একটি কলমের আত্মকথা
আমি একটি কলম। দেখতে খুব সাধারণ হলেও আমার অন্তরে লুকিয়ে আছে অগণিত গল্প, অনুভূতি আর ইতিহাস। আমি মানুষকে জ্ঞান দিতে সাহায্য করি, ভালোবাসা প্রকাশ করতে সহায়তা করি, আবার কখনো কখনো আমি বিপ্লবের হাতিয়ারও হয়ে উঠি। আজ আমি আমার নিজের গল্প শোনাতে এসেছি—একটি কলমের আত্মকথা।
আমার জন্ম হয়েছিল এক কারখানায়। অসংখ্য যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে আমার শরীর গড়ে উঠেছিল। প্লাস্টিকের দেহ, ধাতব ক্লিপ, কালির রিফিল—সব কিছু নিখুঁতভাবে জুড়ে আমাকে প্রস্তুত করা হয়েছিল লেখার জন্য। তারপর এক দোকানে এসে আমি সারি সারি কলমের ভিড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম, কার হাতে পড়ব তা জানি না, কিন্তু আশা করছিলাম একজন যত্নশীল মানুষের সঙ্গ পাব।
একদিন এক স্কুলছাত্র আমাকে কিনে নিয়ে গেল। ছেলেটির নাম ছিল অনিক। প্রথম দিন থেকেই সে আমাকে খুব ভালোবাসত। আমি তার হাতে হাতেই লিখতে শুরু করলাম—কখনো অঙ্ক, কখনো বাংলা রচনা, আবার কখনো পরীক্ষার খাতা। আমি অনিকের মনের ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করতাম, তার ভাবনাগুলো কাগজে ফুটিয়ে তুলতাম। ওর প্রতিটি সাফল্যে আমি যেন গর্বিত হই। বিশেষ করে যেদিন সে আমার সাহায্যে একটি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিল, সেদিনের আনন্দ আমার এখনও মনে পড়ে।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি পুরনো হয়ে যেতে থাকলাম। আমার কালির মাত্রা কমে আসছিল, লেখার গতি ধীর হয়ে যাচ্ছিল। একদিন অনিক আমাকে আর ব্যবহার করল না। আমাকে পড়ে থাকতে হলো ডেস্কের এক কোনায়, ধুলোমাখা একটা বাক্সে। সেখানে আমার মতো আরও অনেক কলম পড়ে ছিল—কেউ ভাঙা, কেউ শুকিয়ে গেছে। তখন আমার মন খারাপ হয়ে গেল। ভাবলাম, এটাই কি তবে আমার শেষ?
হঠাৎ একদিন অনিকের ছোট বোন আমাকে খুঁজে পেয়ে নতুন করে কালির রিফিল ভরে দিল। আবার নতুন প্রাণ ফিরে পেলাম আমি। এবার আমি তার হাতে লেখতে শুরু করলাম। ছোট ছোট গল্প, কবিতা, আর রঙিন খেয়াল—সবকিছুতে আমি আবার ব্যস্ত হয়ে উঠলাম। তখন বুঝলাম, একটি কলমের জীবন শুধু লেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি মনের কথা বলার একটি মাধ্যমও।
আজ আমি জানি, আমার ভূমিকা ছোট হলেও অমূল্য। আমি হয়তো একজন লেখক, একজন ছাত্র বা একজন স্বপ্নদর্শীর হাতিয়ার মাত্র, কিন্তু আমার মধ্য দিয়েই ইতিহাস লেখা হয়, ভালোবাসা জানানো হয়, প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। আমি কলম—নীরব হলেও শক্তিশালী।
এটাই ছিল আমার গল্প। আমি গর্বিত, কারণ আমি জ্ঞান ও ভাবনার ধারক। যতদিন কেউ আমাকে হাতে তুলে নেবে, ততদিন আমি কথা বলে যাব, লিখে যাব মানুষের মনের গভীর কথাগুলো।
একটি কলমের আত্মকথা
(৩০০ শব্দে)
আমি একটি সাধারণ বলপেন। বাইরে থেকে আমাকে দেখতে সাদামাটা হলেও আমার ভেতরে লুকিয়ে আছে অনেক গল্প, অনেক অনুভূতি। আজ আমি আমার জীবনের কথা বলব—একটি কলমের আত্মকথা।
আমার জন্ম হয়েছিল একটি কলম প্রস্তুতকারক কারখানায়। অনেক যন্ত্রের মাঝে তৈরি হয়েছিল আমার দেহ—পাতলা প্লাস্টিক, কালির রিফিল, আর একফালি ঢাকনা নিয়ে আমি প্রস্তুত ছিলাম পৃথিবী দেখার জন্য। কিছুদিন পর এক ছোট দোকানে আমি এসে পৌঁছাই, সারি সারি কলমের ভিড়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি।
একদিন এক স্কুলছাত্র আমাকে কিনে নিয়ে গেল। সে আমাকে খুব যত্ন করত। প্রতিদিন আমি তার খাতা ভর্তি করতাম—অঙ্কের হিসাব, বাংলা রচনা, ইংরেজি বাক্যরচনার কাজ। পরীক্ষার খাতায় আমি তার বন্ধু হই, ভুল হলে সংশোধন করি, আবার সাফল্যে তার গর্বের সাথী হই।
একদিন আমি ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে থাকি। কালির অভাবে আমার লেখা স্পষ্ট হয় না। সেই ছাত্র আমাকে আর ব্যবহার করে না। আমি পড়ে থাকি ডেস্কের এক কোণায়, ধুলোর নিচে। তখন ভেবেছিলাম, এটাই বুঝি আমার শেষ।
কিন্তু হঠাৎ একদিন তার ছোট বোন আমাকে খুঁজে পেয়ে নতুন রিফিল ভরে দিল। আমি আবার প্রাণ ফিরে পেলাম, আবার নতুন করে লিখতে শুরু করলাম—এইবার গল্প, কবিতা আর রঙিন কল্পনার জগৎ।
আজ আমি গর্বিত। কারণ আমি শুধু একটি বস্তু নই—আমি একজন চিন্তাশীল মানুষের হাতিয়ার। আমি ইতিহাসের অংশ, ভালোবাসার বাহক, স্বপ্নের রচয়িতা। আমি একটি কলম—নীরব, কিন্তু শক্তিশালী।