প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, প্রিয় শিক্ষার্থী এবং শ্রোতাগণ,
আজ ২৬ জানুয়ারি, আমাদের দেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় দিন। ১৯৫০ সালের এই দিনে আমাদের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল, যা ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রজাতন্ত্র দিবস কেবল একটি উৎসব নয়; এটি আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের চূড়ান্ত সাফল্যের উদযাপন। এটি আমাদের সংবিধান প্রণেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সেই সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন, যারা আমাদের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন।
আমাদের সংবিধান শুধু একটি আইনি দলিল নয়, এটি আমাদের অধিকার, দায়িত্ব এবং মূল্যবোধের প্রতীক। এটি এমন একটি কাঠামো প্রদান করে, যা জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখে। আজকের দিনে আমরা প্রতিজ্ঞা করি, এই গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষা করব এবং আমাদের জাতিকে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী করে তুলব।
আমি সকলকে আহ্বান জানাই, আমরা যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভারত গড়ে তুলি।
জয় হিন্দ!
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত ভাষণ
মাননীয় প্রধান অতিথি, সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, এবং প্রিয় বন্ধুরা,
আজকের এই মহান দিন, ২৬ জানুয়ারি, আমাদের দেশের ইতিহাসে গৌরবময় একটি অধ্যায়। আজ আমরা ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করছি, যা আমাদের গণতন্ত্র এবং সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন।
১৯৫০ সালের এই দিনে আমাদের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল, যা ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এই দিনটি সেই মহান নেতাদের এবং বীর শহীদদের স্মরণ করার, যাঁরা আমাদের স্বাধীনতা এবং সংবিধান উপহার দিয়েছেন।
বন্ধুরা, আমাদের সংবিধান শুধু আইন-কানুন নয়; এটি আমাদের অধিকার, দায়িত্ব এবং মূল্যবোধের একটি ভিত্তি। এটি ভারতীয় নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ রাখে এবং আমাদের একটি উন্নত ও শক্তিশালী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
আজকের দিনে আমরা আমাদের প্রতিজ্ঞা করি, এই গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষা করব, সমাজে সমতা, সাম্য, এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করব। আমাদের দায়িত্ব শুধু নিজেদের উন্নতি নয়, বরং দেশকে দারিদ্র্য, অশিক্ষা এবং দুর্নীতিমুক্ত করা।
আপনাদের সবাইকে প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
জয় হিন্দ! বন্দে মাতরম!
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
মাননীয় প্রধান অতিথি, প্রিয় শিক্ষকবৃন্দ এবং সহপাঠীরা,
আজ আমরা ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করতে gathered হয়েছি। এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবময় এবং স্মরণীয়, কারণ আজ থেকে ৭৫ বছর আগে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, আমাদের দেশের সংবিধান কার্যকর হয় এবং ভারত একটি পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
আজকের এই দিনটি আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করার দিন, যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাই, বিশেষ করে সীমান্তে আমাদের দেশ রক্ষাকারী জওয়ানদের প্রতি, যারা নিজেদের প্রাণ বিপন্ন করে দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত। তাঁদের সাহসিকতা এবং সতর্কতার জন্য আমরা আজ স্বাধীনভাবে জীবিত আছি।
বন্ধুরা, প্রজাতন্ত্র দিবস শুধু একটি সরকারি ছুটি নয়, এটি আমাদের সংবিধানের প্রতি আমাদের সম্মান, সম্মিলিত দায়িত্ব এবং প্রতিশ্রুতির দিন। আমাদের সংবিধান দেশের নাগরিকদের অধিকার এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে এবং এটি আমাদের ঐক্য এবং শক্তির প্রতীক।
এছাড়া, এই দিনটি উপলক্ষে দিল্লির রাজপথে বিশাল কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়, যা আমাদের দেশের সামরিক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের পরিচয় দেয়। এই বছর 'স্বর্ণিম ভারত: ঐতিহ্য এবং উন্নয়ন' থিমে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ আমাদের দেশের ঐতিহ্য এবং আধুনিক উন্নয়নের সমন্বয়কে তুলে ধরে।
তবে, আমাদের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের নানা অঞ্চলে অশিক্ষা, দারিদ্র্য, বৈষম্য, দুর্নীতি ইত্যাদি সমস্যাগুলি অটুট রয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই — একসাথে এগিয়ে এসে এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে, যাতে আমরা এক সমৃদ্ধ, শক্তিশালী এবং সুশাসিত ভারত গড়ে তুলতে পারি।
আজকের দিনে, আমরা প্রত্যেকেই এই প্রতিজ্ঞা করি যে আমরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করব, সমাজের প্রতি আমাদের কর্তব্য পালন করব এবং দেশের উন্নতির জন্য কাজ করব।
আপনাদের সবাইকে প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
জয় হিন্দ!