লাইলাতুল মেরাজের নামাজের নিয়ম।শবে মেরাজ কত রাকাত নামাজ

শবে মেরাজ একটি পবিত্র রাত, যেটি ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আদেশ পান।

শবে মেরাজে নির্দিষ্টভাবে কোনো নামাজের রাকাত নির্ধারিত নেই। তবে এই রাতে বেশি ইবাদত-বন্দেগি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই এ রাতে নফল নামাজ আদায় করেন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন।

কিছু আমল:

নফল নামাজ:

কেউ চাইলে ৬, ৮, ১০ বা তার চেয়েও বেশি রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রতিটি দুই রাকাত করে পড়া উত্তম।

তাহাজ্জুদ:

এই রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

কুরআন তিলাওয়াত:

বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা এবং অর্থ বোঝার চেষ্টা করা।

দোয়া:

নিজের, পরিবার ও উম্মাহর জন্য প্রার্থনা করা।

এটি মূলত ইবাদতের জন্য বিশেষ সুযোগ, তাই নির্দিষ্ট কোনো রাকাতের সংখ্যার চেয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের ইচ্ছা ও নিয়তটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

লাইলাতুল মেরাজ একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ রাত। এই রাতে নির্দিষ্ট কোনো নামাজের নিয়ম ইসলামে বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। তবে এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। মুসলমানরা এই রাতে নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া এবং ইস্তিগফার করেন।

লাইলাতুল মেরাজে নামাজের নিয়ম:

১. নফল নামাজ আদায়:

দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়া হয়।

প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহার পর কোনো সুরা (যেমন সুরা ইখলাস বা সুরা কাওসার) পড়া যায়।

ইচ্ছা করলে ৬, ৮, ১২ বা এর চেয়েও বেশি রাকাত পড়া যেতে পারে।

২. বিশেষ দোয়া এবং ইবাদত:

নামাজের পরে দীর্ঘ সময় ধরে দোয়া করুন।

নিজের পাপের জন্য ক্ষমা চান এবং পরিবারের জন্য কল্যাণ কামনা করুন।

দোয়া করার সময় দরুদ শরীফ পড়ুন।

৩. তাহাজ্জুদ নামাজ:

এই রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। দুই রাকাত করে কমপক্ষে ৮ রাকাত পড়া উত্তম।

৪. ইস্তিগফার এবং তওবা:

পবিত্র রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

"আস্তাগফিরুল্লাহ" ও অন্যান্য তওবার দোয়া বারবার পড়ুন।

৫. কুরআন তিলাওয়াত:

এই রাতে কুরআন তিলাওয়াত করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নৈকট্য লাভ করা যায়। সুরা ইয়াসিন, সুরা মুলক বা সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করলে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

লাইলাতুল মেরাজে ইবাদত করতে গিয়ে কোনো বিধি-নিষেধ বা বাধ্যবাধকতার অনুভূতি রাখবেন না। বরং আল্লাহর প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে ইবাদত করুন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজের ইবাদত-বন্দেগি যতটুকু সম্ভব আন্তরিকভাবে করার চেষ্টা করুন।

Post a Comment