রোজা রেখে স্ত্রী সহবাস করা যায়।রমজান মাসে সহবাস করার নিয়ম

রোজা রেখে স্ত্রী সহবাস করা যায়

রোজা রেখে স্ত্রী সহবাস করা যায় না। ইসলামে রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।


কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী নির্দেশনা:

📖 আল-কুরআন:

❝রোযার রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা হালাল করা হয়েছে... অতঃপর তোমরা সুবহে সাদিক পর্যন্ত পানাহার কর, তারপর রোযা পূর্ণ কর।❞

📌 (সূরা আল-বাকারা ২:১৮৭)

🔹 এই আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, রাতের বেলায় স্ত্রী সহবাস বৈধ, কিন্তু দিনের বেলায় (রোজার সময়) সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

📖 হাদিস:

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

❝যদি কেউ রমজান মাসে দিনে স্ত্রী সহবাস করে, তাহলে তাকে একটি গোলাম মুক্ত করতে হবে। যদি তা না পারে, তবে দুই মাস ধারাবাহিক রোজা রাখতে হবে। যদি এটাও সম্ভব না হয়, তাহলে ৬০ জন গরীবকে খাওয়াতে হবে।❞ (সহিহ বুখারি: ১৯৩৬, মুসলিম: ১১১১)

সংক্ষেপে:

✅ রাতে (ইফতারের পর) স্ত্রী সহবাস করা জায়েজ।

❌ দিনের বেলা (রোজা অবস্থায়) সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাফফারা দিতে হবে।

কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত):

1️⃣ একটানা দুই মাস রোজা রাখতে হবে অথবা

2️⃣ ৬০ জন গরিবকে খাওয়াতে হবে, যদি রোজা রাখা সম্ভব না হয়।

তাই, রমজানে দিনের বেলা স্ত্রী সহবাস করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। 🌙

রমজান মাসে সহবাস করার নিয়ম

রমজান মাসে সহবাসের নিয়ম (ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে)

রমজান মাসে স্ত্রী সহবাস করা সম্পূর্ণ বৈধ, তবে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে।

✅ কখন সহবাস করা জায়েজ?

📌 ইফতারের পর থেকে সেহরির আগ পর্যন্ত (রাতের বেলা) স্ত্রী সহবাস করা বৈধ।

🔹 আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন:

❝রোযার রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ, আর তোমরা তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ...❞ (সূরা আল-বাকারা ২:১৮৭)

➤ অর্থাৎ ইফতার করার পর থেকে সুবহে সাদিক (সেহরির শেষ সময়) পর্যন্ত স্ত্রী সহবাস করা বৈধ।

❌ কখন সহবাস নিষিদ্ধ?

🔴 ফজরের আজানের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত (রোজার সময়) স্ত্রী সহবাস করা হারাম।

🔴 এটি করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে।

📖 হাদিসে এসেছে:

❝যদি কেউ রমজান মাসে দিনে স্ত্রী সহবাস করে, তাহলে তাকে একটি গোলাম মুক্ত করতে হবে। যদি তা না পারে, তবে দুই মাস ধারাবাহিক রোজা রাখতে হবে। যদি এটাও সম্ভব না হয়, তাহলে ৬০ জন গরিবকে খাওয়াতে হবে।❞ (সহিহ বুখারি: ১৯৩৬, মুসলিম: ১১১১)

📌 সহবাসের সময় করণীয়:

✅ সহবাসের আগে বিসমিল্লাহ বলে দোয়া পড়া:

📖 হাদিস:

"যদি তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাসের সময় বলে—

❝বিসমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্বান, ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রজাকতানা❞

(অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে যা দান করবেন, তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন)।

📌 (বুখারি: ১৪১, মুসলিম: ১৪৩৪)

✅ সহবাসের পর গোসল করা ফরজ।

🚿 গোসলের নিয়ম (সহবাসের পর):

🔹 সহবাস বা বীর্যপাতের পর ফরজ গোসল করা বাধ্যতামূলক।

🔹 গোসলের নিয়ম:

1️⃣ নিয়ত করা

2️⃣ প্রথমে হাত ধোয়া ও অজু করা

3️⃣ সারা শরীরে পানি ঢালা (চুলের গোড়া পর্যন্ত)

4️⃣ ডান দিক ও বাম দিক ভালোভাবে ধোয়া

📌 গোসল ছাড়া রোজা রাখা জায়েজ নয়। তাই ফজরের আগে অবশ্যই গোসল করে পবিত্র হওয়া জরুরি।

📢 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

1️⃣ রোজার সময় স্ত্রীকে চুমু দেওয়া বা ভালোবাসা প্রকাশ করা জায়েজ, তবে উত্তেজিত হয়ে গেলে বিরত থাকা উত্তম।

2️⃣ যদি ভুলবশত বীর্যপাত হয়ে যায়, তবে রোজা ভাঙবে না, কিন্তু ইচ্ছাকৃত হলে রোজা ভেঙে যাবে।

3️⃣ রাতের বেলা সহবাসের পর যদি কেউ ফজরের আগে গোসল করতে না পারে, তবে সুবহে সাদিকের পর গোসল করলেও রোজা সহি থাকবে।

সংক্ষেপে:

✅ ইফতারের পর থেকে সেহরির আগে সহবাস করা বৈধ।

❌ ফজরের আজান থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিষিদ্ধ।

🚿 সহবাসের পর ফরজ গোসল করতে হবে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের নিয়ম সঠিকভাবে মানার তৌফিক দান করুন। 🤲✨

Post a Comment