রমজান
মাস
সম্পর্কে হাদিসে
অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা
পাওয়া
যায়।
রমজান
হলো
বরকতময়
মাস,
যেখানে
রোযা
রাখা
ফরজ
করা
হয়েছে
এবং
আল্লাহর রহমত,
মাগফিরাত ও
নাজাত
লাভের
সুযোগ
রয়েছে।
নিচে
কয়েকটি
হাদিস
উল্লেখ
করা
হলো:
১. রমজানের ফজিলত
হাদিস:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমজানের রোযা রাখে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।"
📚 (সহিহ বুখারি: ৩৮, সহিহ মুসলিম: ৭৬০)
২. জান্নাতের দরজা খোলা ও শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা
হাদিস:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"যখন রমজান মাস আসে, তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়।"
📚 (সহিহ বুখারি: ১৮৯৯, সহিহ মুসলিম: ১০৭৯)
৩. রমজানের শেষ দশকের গুরুত্ব
হাদিস:
হযরত
আয়েশা
(রাযিয়াল্লাহু আনহা)
বলেন—
"রমজানের শেষ দশকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইবাদতে বেশি মনোযোগী হতেন, রাতে জাগ্রত থাকতেন এবং পরিবার-পরিজনকেও জাগাতেন।"
📚 (সহিহ বুখারি: ২০২৪, সহিহ মুসলিম: ১১৭৪)
৪. লাইলাতুল কদরের ফজিলত
হাদিস:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর উপলব্ধি করে ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় নামাজ পড়ে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"
📚 (সহিহ বুখারি: ২০১৪, সহিহ মুসলিম: ৭৬০)
৫. ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়
হাদিস:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"রোযাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে: একটি আনন্দ ইফতারের সময় এবং অন্যটি তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়।"
📚 (সহিহ বুখারি: ১৯০৪, সহিহ মুসলিম: ১১৫১)
৬. সেহরির বরকত
হাদিস:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"সেহরি খাও, কারণ সেহরির মধ্যে বরকত রয়েছে।"
📚 (সহিহ বুখারি: ১৯২৩, সহিহ মুসলিম: ১০৯৫)
৭. রমজানে দোয়া কবুল হয়
হাদিস:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: (১) ন্যায়পরায়ণ শাসকের, (২) রোযাদারের ইফতারের সময়ের, (৩) মজলুমের (অত্যাচারিতের)।"
📚 (তিরমিজি: ২৫২৫)
রমজান হলো আত্মশুদ্ধির মাস, এই মাসে ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ রয়েছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মাসের পূর্ণ ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন! 🤲
রোজার আয়াত ও হাদিস
রোজা
বা
সিয়াম
সম্পর্কে কুরআন
ও
হাদিসে
অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা
রয়েছে। রোজা
মুসলিমদের জন্য
একটি
ফরজ
ইবাদত,
যা
রমজান
মাসে
পালন
করতে
হয়।
নিচে
রোজা
সংক্রান্ত কিছু
কুরআন-এর আয়াত এবং
হাদিস
তুলে
ধরা
হলো:
১. কুরআনের আয়াত (রোজার সম্পর্কিত)
১.১ রোজার ফরজ হওয়া সম্পর্কে আয়াত:
আল-বারাকাহ, ২:১৮३
"হে যারা বিশ্বাস কর! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনটা পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পার।"
এই
আয়াতের
মাধ্যমে আল্লাহ
রোজা
ফরজ
করেছেন
এবং
এর
উদ্দেশ্য হল
তাকওয়া অর্জন
করা,
যা
ঈমান
ও
আল্লাহর প্রতি
ভয়
এবং
তাঁর
আদেশ
পালনের
ইচ্ছা
থেকে
আসে।
১.২ রোজার সময়ে সেহরি ও ইফতার সম্পর্কে আয়াত:
আল-বারাকাহ, ২:১৮৫
"রমজান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, মানুষের জন্য সৎপথ দেখানোর এবং সত্য-অসত্যের পার্থক্য প্রকাশের নিদর্শন হিসেবে। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসে উপস্থিত থাকবে, সে যেন রোজা রাখে এবং যে অসুস্থ অথবা যাত্রারত থাকবে, সে যেন অন্য দিনগুলোতে রোজা পূর্ণ করে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করাতে চান, কঠিন করতে চান না।"
এই
আয়াতের
মাধ্যমে রোজার
মাসের
মর্যাদা এবং
যদি
কেউ
অসুস্থ
বা
সফরে
থাকে,
তবে
সে
পরবর্তীতে রোজা
পূর্ণ
করবে,
এমনটি
স্পষ্টভাবে বলা
হয়েছে।
২. হাদিস (রোজা সম্পর্কে)
২.১ রোজার ফজিলত:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রোজা রাখে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।"
📚 (সহিহ বুখারি: ৩৮, সহিহ মুসলিম: ৭৬০)
২.২ ইফতার করার ফজিলত:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি রোজাদারের ইফতার করায়, তাকে মাফ করা হয় এবং তার জন্য রোজাদারের সাওয়াবের মতো সাওয়াব লেখা হয়, তবে রোজাদারের সাওয়াবের মধ্যে কোনো অভাব হবেনা।"
📚 (তিরমিজি: ৮৫২)
২.৩ সেহরি খাওয়ার ফজিলত:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"সেহরি খাও, কারণ সেহরির মধ্যে বরকত রয়েছে।"
📚 (সহিহ বুখারি: ১৯২৩, সহিহ মুসলিম: ১০৯৫)
২.৪ রোজার সময় দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: (১) রোযাদারের ইফতার করার সময়, (২) মজলুমের (অত্যাচারিতের), (৩) ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া।"
📚 (তিরমিজি: ২৫২৫)
৩. রোজার উদ্দেশ্য ও ইবাদতের গুরুত্ব:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"রোজা হল একটি ঢাল, যাতে মানুষের খারাপ কাজ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।"
📚 (সহিহ বুখারি: ১৮۹৪, সহিহ মুসলিম: ২৬৮)
রমজানের রোজা
মুসলিমদের জন্য
আত্মশুদ্ধি, সৎ
কাজের
দিকে
ধাবিত
হওয়া
এবং
আল্লাহর কাছে
নৈকট্য
লাভের
এক
মহান
সুযোগ।
এর
মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি
আনুগত্য এবং
তাঁর
সন্তুষ্টি লাভের
সুযোগ
থাকে।