গরম হলো বছরের এক বিশেষ ঋতু, যা সাধারণত গ্রীষ্মকালে অনুভূত হয়। এ সময় সূর্যের তাপমাত্রা বেশি থাকে, ফলে বাতাসও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
গরমের দিনে ঘাম বেশি হয়, শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ সময় হালকা খাবার খাওয়া, প্রচুর পানি পান করা এবং সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার জন্য ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা জরুরি। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের এই সময় বেশি সতর্ক থাকতে হয়। গরমের দিনে ফলমূল, বিশেষ করে তরমুজ, শসা ও ডাবের পানি স্বস্তি দেয়। তবে অতিরিক্ত গরম কখনো কখনো হিটস্ট্রোকের কারণও হতে পারে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
গরমের দিনে ঘাম বেশি হয়, শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ সময় হালকা খাবার খাওয়া, প্রচুর পানি পান করা এবং সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার জন্য ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা জরুরি। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের এই সময় বেশি সতর্ক থাকতে হয়। গরমের দিনে ফলমূল, বিশেষ করে তরমুজ, শসা ও ডাবের পানি স্বস্তি দেয়। তবে অতিরিক্ত গরম কখনো কখনো হিটস্ট্রোকের কারণও হতে পারে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
গরম ছন্দ
- স্বপন শর্মা
ডানে গরম
বামে গরম
গরম দেখি সবখানে,
জ্যামে গরম
ফ্যানে গরম
বুঝিনা গরমের মানে|
হাটে গরম
মাঠে গরম
গিন্নির গরম চরমে,
হাড়ি গরম
গাড়ি গরম
কর্তা বুঝে গরম মরমে|
মাথা গরম
কথা গরম
গিন্নি গরম রান্নাঘরে,
হাত গরম
ব্যাগ গরম
কর্তা গরম, গেলে বাজারে|
তেল গরম
জল গরম
কড়াই গরম আগুনে,
দেহ গরম
মাথা গরম
যৌবন গরম ফাগুনে|
চিনি গরম
চায়ে গরম
গরম পুরো সকাল বেলা,
মাঠে গরম
ঘাঠে গরম
কৃষক বুঝেন গরমের ঠেলা।
গিন্নি গরম
কর্তা গরম
তারা গরম, সংসারে ঘানি টেনে,
জোট গরম
দল গরম
সরকার গরম বিরোধীদের শর্ত মেনে।
নিত্য গরম
চিত্ত গরম
সূর্য্যি মামার কারনে,
বায়ু গরম
রাত্রি গরম
হয়না শীতল কারো বারনে।
হাড়ি গরম
খুন্তি গরম
নতুন বউ গরম রান্না ঘরে,
ভাত গরম
ডাল গরম
কর্তা খাবেন কেমন করে।
গরমের গরম ছড়া
- আমানত উল্লাহ সোহান
গরমের বেহাল দশা
ঝরছে গায়ের ঘাম,
আরো গরম হচ্ছেরে ভাই
জিনিস পাতির দাম।
শেয়ার বাজার গরমেতে
চান্দি গরম হয়,
এতো গরম সইবো কেমনে
লাগছে বিষণ ভয়।
গরম গরম লাগছেরে ভাই
ডিজিটালের হাওয়া,
আরো গরম হচ্ছে মানুষ
খেয়ে পুলিশের ধাওয়া।
গরমে ভাল্লাগে না
হুসাইন আহমাদ
এই গরমে ভাল্লাগেনা,
কোনো কাজে মন বসেনা,
সুইলে ঘুম আসেনা,
গেলে কারেণ আর আসেনা;
কি যে করি এই ভাবনা,
ভাবিতে আর পারিনা।
কবিতার সুর মিলেনা,
তবুও ছন্দ কোনা,
কবি তো এই আমি না,
কবিতার ভাব বুঝিনা,
গরমে আর পারিনা।
গরমের ছড়া
টুম্পা মিত্র সরকার
বাইরে গেলে ভুলবে নাকো
সঙ্গে নিতে ছাতা
নরম সুতীর জামা পরো
হয় যেন ফুলহাতা৷
ঠাণ্ডা শীতল পান্তা খেয়ো
শাক-সব্জি-পাতা
অনেকখানি স্বস্তি দেবে
খড়োচালের বাতা৷
ভেবো নাকো জ্ঞান দিচ্ছি
বকছি মিছে যা তা
আর শোনো, হ্যাঁ, পারলে খেয়ো
লস্যি দু-এক হাতা
গ্রীষ্মের সূর্য
জিকরুল ইসলাম
সূর্য মামা গ্রীষ্মকালে
রাগে একটু বেশি
রেগে গিয়ে গরম ছড়ায়
অতিষ্ট দেশবাসী
দাদু ঢাকে টাক মাথাকে
মস্ত ছাতা দিয়ে
বাবা মায়ের ঝগড়া চলে
হাত পাখাটা নিয়ে
খোকন শোনা খেলতে গিয়ে
গায়ে ঝড়ায় ঘাম
সূর্য বলে, কে-রে বাবা
কী তোমার নাম?
আমি হলাম গাঁয়ের ছেলে
চলবে আমার কাজ
আমার কাছে হেরে গিয়েও
নেই কি তোমার লাজ।
গরম গরম
আকাশ গরম বাতাস গরম
গরম দেশের হাওয়া
নদী গরম সাগর গরম
গরম নোনা চাওয়া।
শহর গরম নগর গরম
গরম গাঁও গেরাম
যদু গরম মধু গরম
গরম নিধিরাম।
চক্ষু গরম কর্ণ গরম
গরম ঠোঁটের ভাষা
টিভি গরম বিবি গরম
গরম স্বপ্ন-আশা।
গুরু গরম শিষ্য গরম
গরম অভিভাবক
কলিকালের রাধা গরম
গরম প্রেম-পাবক।
বক্তা গরম তক্তা গরম
গরম তক্তপোশ
পাগল গরম ছাগল গরম
গরম বুনো মোষ।
বাজার গরম মাজার গরম
গরম পীরের জিকির
ধর্মতলার ঠাকুর গরম
গরম মাথা টিকির।
চালক গরম পালক গরম
গরম অফিস-পিয়ন
পূর্ণিমার ঐ চাঁদটি গরম
গরম সানি লিয়ন।
লাঙল গরম নৌকা গরম
গরম কাস্তে ধান
গরম কবে নরম হবে
যায় রে চলে জান!
Ruhul Amin
কি যে গরম!!!
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
কি যে গরম বলতে শরম
লাজ লজ্জাটা ভুলে
চেয়ার পরে ঝুলিয়ে রাখলাম
গায়ের জামা খুলে।
হোক না এটা অফিস পাড়া
জানটা আগে বাঁচাই
তারপরেতে নিয়ম কানুন
করবো এসব যাচাই।
জামা কাপড় ভিজে গেছে
ঝরছে দেহে ঘাম
দেখার পরেও অনেক লোকে
করছে যে বদনাম।
তাদের কথা, হোক না গরম
ভদ্রতা তো আছে?
নিয়ম কানুন ঠিক রাখার পর
জানটা বাঁচাও পাছে।
আরে ভাইরে-- ভদ্র হতে
যায় যদি মোর জান
মরার পরে কি লাভ হবে
ভদ্রতার সন্মান?