দশম গ্রেডের বেতন কত।দশম গ্রেডের বেতন কাঠামো।দশম গ্রেডের বেতন স্কেল কত

১০ম গ্রেডের বেতন কাঠামো ও সংশ্লিষ্ট তথ্য (জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী)


১০ম গ্রেডের মূল বেতন স্কেল

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

মূল বেতন শুরু: ১৬,০০০/- টাকা

মূল বেতনের সর্বোচ্চ সীমা: ৩৮,৬৪০/- টাকা

বেতন স্কেল অনুযায়ী ধাপ:

১৬০০০ → ১৬৮০০ → ১৭৬৪০ → ১৮৫৩০ → ১৯৪৬০ → ২০৪৪০ → ২১৪৭০ → ২২৫৫০ → ২৩৬৮০ → ২৪৮৭০ → ২৬১২০ → ২৭৪৩০ → ২৮৮১০ → ৩০২৬০ → ৩১৭৮০ → ৩৩৩৭০ → ৩৫০৪০ → ৩৬৮০০ → ৩৮৬৪০


১০ম গ্রেডের সর্বসাকুল্যে বেতন

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ১০ম গ্রেডে একজন কর্মচারীর মোট বেতন ও ভাতা নিম্নরূপ:

মূল বেতন: ১৬,০০০/- টাকা

বাড়ি ভাড়া ভাতা:

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন: মূল বেতনের ৬০% → ৯,৬০০/- টাকা

অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন (চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার): মূল বেতনের ৫০% → ৮,০০০/- টাকা

অন্যান্য স্থান: মূল বেতনের ৪৫% → ৭,২০০/- টাকা

মেডিকেল ভাতা: ১,৫০০/- টাকা

মোট বেতন (ঢাকা অঞ্চলে):

১৬,০০০ (মূল বেতন) + ৯,৬০০ (বাড়ি ভাড়া) + ১,৫০০ (মেডিকেল ভাতা) = ২৭,১০০/- টাকা।


১০ম গ্রেডে কর্মরত পদের তালিকা

১০ম গ্রেডে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে। যেমন:

  • পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক
  • পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)
  • সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক
  • সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা
  • উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা
  • সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা
  • এসএএস সুপারিনটেনডেন্ট

১৩তম গ্রেডের বঞ্চনা ও সহকারী শিক্ষকদের দাবি

বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা রাষ্ট্রের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন। তাদের সর্বসাকুল্যে বেতন: ১৭,৬৫০/- টাকা, যা ১০ম গ্রেডের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি

"মানুষ গড়ার কারিগর" খ্যাত সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড চান। তাদের দাবি, শিক্ষা ও দক্ষতার মান বিবেচনায় তাদেরকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হোক।

উপসংহার:

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ১০ম গ্রেডের বেতন কাঠামো অনেক সম্মানজনক। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দাবি যুক্তিসঙ্গত এবং এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। শিক্ষা খাতের উন্নতির জন্য শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি অপরিহার্য।

১০ম গ্রেডের পেনশনের হিসাব

সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরি শেষে পেনশন একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। এটি মূলত সর্বশেষ বেসিক বা মূল বেতনের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়।


উদাহরণ হিসেবে পেনশন হিসাব:

যদি মূল বেতন ৩৪,০০০ টাকা হয়:

চাকরি শেষে মোট পেনশন: প্রায় ৩৫ থেকে ৩৭ লক্ষ টাকা।

যদি মূল বেতন ৩৮,০০০ টাকা হয়:

চাকরি শেষে মোট পেনশন: প্রায় ৩৯ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা।

যদি মূল বেতন ১৮,০০০ টাকা হয়:

চাকরি শেষে মোট পেনশন: প্রায় ৩০ থেকে ৩১ লক্ষ টাকা।

পেনশন সংক্রান্ত অতিরিক্ত সুবিধা:

চাকরি শেষে গ্র্যাচুইটির টাকা পেনশনের সঙ্গে যোগ হয়।

দীর্ঘ চাকরি জীবনের জন্য বিদায়ী বোনাসও প্রাপ্ত হয়।

১০ম গ্রেডের বাৎসরিক ও মাসিক বোনাস

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ১০ম গ্রেডে কর্মরত কর্মকর্তারা নানান উৎসবে বোনাস পান।

বাৎসরিক বোনাস:

ধর্মীয় উৎসব বোনাস:

প্রতি বছর দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবে মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা বোনাস দেওয়া হয়।

যেমন: যদি মূল বেতন ৩৪,০০০ টাকা হয়, তাহলে প্রতি উৎসবে বোনাস = ৩৪,০০০ টাকা।

পয়লা বৈশাখ বোনাস:

  • বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মূল বেতনের ২০% হারে বোনাস প্রদান করা হয়।
  • উদাহরণ: যদি মূল বেতন ৩৪,০০০ টাকা হয়, তাহলে বৈশাখ বোনাস = ৬,৮০০ টাকা।
  • মাসিক চিকিৎসা ভাতা:
  • চাকরি চলাকালীন: ১,৫০০ টাকা।
  • ৬৫ বছর বয়সে অবসরের পর: মাসিক চিকিৎসা ভাতা বেড়ে ২,৫০০ টাকা হতে পারে।

চাকরি শেষে প্রাপ্ত অন্যান্য সুবিধা:

পেনশনের সঙ্গে গ্র্যাচুইটি:

চাকরির সময়কাল অনুযায়ী, এককালীন গ্র্যাচুইটির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হয়।

মাসিক পেনশন:

চাকরি শেষে নিয়মিত মাসিক পেনশন প্রাপ্ত হয়।

চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির সুবিধা।

উপসংহার:

১০ম গ্রেডে চাকরি করা কর্মকর্তারা চাকরি জীবনের শেষে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত জীবনযাপন করেন। পেনশন, গ্র্যাচুইটি, বোনাস, এবং চিকিৎসা ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

Post a Comment