ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি পালিত হয়। ১৯৫০ সালের এই দিনেই ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়, যা দেশকে একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এই দিনটি ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের চূড়ান্ত সাফল্য এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রতীক।
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন মূলত দিল্লির রাজপথে একটি জমকালো কুচকাওয়াজের মাধ্যমে শুরু হয়। এখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর শক্তি ও ঐক্যের প্রদর্শন করা হয়। বিভিন্ন রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঝাঁকিও এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ। রাষ্ট্রপতি এই দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন এবং ত্রিবর্ণ পতাকা উত্তোলন করেন।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল, কলেজ, অফিস ও স্থানীয় প্রশাসনে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। দেশপ্রেম, ঐক্য ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গান, নাটক ও বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
প্রজাতন্ত্র দিবস শুধুমাত্র একটি উদযাপন নয়; এটি আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নাগরিক অধিকার এবং দায়িত্বের স্মারক। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করায়, দেশের উন্নতি ও ঐক্যের জন্য আমরা সবাই কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।আজ কে আমরা প্রজাতন্ত্র দিবসে নিয়ে সেরা কবিতাগুলো পড়বো।
মহান ২৬শে জানুয়ারী
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সাধারণতন্ত্র দিবস আজিকে
মহান ২৬শে জানুয়ারী,
জাতীয় দিবসে আজিকে মোরা
তাঁদেরই স্মরণ করি।
মহান ২৬শে জানুয়ারী,
জাতীয় দিবসে আজিকে মোরা
তাঁদেরই স্মরণ করি।
ত্যাগী বীর সেই চিত্তরঞ্জন দাশ
জাতির জনক গান্ধীজী,
আজাদ বাহিনী করিল গঠন
বীর সুভাষ নেতাজী।
লালা লাজপত বাল গঙ্গাধর
ও বিপিনচন্দ্র পাল,
তাঁদের জয়গানে ভারতের সূর্য
আজিও হেরি লাল।
মাষ্টারদা সূর্যসেন তরুণ বিপ্লবী
বিনয় বাদল দিনেশ,
যাঁদের ত্যাগে ও প্রাণ বলিদানে
হইল স্বাধীন এদেশ।
বীর ক্ষুদিরাম হাসিতে হাসিতে
গলায় পরিলেন ফাঁসি,
আজিকে মোরা জানাই
প্রণাম
মিলে সবে দেশবাসী।
দেশকে যাঁরা করিল স্বাধীন
প্রাণ দিল বলিদান,
ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দিল যাঁরা
গাহি তাদের জয়গান।
মিলে সবে দেশবাসী।
দেশকে যাঁরা করিল স্বাধীন
প্রাণ দিল বলিদান,
ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দিল যাঁরা
গাহি তাদের জয়গান।
স্বদেশের তরে সকলে করিল
আমরণ রক্ত-সংগ্রাম,
৬৯তম প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁদের
জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছায় আমার নিবেন
আমার শ্রদ্ধা শীর্ষে কবি গুরুদের স্মরণে 🙏
শ্রীচরণে রেখ মোরে
চৈতন্য বিশ্বাস
রাণাঘাট - নদীয়া
সমগ্র জাগ্রত জগতের - কল্যাণকামী হয়ে,
আত্মবলিদান দিয়ে যান নির্ভয়ে।
অনন্ত কোটি প্রণাম সকল - চরণমুলে ,
সযত্নে পালক হয়ে, মহান ভারতভূমি শিরেধরি।
আমি ধণ্য ভারত ভূমির জন্য আমি পূর্ণ!
পূর্ণ প্রয়াস করি নিভৃতে করকলমে প্রজ্জ্বল!
বিখ্যাত নেতা গুনী সাহিত্যেকের সমাবেশ,
ভারত মায়ের স্নেহধন্য দেশরত্ন, স্বদেশ।
কবি গুরুদের মালা এক বিনি সুতোয় গাঁথা!
গাঁথিমালা বসে নিরালে ভারত মায়ের আঁচল তলে-
একত্রে! ধণ্য ধণ্য বলে মঙ্গলও দীপটির সম্মুখে।
যারা ছিলেন ভারতবর্ষে স্বশরীরে এক আত্মা,
ছিল মহানুভূতির মধ্য মুনিঋষী যোগী পরম।
এটাই আমার 'লক্ষ্য' শ্রদ্ধা সহিত লোগো সচিত্রে ,
বিদ্রুপ নয়,নয় কোন মনোভাব - নয় কোন অহংকার।
তব শ্রীচরণে রেখ মোরে, ওগো ভারতভূমির পবিত্র মহাত্মা।।
দিও ঠাঁই দেহত্বের অস্তিটুকু ভারত জননীর পায়!
শ্রদ্ধা ভালবাসা জীবনের সুপথ দেখায়,
ধানে ধণ্যে পুষ্পেভরা আমার সোনার বাংলা।
ধণ্য আমার ভারত মায়ের প্রিয় জন্মভূমি বঙ্গও বাঙ্গালী,
রুপ কথার কথা কয় - নজরুলের বাংলাদেশ।
জীবনান্দের রূপসী বাংলা গর্বিত সকল বাংলাভাষী!
ধণ্য আমার জন্ম মাগো, পড়েছে আমার গৌরঙ্গহরির-
চরণধূলি, সে যে আমার ভারতভূমি নদীয়া নগরী।
আমি ধণ্য জীবন করি পূণ্য ভারতভূমির জন্য,
এ দেহতরী ভিড়াবার ইচ্ছা বহুজনমের স্বাধ মনে।
তাই তো কবি চারণভূমিতে শিরেধরে বক্ষে আলিঙ্গনে!
ধানে ধণ্যে পুষ্পেভরা ষোলো আনা বাঙ্গালীর ন্যায় জীবন গড়ি।
সমাপনীতে প্রণাম সর্ব ওই শ্রীচরণে কবি কলমে!!
আমি ধণ্য সকল দেশের মানবিক ভালবাসার জন্য!!