালেন্ডার
•ফোন
•চিঠি
•টর্চ
•জিপিএস
•টিভি
•খাতা কলম
ইত্যাদি সহ ইন্টারনেট পাওয়া গেলে আরো কত কি যে করা যায় তার হিসাব নেই। জীবনযাপনে ধারা বদলে দিয়েছে মোবাইল ফোন। আয় রোজগারের এক নতুন জগৎ উন্মোচিত হয়েছে মানুষের সামনে। কম বেশি আমরা সবাই জানি মানি যে মোবাইল আমাদের কাছে আশীর্বাদ স্বরুপ।
তবে সুফলের সাথে সঙ্গী করে এটি কিছু কুফল নিয়ে এসেছে। অপ্রয়োজনে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে থাকা। Social media তে ঘন্টার পর ঘন্টা Scrolling করতে থাকা। Social media তে চাইলেই পরিচয় গোপন করে গালিগালাজ, ব্যাক্তিগত এবং পেশাদার তথ্য হাতিয়ে নেয়া কিংবা টে*রোরিসম মূলক কাজে জড়য়ে পড়া যায়। তাছারা বর্ত্মানে মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীদের মধ্যে বেশিরভাগ প*র্ণোগ্রাফিতে আসক্ত, যা মাদকের আসক্তি থেকেও ভয়াবহ। এইসবের জন্য সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। social media তে privacy সম্পূর্ণ রুপে অনিশ্চিত। তাছাড়া নানারকম আসক্তির ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
দেখেন, মোবাইল ফোন একটা যন্ত্র। যন্ত্রের হাজার রকমের ব্যবহার থাকতে পারে। ছুরি(knife) যেমন একদিকে খাবার তৈরিতে সাহায্য করে অন্যদিকে এটা ব্যবহার করে মানুষ খুন ও করা যায়। তাই বলে এটা ছুরির দোষ নয় যে তাকে ব্যবহার করে মানুষ খুন হয়েছে। একটা যন্ত্রের সুফল অথবা কুফল নির্ভর করে আপনি যন্ত্রটিকে কিভাবে ব্যবহার করছেন। মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ও ব্যাপারটা এরকম। সংযমের সাথে এটি ব্যবহার করলে নিজের জন্য এবং সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনা সম্ভব। সংযমের অভাব, বিশঙখল মনোভাব, খারাপ স্বভাব নিয়ে মোবাইল ব্যবহার করলে ফলাফল ও খারাপ হবে৷ তাই যত দোষ নন্দ ঘোষ বলে মোবাইলকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
মোবাইল নিয়ে রচনা
মোবাইল ফোন আধুনিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি যোগাযোগের উপায়কে সহজতর করেছে। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ছাড়া একদিনের কথা ভাবা দুষ্কর।
মোবাইল ফোনের প্রথম উদ্ভাবন ঘটে ১৯৭৩ সালে, তবে সেই সময়ের ফোন আজকের ফোনের তুলনায় অতি primitively ছিল। আজকের স্মার্টফোনগুলি বহুগুণে উন্নত, যা ইন্টারনেট, ক্যামেরা, এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সমৃদ্ধ।
মোবাইল ফোনের সুবিধা অনেক। এটি ব্যবহারকারীদেরকে যে কোনো জায়গা থেকে যোগাযোগের সুযোগ এনে দেয়। বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা বলা, মেসেজ পাঠানো, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সকলের সাথে যুক্ত থাকা সম্ভব। এর মাধ্যমে ব্যবসার ক্ষেত্রে যোগাযোগ, মার্কেটিং এবং তথ্য আদান-প্রদান আরও দ্রুত ও সহজ হয়ে ওঠে।
তবে মোবাইল ফোনের কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যেমন চোখে চাপ ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি। শিশুদের কাছে মোবাইল ফোন একটি আসক্তির কারণ হতে পারে, যা তাদের সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ভূমিকা অপরিহার্য। এর সঠিক ব্যবহার আমাদের জীবনকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে সাহায্য করে। তবে, সঠিক ব্যবহার ও প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে মোবাইল ফোন আমাদের জন্য একটি সুবিধা হিসেবে থাকে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, মোবাইল ফোন একটি শক্তিশালী টুল যা আমাদের জীবনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। তবে, এর সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।