মে দিবস নিয়ে বক্তব্য।মে দিবস নিয়ে ভাষণ

নিচে মে দিবস (International Workers' Day) নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও প্রাঞ্জল ভাষণ (speech) প্রদান করা হলো, যা আপনি স্কুল, কলেজ বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করতে পারেন:

মে দিবস নিয়ে বক্তব্য

সম্মানিত শিক্ষক, সহপাঠী ও শ্রদ্ধেয় অতিথিবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
আজ আমি মহান মে দিবস নিয়ে কয়েকটি কথা বলতে চাই।

মে দিবস, যাকে আমরা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবেও চিনি, প্রতি বছর ১লা মে তারিখে সারা বিশ্বে পালিত হয়। এটি সেই সকল শ্রমিক ভাই-বোনদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যারা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।

১৮৮৬ সালের ১লা মে, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে হাজার হাজার শ্রমিক কাজের সময় সীমা ৮ ঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলন দমন করতে গিয়ে বহু শ্রমিক আহত হন, অনেকেই প্রাণ হারান। তাঁদের সেই আত্মত্যাগই আজকের মে দিবসের ভিত্তি।


মে দিবস আমাদের শেখায়—শ্রমিক মানেই কেবল শ্রমের যন্ত্র নয়, তাঁরা মানবাধিকার, সম্মান এবং মর্যাদার দাবিদার। আজও আমাদের সমাজে অনেক শ্রমিক তাদের ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাই আমাদের দায়িত্ব এই দিনটির আদর্শকে বাস্তব রূপ দেওয়া—শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা।

আমরা সবাই যদি শ্রমিকদের সম্মান করি, তাঁদের পাশে দাঁড়াই, তাহলেই এই দিবসের তাৎপর্য পূর্ণতা পাবে।

শেষে একটি কথা বলি—

“শ্রমিকের ঘামে গড়ে ওঠে সভ্যতা, তাই শ্রমিকের সম্মান মানেই আমাদের মানবিকতা।”

ধন্যবাদ সবাইকে।

মে দিবস নিয়ে ভাষণ

মে দিবস নিয়ে ভাষণ
বিষয়: মে দিবস — শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার প্রতীক

সন্মানিত সভাপতি, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ, প্রিয় সহপাঠী এবং উপস্থিত সকল শ্রোতাগণ,
আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

আজকের এই বিশেষ দিনে আমি আপনাদের সামনে কিছু কথা বলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আজ ১লা মে—বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মে দিবস, যা আমাদের কাছে পরিচিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে।

এই দিনটি শুধু একটি তারিখ নয়—এটি একটি আন্দোলনের প্রতীক, একটি আত্মত্যাগের স্মারক, এবং সর্বোপরি, এটি শ্রমিক শ্রেণির অধিকার ও সম্মানের প্রতিনিধিত্ব করে।

আমরা জানি, ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার শিকাগো শহরে হাজার হাজার শ্রমিক ৮ ঘণ্টা কর্মঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিলেন। কিন্তু এই ন্যায্য দাবি দমন করতে গিয়ে ঘটে যায় নির্মম হত্যাকাণ্ড। অনেক শ্রমিক শহীদ হন, আহত হন অসংখ্য মানুষ। সেই আত্মত্যাগই পরবর্তীতে মে দিবসকে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে দেয়।

বন্ধুগণ,
আমাদের সমাজে আজও লাখ লাখ শ্রমিক প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে দেশ ও জাতির অগ্রগতিতে অবদান রাখছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনো অনেক শ্রমিক তাদের প্রাপ্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, চিকিৎসা ও সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। এটা শুধু একটি অর্থনৈতিক সমস্যা নয়—এটি একটি মানবিক সমস্যা।

তাই মে দিবস আমাদের একটি শিক্ষা দেয়—
"শ্রমিক শুধু শ্রমের উৎস নয়, তিনি একজন মানুষ—তাঁরও অধিকার আছে, মর্যাদা আছে, স্বপ্ন আছে।"

আমরা যদি সমাজে ন্যায্যতা, মানবতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তবে আমাদের অবশ্যই শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে, তাদের কণ্ঠকে মূল্য দিতে হবে।

আমরা যারা পড়ালেখা করছি, ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দিচ্ছি, আমাদের দায়িত্ব হলো এই দিনটির আদর্শকে ধারণ করা এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায় ও মানবতার পক্ষে কাজ করা।

শেষ করার আগে একটি উক্তি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি—
"শ্রমিকের ঘামে গড়ে ওঠে সভ্যতা, শ্রমিকের হাসিতে ফুটে উঠে উন্নয়নের অগ্রগতি।"

আসুন, মে দিবসের চেতনাকে ধারণ করে আমরা সবাই মিলে একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলি।

ধন্যবাদ সবাইকে।
জয় হোক শ্রমের, জয় হোক মানবতার।

Post a Comment