ভিটামিন B12, D, C, E এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাব ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ভিটামিন B12:
- B12-এর অভাব মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
- এটি মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে।
ভিটামিন D:
- গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন D-এর অভাবে ঘুমের গুণমান খারাপ হয় এবং ঘুমের সময় কমে যেতে পারে।
- এটি সেরোটোনিন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, যা ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন C:
- এই ভিটামিন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা ভালো ঘুমের জন্য দরকার।
- C ভিটামিনের অভাবে বেশি জাগ্রত থাকা এবং ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
ভিটামিন E:
- এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ভালো ঘুমে সাহায্য করে।
- E ভিটামিনের অভাবে অনিদ্রা বা ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ম্যাগনেসিয়াম:
- এটি GABA (Gamma-Aminobutyric Acid) নামক নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে, যা গভীর ঘুমে সহায়তা করে।
- ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে এবং ঘন ঘন জেগে ওঠার প্রবণতা বাড়তে পারে।
পরামর্শ:
যদি আপনার ঘুম কম হয়, তাহলে খাদ্যাভ্যাসে এসব ভিটামিন ও খনিজ যুক্ত করতে পারেন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
যেসব ভিটামিন বা খনিজের অভাবে অতিরিক্ত ঘুম বা ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে, সেগুলো হলো:
1. আয়রন (Iron)
- আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা) দেখা দেয়, যা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয় এবং ক্লান্তি ও অতিরিক্ত ঘুমের কারণ হতে পারে।
- আয়রনসমৃদ্ধ খাবার: লাল মাংস, পালংশাক, ডাল, বাদাম, ডিম।
2. ভিটামিন B12
- B12-এর অভাবে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত লাগে, ফলে ঘন ঘন ঘুম পেতে পারে।
- B12 পাওয়া যায়: মাছ, মাংস, দুধ, ডিম।
3. ভিটামিন D
- ভিটামিন D-এর ঘাটতি হলে শরীরে শক্তি কমে যায়, ফলে সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব অনুভূত হয়।
- সূর্যালোকে থাকলে এবং ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ খেলে ভিটামিন D পাওয়া যায়।
4. ম্যাগনেসিয়াম
- এটি স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতায় ভূমিকা রাখে। অভাবে দুর্বলতা ও অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে।
- ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার: কাজুবাদাম, পালংশাক, কলা, ডার্ক চকলেট।
5. পটাশিয়াম (Potassium)
- পটাশিয়ামের অভাবে শরীর দুর্বল লাগে এবং ঘুমের প্রতি অতিরিক্ত প্রবণতা দেখা দেয়।
- পটাশিয়াম পাওয়া যায়: কলা, কমলা, আলু, টমেটো।
আপনার যদি অতিরিক্ত ঘুম বা ক্লান্তি অনুভূত হয়, তাহলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া ভালো। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে ঘুমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।