পেনশন হিসাব করার পদ্ধতি।সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন হিসাব

পেনশন হিসাব করার পদ্ধতি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন নিয়মাবলীর ওপর। বাংলাদেশে সরকারী চাকরিজীবীদের পেনশন হিসাব করার একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সাধারণত পেনশন হিসাব করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিবেচনা করা হয়:



. বেসিক পেনশন নির্ধারণ

  • শেষ বেতন: পেনশন নির্ধারণের জন্য মূলত অবসরকালীন সময়ের শেষ মাসের মূল বেতনকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়।
  • সার্ভিসের সময়কাল: চাকরির মোট সময়কাল পেনশন নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। সাধারণত সর্বনিম্ন ১০ বছরের চাকরি করলে পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়।

সূত্র:
বেসিক পেনশন = (শেষ মূল বেতন × চাকরির সময়কাল × ৮০%) ÷ ৩০০


. গ্র্যাচুইটি হিসাব

অবসরকালে এককালীন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়, যা গ্র্যাচুইটি নামে পরিচিত। এটি সাধারণত সর্বোচ্চ ১৬ মাসের মূল বেতনের সমান হয়।

সূত্র:
গ্র্যাচুইটি = শেষ মূল বেতন × চাকরির বছর সংখ্যা × নির্ধারিত হার


. কমিউটেড পেনশন

চাকরিজীবী চাইলে তার পেনশনের একটি অংশ এককালীন অগ্রিম হিসেবে নিতে পারেন। একে কমিউটেড পেনশন বলে। এই ক্ষেত্রে কমিউটেড অংশ পরবর্তী সময়ের মাসিক পেনশন থেকে কেটে নেওয়া হয়।

সূত্র:
কমিউটেড পেনশন = (বেসিক পেনশন × নির্ধারিত হার × প্রযোজ্য বছর)


. মেডিকেল অন্যান্য সুবিধা

পেনশনভোগীকে মাসিক পেনশনের বাইরে চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ইত্যাদিও প্রদান করা হয়।


উদাহরণ

যদি কেউ ২৫ বছরের চাকরি শেষে ৫০,০০০ টাকা মূল বেতনে অবসর গ্রহণ করেন, তাহলে তার পেনশন হবে:

  • বেসিক পেনশন:
    (
    ৫০,০০০×২৫×৮০%)÷৩০০=৩৩,৩৩৩টাকা(প্রতিমাস)(৫০,০০০ × ২৫ × ৮০\%) ÷ ৩০০ = ৩৩,৩৩৩ টাকা (প্রতি মাস)(৫০,০০০×২৫×৮০%)÷৩০০=৩৩,৩৩৩টাকা(প্রতিমাস)
  • গ্র্যাচুইটি:
    ৫০,০০০×১৬=,০০,০০০টাকা(এককালীন)৫০,০০০ × ১৬ = ,০০,০০০ টাকা (এককালীন)৫০,০০০×১৬=,০০,০০০টাকা(এককালীন)

যেসব তথ্য প্রয়োজন:

  1. চাকরির মোট সময়কাল।
  2. অবসরের সময়কার মূল বেতন।
  3. গ্র্যাচুইটি কমিউটেশন পছন্দের বিবরণ।

Post a Comment