আরবি ভাষা দিবস।আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস।বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস



আরবি ভাষা দিবস (Arabic Language Day) প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর পালন করা হয়। ২০১০ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) এই দিনটিকে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দিনটির উদ্দেশ্য হলো আরবি ভাষার সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং বৈশ্বিক প্রভাব উদযাপন করা।

আরবি ভাষার গুরুত্ব
জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার একটি: আরবি ভাষা বিশ্বের প্রায় ৪০০ মিলিয়নের বেশি মানুষের মাতৃভাষা। এটি ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের ভাষা হওয়ায় আরও কোটি কোটি মানুষের কাছে তা গুরুত্বপূর্ণ।
  • সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: আরবি ভাষা বিজ্ঞান, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা, সাহিত্য এবং দর্শনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
  • বৈচিত্র্যময় উপভাষা: আধুনিক মান আরবি (Modern Standard Arabic) ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবহৃত বহু উপভাষা রয়েছে।
  • ১৮ ডিসেম্বর কেন?
১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আরবি ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা পায়। এই ঘটনাটি আরবি ভাষার গুরুত্বকে আরও প্রতিষ্ঠিত করে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে দিনটি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উদযাপনের ধরণ
  • বিভিন্ন স্থানে সেমিনার, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
  • আরবি ভাষার সাহিত্য এবং কাব্যের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরবি ভাষা শেখানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। দিনটির মূল লক্ষ্য হলো আরবি ভাষার ঐতিহ্য, সৌন্দর্য এবং বিশ্ব সংস্কৃতিতে এর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। এটি ইউনেস্কোর উদ্যোগে ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

দিনটির প্রেক্ষাপট
১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, জাতিসংঘ আরবি ভাষাকে তাদের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার একটি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
ইউনেস্কো আরবি ভাষার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও বৈশ্বিক অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
আরবি ভাষার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব
বিশ্বের একটি প্রাচীনতম ভাষা:

আরবি ভাষার শিকড় খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে পৌঁছায়।
এটি মূলত সেমিটিক ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
ব্যাপক ব্যবহার:

আরবি ভাষা বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশে সরকারিভাবে ব্যবহৃত হয় এবং প্রায় ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা।
ধর্মীয় গুরুত্ব:

ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন আরবি ভাষায় লেখা, যা কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় জীবন ও সংস্কৃতির অংশ।
বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিতে অবদান:

মধ্যযুগে আরবি ভাষায় রচিত গ্রন্থগুলো বিজ্ঞান, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা এবং দর্শনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অনেক ইউরোপীয় ভাষায় আরবি থেকে বহু শব্দ গৃহীত হয়েছে।
দিবসটি উদযাপন
শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম:
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা শেখানো, প্রতিযোগিতা এবং সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আরবি সাহিত্য ও কাব্যের উদযাপন:
  • বিখ্যাত আরবি সাহিত্যিকদের রচনা পাঠ ও আলোচনা করা হয়।
  • বিশ্ব সংস্কৃতিতে আরবি ভাষার অবদান তুলে ধরা:
  • বিভিন্ন স্থানে আরবি ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, গান এবং নৃত্য পরিবেশনা আয়োজিত হয়।

Post a Comment