প্রিয় পাঠক আজকে আমরা পড়বো লেঅডশেডিং নিয়ে সেরা কবিতাগুলো।
লোডশেডিং
মোছাঃ সীমা ইসলাম
বিদ্যুৎ গেলে অচল সবই
জ্বলে না যে আলো,
চর্তুর দিকে ঘিরে থাকে
অন্ধকারে কালো।
আলো ছাড়া ক্যামন করে
লেখা- পড়া চালায়,
পড়া-লেখার ব্যঘাত হচ্ছে
মশার কামড় ভীষণ গরম
হচ্ছে অনেক কষ্ট,
লোডশেডিং এর জন্য সবার
সময় হচ্ছে নষ্ট,।
লোডশেডিং এর জন্য দেশে
হচ্ছে অনেক ক্ষতি,
দেশের মাঝে কমে যাবে
উন্নয়নের গতি।
কাজের অনেক ব্যঘাত হচ্ছে
লোডশেডিং কে ঘিরে,
বিদ্যুৎ --উৎপাদনের গতি
আনতে হবে ফিরে।
**লোডশেডিং**
মোঃ শান্তূমিয়া আকন্দ।
প্রয়োজনে বিদ্যুৎ নাই
গরমের ছড়াছড়ি,
হাত পাখায় আরাম পাইনা
তবু ও ঘুমিয়ে পড়ি ।
সারাদিন পরিশ্রম করে
শরীরে আসে ক্লান্তি,
গরমের জ্বালায় আরাম হারাম
মনে নাই শান্তি।
কারো নাই কোন দায়বদ্ধতা
বিলের বেলায় ষোল আনা,
এক টাকা কম পড়লেও
বিদ্যুৎ ওয়ালা বিল নেয় না।
বিদ্যুতের এই যন্ত্রনা
কবে হবে শেষ,
চলমান অসঙ্গতিতে
নষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশ।
এতকিছুর পরেও মানুষ
বিদ্যুতের বিল দেয়,
এক হাতে বিল দেয়
অন্যদিকে গালি দেয় ।
গালিগালাজ আর কতদিন
বাংলাদেশে চলবে,
বাংলার মানুষ একদিন হয়তো
চোখ রাঙিয়ে কথা বলবে ।
লোডশেডিং
মোঃ শরীফ উদ্দিন
লোডশেডিং এর যন্ত্রণায় আজ
নিশি নিদ্রায় শান্তি নাই,
হারিকেন আর হাত পাখা সেই
ছিলো অনেক ভালো ভাই।
নারী-পুরুষ কর্মে ব্যস্ত
পেটের দায়ে দিবা দিন,
বেলা শেষে ঘরে ফিরলে
লোডশেডিং এ বাজায় বীণ।
ফাট-ফাট রোদে দাবদাহ্ গরম
মধ্যবিত্তের মাথায় বাজ,
ধনীর ঘরে নাই সমস্যা
জেনারেটর দিচ্ছে সাজ।
বিদ্যুৎ এর এই লোডশেডিং এ
নিবে এবার কেড়ে প্রাণ,
বিদ্যুৎ পণ্যের তমাশায় আজ
পাইতে আছি মৃত্যুর ঘ্রাণ।
আহা রে ও লোডশেডিং
মিলাইলে কেন্ তুইও হাত,
এত্তো গরম না দেখিয়া
কষ্ট দিলে দিবা-রাত।
পণ্য চড়া গরম চড়া
এই তটে আজ শনির রূপ,
ঘুরছে কবি পেতে সন্ধান
কোন্ সে পাপে জ্বলছে ধূপ।
_______________
স্বরবৃত্ত ৪+৪/৪+৩
লোডশেডিং
মোঃ ইমরান হোসেন
লোডশেডিং এ বসে আছি বিদ্যুৎ গেছে চলে,
চারিদিকে অন্ধকারে সময় যাচ্ছে কেটে।
লোডশেডিং প্রতিদিনি করছে এমন খেলা,
ছেলে মেয়ের পড়া লেখা বন্ধ রাতের বেলা।
পড়া লেখার মন বসেনা লোডশেডিং জ্বালায়,
ছেলে মেয়ের পড়া লেখা যাচ্ছে সব হারা।
পড়ার টেবিলে বসতে গেলে লাগে অলসতা,
মনে আর লাগেনা ভালো লোডশেডিং জ্বালা।
পরিক্ষা আর কয়দিন বাকি শেষ হয়নি পড়া,
লোডশেডিং এ পড়া লেখা যাচ্ছে সব হারা।
লোডশেডিং এ পড়া লেখার হচ্ছে ব্যাপক ক্ষতি,
এমন ভাবে চলতে থাকলে থমকে যাবে গতি।
ক'দিন যে চলবে এমন লোডশেডিং এর জ্বালা,
অন্ধকারে বসে থাকতে লাগে ভিষণ জ্বালা।
প্রখর গরমে ঘামছি আমি বিদ্যুৎ নাই যে ঘরে,
লোডশেডিং সবার জীবন যাচ্ছে অতিষ্ঠ হয়ে।
লোডশেডিং নিয়ে সারাদেশে চলছে তোলপার,
কবে যে পাবো স্বস্তির নিঃশ্বাস কাটিবে অন্ধকার।
লোডশেডিঙের দাপট
শ্রাবণী মিত্র
তড়িৎ তটিনী আলো ঝলমল -
বিছায় বিদ্যুৎ সজ্জা রেশমি মখমল |
আরামকেদারায় মানুষ অভ্যাসর দাস,
বিদ্যুতের সমারোহ স্বাচ্ছন্দ বাস |
হঠাৎ লোডশেডিং শরীর হাঁসফাঁস,
অবিরাম গলদঘর্ম ক্লান্তি হাড়মাস |
নিকষকালো অন্ধকার গিলে খেতে চায়,
বিকল্প বিদ্যুৎ আলোর দাবি মেটায় |
লোডশেডিং এর আগমন বিদ্যুৎ অন্তরালে,
দুর্বিপাকে মানুষ বিদ্যুতে টান পড়লে |
এসির হাওয়া হাপিশ হোলো ভীষণ মনখারাপ,
গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং এ বাড়ে ঘরের তাপ |
চাঁদমামা রাতের বেলা বিকোয় জোছনা,
সূর্যিমামা দিনের বেলা রোদের মূর্ছনা |
ঝড়ের মাতন সময় যাপন লোডশেডিং এর দাপট,
তার ছেঁড়ে পোল ভাঙে হয়না মেরামত |
আলো নিয়ে এগিয়ে থাকে মোম, প্রদীপ লণ্ঠন,
লোডশেডিং ঘুচিয়ে চলে আলোরই বন্টন
অন্ধকারে খুব গরমে মানুষ নাজেহাল,
স্বস্তি দেয় গাছের পাতা বাতাসের ঢল |
রক্ত চোষে মশকশ্রেণী সুযোগ সন্ধানী,
খুব নিরুপায় মানুষ তখন জানেন অন্তর্যামী |
বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি
আব্দুল মান্নান
দলে দলে কাড়াকাড়ি
জনগণের আহাজারি
বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি
বিলে নেই তার ঘাটতি ।
বাসা বাড়ি লোকালয়ে
কষ্টে কাটায় দিনরাতে
অফিস আর ফ্যাক্টরিতে
দিন কাটে হেঁসে খেলে।
তার মাঝে লেগেছে খড়া
পড়েনা কভু বৃষ্টির ফোটা
ঝর্না যেন হৃদয় মাঝে
বইছে আমার শরীর বেয়ে।
ফেলে দেওয়া হাত পাখা
মোমবাতির আলো জ্বালা
খুঁজি তারে ঘরের কোনে
লোডশেডিং ক্ষনে ক্ষনে।
চার্জার ফ্যান কিনতে আমি
চলে গেলাম তারাতাড়ি
মোদের কষ্টে ওদের হাসি
দাম হাঁকাচ্ছে অধিক বেশী।
সুযোগ বুঝে মারছে কোপ
বাঙালিদের এইতো দোষ
সুযোগ সন্ধানী বকের ন্যায়
ফাঁদ পেতে বসে রয়।
যায় আর আসে
এম.আর.মনজু
বিদ্যুৎ যায়রে বিদ্যুৎ আসে
দারুণ শীতের মাঝে
ধুত্থুরি ছাই ভাল্লাগেনা
আমার সকল কাজে।
নেট থাকেনা,লাইট থাকেনা
কেমনে কাটাই ঘরে
এ জ্বালাতে আর বাঁচিনা
লোডশেডিং এ পরে।