বসন্ত পঞ্চমী কি। বসন্ত পঞ্চমী কবিতা। বসন্তী পঞ্চমী নিয়ে কবিতা।বসন্ত পঞ্চমী ক্যাপশন

বসন্ত পঞ্চমী
বসন্ত পঞ্চমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা জ্ঞান, সংগীত ও শিল্পের দেবী সরস্বতীর পূজা হিসেবে পালিত হয়।

এই উৎসবটি সাধারণত মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে উদযাপিত হয়। বসন্ত পঞ্চমীকে "শ্রীপঞ্চমী" বা "সরস্বতী পূজা" নামেও পরিচিত। এই দিনটি শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটি প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনকেও সূচিত করে।

বসন্ত পঞ্চমীর তাৎপর্য

বসন্ত পঞ্চমীর মূল তাৎপর্য হলো জ্ঞান ও বিদ্যার কামনা। দেবী সরস্বতীকে জ্ঞান, বুদ্ধি, সংগীত ও শিল্পের দেবী হিসেবে পূজা করা হয়। এই দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা বিশেষভাবে দেবীর কাছে প্রার্থনা করে তাদের শিক্ষা ও পরীক্ষায় সাফল্য কামনা করে। বসন্ত পঞ্চমী প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনকেও সূচিত করে, যখন প্রকৃতি নতুন পাতায় ও ফুলে সজ্জিত হয়।

পূজার প্রস্তুতি ও অনুষ্ঠান

বসন্ত পঞ্চমীর দিন সকাল থেকেই বাড়ি, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন করা হয়। দেবী সরস্বতীর মূর্তি বা প্রতিমা সাজানো হয় সাদা পোশাক ও ফুল দিয়ে। দেবীর হাতে বীণা, বই ও মালা থাকে, যা জ্ঞান ও শিল্পের প্রতীক। পূজার সময় মন্ত্রোচ্চারণ, ফুল ও নৈবেদ্য অর্পণ করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বই ও লেখার সরঞ্জাম দেবীর পায়ের কাছে রাখে, যাতে দেবীর আশীর্বাদে তারা জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

বসন্ত পঞ্চমীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

বসন্ত পঞ্চমী শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অংশ। এই পূজা শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি মানুষের আগ্রহ ও শ্রদ্ধাকে প্রকাশ করে। পূজার দিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজন করা হয়, যা সমাজে সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত করে।

উপসংহার

বসন্ত পঞ্চমী জ্ঞান ও বিদ্যার উৎসব। এটি মানুষের মনে জ্ঞানার্জনের আগ্রহ ও সৃজনশীলতার চেতনা জাগ্রত করে। এই পূজার মাধ্যমে মানুষ দেবী সরস্বতীর কাছে প্রার্থনা করে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও শান্তি লাভের জন্য। বসন্ত পঞ্চমী শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি মানুষের অঙ্গীকারের প্রতীক।

বসন্ত পঞ্চমী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বসন্ত পঞ্চমী তিথি দেবী আরাধনা,
বিদ্যার আলয়ে হয় দেবীর বন্দনা।

বিদ্যা অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি বীণাপানি,
শুভ্র বস্ত্রে সুসজ্জিতা, বিদ্যা-প্রদায়িণী।

তব করুণায় কবি হন কালিদাস,
লিখিলেন মহাকাব্য কবি বেদব্যাস।

রামায়ণ লিখিলেন হইয়া তস্কর,
রত্নাকর হইলেন রত্নের আকর।

শ্বেত আভরণা দেবী বীণাযন্ত্র হাতে,
হংস বাহনা দেবী আসেন ধরাতে।

শঙ্খ ঘণ্টা ধুপ দীপ নানা উপচার,
দেবী গলে সুশোভিত শুভ্র পুষ্পহার।

আলপনা হয় আঁকা হেরি চারিভিতে
দেবী স্তুতি পূজা পাঠ হয় বিধিমতে।

রাখ শ্রী-চরণ মাগো মস্তক উপর।
দেহ জ্ঞান, বিদ্যাবুদ্ধি, মাগি এই বর,


পুষ্পাঞ্জলি শেষে হয় প্রসাদ বণ্টণ,
কবিতা লিখেন কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।


বসন্ত পঞ্চমী
শংকর ব্রহ্ম

শীতকাল এলে
আমার খুব সরস্বতী-পুজোর দিনটার কথা মনে পড়ে।

মনে পড়ে ভোরে উঠে বাগান থেকে ফুল তুলে,
তারপর কাঁচাহলুদ বাটা তেল গায়ে মেখে শীতল জলে স্নান
আহা কী মজার শিহরণ,
হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে স্কুল-ড্রেস পরে,
অঞ্জলি দিতে স্কুলে দৌড় . . . .
সেখানে অঞ্জলি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোর,
এতদিন কুল খাওয়া বারণ ছিল
কুল খেয়ে স্বাধীনতা নির্বাহ।

তারপর বাড়ি ফিরে, মা বাবাকে প্রণাম সেরে,
দিনটা আনন্দে সমাপন।

বসন্ত পঞ্চমী

==========
আজ এই বেলা বীণাপাণি
     আসছে সত্যি জানি।
আজ এই বেলা হাতে খড়ি
      পাঁজরজুড়ে প্রেম গড়ি।
এই সকালে রোদের রেণু
       ঢালবে জানি জ্ঞানের বেণু। 
কালো যত পুড়িয়ে তাপে
       আনবে আলো নতুন ভাপে।
দেবী তোমার পায়ের মূলে
     ভরিয়ে দেবো ফুলে ফুলে।
প্রসাদ দিও দুহাত ভরে
      অহং যত যাক দূরে।
এসো আমরা নিই খড়ি
     বুকের ভিতর মানুষ গড়ি। 
এসো আবার প্রেমে জ্ঞানে
     সংমিলিত অঞ্জলি তুলি সংমিশ্রণে।
এসো বসন্ত পঞ্চমীতে 
   হংস পালক পরশে 
দুঃখ গুলো ভুলিয়ে রাখি
  মহা আনন্দ তিথিতে। 
_______________
   রাই  রাজশ্রী

বসন্ত পঞ্চমী

ব্যস্ত আমি বেল দিতে দিতে স্কুলে স্কুলে ঘোরায়,
আড়চোখেতে মুগ্ধ হওয়া হলুদ শাড়ির পশরায়,
একটা দিনের স্বাধীনতা চুটিয়ে আড্ডা মারা-
পাত্তা পাওয়া হালকা হাসি হৃদয় পাগলপারা।
হাসি ঠাট্টা, ঘোরার ভিড়ে একটু আড়াল খোঁজা,
দু হাত ভরে লুটে নেওয়া ধোঁয়া ওড়ানোর মজা।
এখন আমি বাইক আরোহী সাইকেল গেছি ভুলে,
দুটো একটা পাক ধরেছে ঘন কালো চুলে।
এখন আমি ব্যস্ত মানুষ, ঘোরতর সংসারী-
এখন আমি সেটাই করি, যেটুকু দরকারি।
বসন্ত পঞ্চমীর দিনে নতুন প্রাণের মাঝে-
আকুল হয়ে দু চোখ সেই কৈশোরটাই খোঁজে,
বকুল পলাশ পিয়াল পারুল গন্ধে মনে পড়ে,
আস্তে আস্তে বুড়ো আমি হচ্ছি ধীরে ধীরে।।

 – সুমন

বসন্ত পঞ্চমী ক্যাপশন

1.      "জ্ঞানের আলোয় জীবনকে আলোকিত করো, দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাও। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

2.      "বীণার সুরে মন ভরে উঠুক, জ্ঞানের আলোয় পথ চলুক জীবন। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

3.      "দেবী সরস্বতীর চরণে নত হয়ে প্রার্থনা করি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলোয় জীবনকে আলোকিত করো। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

4.      "বসন্তের ফুলে ফুলে সাজুক প্রকৃতি, দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদে ভরে উঠুক জীবন। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

5.      "জ্ঞানের আলোয় অন্ধকার দূর হোক, দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাও। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

6.      "দেবী সরস্বতীর চরণে প্রণাম, জ্ঞান ও বিদ্যার আলোয় জীবনকে আলোকিত করো। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

7.      "বীণার সুরে মন ভরে উঠুক, জ্ঞানের আলোয় পথ চলুক জীবন। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

8.      "দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদে জীবন হোক সাফল্যমণ্ডিত। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

9.      "জ্ঞানের আলোয় অন্ধকার দূর হোক, দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাও। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

10. "দেবী সরস্বতীর চরণে প্রণাম, জ্ঞান ও বিদ্যার আলোয় জীবনকে আলোকিত করো। শুভ বসন্ত পঞ্চমী!"

Post a Comment