অমাবস্যায় সহবাস নিয়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে, তবে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে এসবের কোনো ভিত্তি নেই।
🔹 কুসংস্কার ও প্রচলিত বিশ্বাস
অনেক সমাজে বলা হয় যে,
- অমাবস্যায় সন্তান ধারণ করলে শিশুর স্বভাব খারাপ হতে পারে।
- শিশুর মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বা দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে।
- এটি শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
🔹 ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
ইসলামে এই ধরনের বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই। বরং ইসলাম সহবাসের আদব ও দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে।
✅ সহবাসের সময় “বিসমিল্লাহ” বলে দোয়া পড়তে বলা হয়েছে:
"বিসমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইতান, ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা মা রজ্জাকতানা"
🔹 অর্থ: "আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদের যে সন্তান দান করবেন তাকে শয়তানের কুমন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা করুন।" (বুখারি: ১৪১, মুসলিম: ১৪৩৪)
✅ ইসলাম শুধু ঋতুমতী অবস্থায় সহবাস নিষেধ করেছে, কিন্তু অমাবস্যা বা পূর্ণিমার মতো জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনাগুলোর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
🔹 বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ
🔸 চাঁদের অবস্থান বা অমাবস্যা সহবাস বা গর্ভধারণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
🔸 মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর চাঁদের কোনো প্রমাণিত প্রভাব নেই।
🔸 সুস্থ সম্পর্ক এবং পরিকল্পিত গর্ভধারণের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া এবং মানসিক প্রশান্তি গুরুত্বপূর্ণ।
✅ উপসংহার
অমাবস্যায় সহবাস করা একেবারেই স্বাভাবিক এবং এতে কোনো ক্ষতি বা অশুভ কিছু নেই। ইসলাম ও বিজ্ঞান—কোনোটিই এ ধরনের কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। বরং সুস্থ ও সচেতন জীবনযাপনের জন্য সহবাসের আদব মেনে চলা উচিত। 😊
অমাবস্যায় জন্মানো নিয়ে অনেক ধরনের লোককথা, কুসংস্কার এবং জ্যোতিষশাস্ত্রভিত্তিক বিশ্বাস প্রচলিত আছে। তবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এসব বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই, এবং বৈজ্ঞানিকভাবে জন্মের দিন বা চাঁদের অবস্থান ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
প্রচলিত কুসংস্কার ও বিশ্বাস
অনেক সংস্কৃতিতে বলা হয় যে,
- অমাবস্যায় জন্ম নেওয়া শিশুর জীবন চ্যালেঞ্জপূর্ণ হতে পারে।
- তাদের চরিত্র রহস্যময় ও আবেগপ্রবণ হতে পারে।
- তারা অলৌকিক শক্তির প্রতি আগ্রহী হতে পারে।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ
বিজ্ঞান বলে যে, জন্মের সময় চাঁদের অবস্থা ব্যক্তির স্বভাব বা ভাগ্যের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। মানুষের ব্যক্তিত্ব, আচরণ এবং ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় তার জিনগত বৈশিষ্ট্য, পারিবারিক পরিবেশ ও শিক্ষার মাধ্যমে।
ইসলামি দৃষ্টিকোণ
ইসলামে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে,
- মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করেন আল্লাহ।
- জন্ম তারিখ বা দিনের ওপর মানুষের সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করে না।
- কুসংস্কার ও ভিত্তিহীন বিশ্বাস পরিহার করতে বলা হয়েছে।
🔹 রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
"কেউ যদি মনে করে কোনো বস্তু (অর্থাৎ দিন, সংখ্যা, গ্রহ ইত্যাদি) তার উপকার বা ক্ষতি করতে পারে, তবে সে শিরকে লিপ্ত হলো।" (আবু দাউদ: ৩৯১০)
উপসংহার
অমাবস্যায় জন্ম নেওয়া অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক। এটি কোনো শুভ বা অশুভ বিষয় নয়। বরং মানুষের সাফল্য নির্ভর করে তার পরিশ্রম, নৈতিকতা ও আল্লাহর রহমতের ওপর। 😊