রমজানের রোজার নিয়ত ও নিয়ম
রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ত মনে মনে করলেও হয়, তবে নিচের দোয়াটি পড়া উত্তম:
🔹 সাহরির পর নিয়ত করার দোয়া:
نَوَيْتُ أَنْ أَصُوْمَ غَدًا لِلَّهِ تَعَالَى مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ
উচ্চারণ: "নাওয়াইতু আন আসূমা গাদান লিল্লাহি তা‘আলা মিন শাহরি রমাদান।"
অর্থ: আমি আগামীকাল রমজান মাসের রোজা রাখার নিয়ত করলাম আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য।
🔹 ইফতারের সময় দোয়া:
اللهم لك صمت وبك آمنت وعليك توكلت وعلى رزقك أفطرت
উচ্চারণ: "আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া বিকা আমান্তু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।"
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি, তোমার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তোমার ওপর ভরসা করেছি এবং তোমার দেওয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করলাম।
রমজানের রোজার নিয়ম
রমজানের রোজা পালন করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। নিচে গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো:
✅ যা করলে রোজা সহীহ হবে:
- নিয়ত করা – প্রতিদিন ফজরের আগে নিয়ত করা জরুরি।
- সাহরি খাওয়া – ফজরের আগে সাহরি খাওয়া সুন্নত।
- ফজর থেকে মাগরিব পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা।
- ইফতার করা – সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত।
❌ যা করলে রোজা ভেঙে যাবে:
- ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা।
- ধূমপান করা।
- ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা।
- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করা।
🔄 যা করলে রোজা ভাঙবে না:
- অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হয়ে গেলে।
- দাঁত ব্রাশ বা মিসওয়াক করা।
- নাকে-মুখে পানি নেওয়া, তবে তা গলার নিচে না গেলে।
- ইচ্ছাকৃতভাবে কুলি করলে, তবে গিলে না ফেললে।
রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো আত্মশুদ্ধি, ধৈর্যচর্চা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। তাই আমাদের উচিত রোজার সময় গীবত, মিথ্যা কথা ও সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।