নিশি রাতে...
নিশি রাতে বৃষ্টি হাতে
তোমার কথা ভাবছি,
আকাশ ভরা রাতের তারায়
তোমায় আমি খুঁজছি।
আছো তুমি অনেক দূরে
ভুলে গেছো বলো,
পারি নি তোমায় ভুলতে আমি
কেন এমন হলো?
রাতের প্রেম কবিতা
চাদের বুকে মেঘের বাসরজোনাক আলোর গা্লিচা,
গো্লাপ ঘ্রানে নব জীবনে
ভাসছে সুখের বার্তা।
সন্ধ্যা প্রদীপ হয়নি জালা
তবুও এত আলো্,
প্রেমের ছোয়ায় আধার গলে
দ্রুতিময় তারায় ভরে গে্ল।
আবেগী মনের ফুলদনীতে
যতনে রাখা গুচ্ছ মায়া,
সব সাজানো মন ঘরে আজ
চাইছে কল্পনার পূর্নতা ।
এ সময় হয়ে থাক সৃতিতে
মুগ্ধ রাতের প্রেম কবিতা,
মায়ার বাধনে জড়িয়ে
ভালো থাক ভালোবাসা।
গভীর রাতে প্রিয়া
আসবে তুমি আমার প্রিয়ানির্জন গভীর রাতে,
একলা বসি কুঞ্জ বনে
তোমার প্রেমের সাথে।
তোমার প্রাণে রয়েছি বসে
গভীর অন্ধকারে,
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকের সুরে
মন মেলেছে এই প্রহরে।
জোনাকি ঘুরে আমার পাশে
বলছে কানে কানে,
রাতের আলো নাইবা থাকুক
দেখাবো পথ প্রিয়ার পানে।
আসবে যখন তোমার প্রিয়া
জ্বালবো আমার আলো,
সকল মিলে সাজিয়ে রব
পথের আলো ভরবে ভালো।
গোলাপ বলে সোহাগ করে
হোক না গভীর রাত,
তোমার প্রিয়া আসবে যখন
আমায় দিও তাহার হাত।
আমার ফোটা সকাল হলে
ব্যস্ত হয়ো না তুমি,
জোনাক আলোয় মেলে দেবো
আমার সকল পাপড়ি।
রয়েছি ফুটে তোমার তটে
আজি তো অমাবস্যা,
রজনীগন্ধা আমি তোমার
সাজিয়ে নিও সুখ শয্যা।
পরিয়ে দিও আমার মালা
যখন করবে আলিঙ্গন,
থাকবো পাশে মিলন মাঝে
দেখবো সবাই সুদর্শন।
কেবল বুকের দুকুল ভেঙ্গেছ নারী
কেবলই বুকের দুকুল ভেঙ্গেছ নারী??তোমার জন্যতো আমার চারিধারই তৈরি ছিল।
প্রতিদিন চাদঁটা তোমার জন্য হাজির করতাম।
আর তুমি কিনা এক ফালি জোছনাতেই খুশি।
কতদিন তোমার অপেক্ষায় আছি।
তোমায় বিষের বীণে আমার হৃদয় ফালি ফালি হবে
আর তুমি কিনা কোলে তুলে নিলে??
কেবল হৃদয় নিয়েছ নারী??
আমি তো তোমার জন্য জীবন রেখেছি বাজী।
তুমি চাইলে স্বর্গের সুখ, পাতালের সুর,
বির্সজন দিতে পারি।।
তুমি কেবলই স্বর্গ দিলে যদি
আমি তোমার সাথে নরকের হতে পারি সাথি।
এরপর বেলা শেষে চৈত্রের ঘ্রাণ
আমি আকণ্ঠ তৃষিত চিরকাল, তোমার জন্য একাল, সেকাল
একটু সুখই চেয়েছি কেবল, তাও দিতে পারনি??
আমার জীবন, স্বর্গ নরক সবই তোমাকে দিলাম
এক মুঠো সুখ খুব বেশি দাবি ছিল কি বলো একবার??
হে অন্তপ্রান
বিষবাষ্প আছে কি? হৃদয় গহিন তলে,বাজে কি বিষের বাঁশি? লাগে কি টান সিনায় সিনায়??
প্রখর চৈত্রের শেষে, বৃষ্টির ঘ্রাণে
উন্মাতাল হতো যে চাতকের চোখ
আজ তার কেবলই শূন্য দৃষ্টি।
বদলে যায়, থেমে যায় হৃদয়ের সব কলতান।
উড়ন্ত বলাকার দুরন্ত ডানায়
উঠত যে ঝড়, আপ্রাণ আগ্রহ বিশ্ব দেখার
আছে কি আজ সেই তৃষ্ণা??
তবে কি ধেয়ে আসছে? নেমে আসছে??
সবই কি তবে কেন্দ্রের প্রতি ধাবমান?
পার কি কিছু শুধাতে হে অন্তপ্রান?
গুটি গুটি পায়ে ছুটে চলে অভিসারে
উল্টে দেয়া, হৃদয়ের বেলা ভূমি
উর্বর হয়ে উঠে, নোনতা ফলের চাষে,
কিন্তু তাও থেকে যায় অনাবাদি,
আবার কখনো হয় আবাদ
এ মন বড়ই উচাটন, বার বার চায় বার বার
রসদ ফুরালো জড়ালো জীবন
বেলা শেষে ক্লান্ত সবাই, একে একে নীড়ে পানে
তুমি ও কি আছ সেই দলে??
জীবনের পথে, জীবনের রথে, সদা চলমান।
তোমরা তারে বল প্রেম
প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ দান
আর আমি চলি উল্টো পথে উল্টো রথে
আমার অন্ধ আঁখি, সবই হৃদয়ের অনুধাবন
আমি বলি, এ প্রেম নয়, দান নয়, মহা প্রয়াণ।।
প্রেমহীন ভালবাসা
প্রেমহীন ভালবাসা সুখের আশ্বাসে
দীর্ঘ সংগমে রাত্রি জাগরণ শেষে
ক্লান্ত আঁখি খুঁজে ফেরে আবারও সুখের প্রদীপ
হৃদয়ে প্রেম নেই শুধুই ভালবাসা,
ক্ষণিকের জ্বালা-দ্বীপ।
প্রেম হীন দীর্ঘ রজনি চাই না,
চাই না চোখ ধাঁধানো আলোর ঝিলিক
স্বচ্ছ স্রোতস্বিনী জলের ন্যায় অবগাহনের জল চাই,
হোক নিভু নিভু ছোট্ট প্রেমের প্রদীপ
হোক না কয়েক পলক হোক কিছু সময়
তবুও প্রেম থাকুক বেঁচে
লোম ক‚পে ছুঁয়ে যাওয়া ছোট্ট প্রহর
এতটুকুই চাই, শুধু সুখকে যেচে।।
কৈশোরের ভালোবাসা
জীবনের মধ্যাহ্নে এসে যখন ভাবি বসে একাস্মৃতির অতলান্ত হতে ভেসে আসে পুরনো দিনের কথা।
কত শত শৈশবের স্মৃতি নিয়ে কাটানো মধুর বেলা
হারিয়ে গেছে কত আজ সময় স্রোতে
বর্তমান হয়ে গেছে যা অতীতের হাতে
হৃদয় বিদ্ধ হয় শৈশবের পুরনো স্মৃতির তীরে
ইচ্ছে করে যেতে আবার শৈশবের পথে ফিরে|
এ ফেরা হবেনা অনন্তকাল
তবুও মনের মাঝে রয়ে যাবে এই ফেরার বাসনা চিরকাল।
নিঝুম রাতের স্মৃতি
নিঝুম রাতে নদীর তীরে বসে-
একমুঠো জোনাকির আলো নিয়ে,
আকাশের উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো
তোমাকে রাঙিয়ে দিতে চাই।
নদীর তরঙ্গ গুলো
ভালোবাসার সুর বয়ে এনে-
তোমার পায়ের নূপুরটিকে বাজিয়ে
আবার ফিরে যায় প্রকৃতির বুকে।
প্রেমের শব্দ গুলোকে নিয়ে দুজনে
ভেসে যাই কবিতার ভেলায়।
নিশীথের স্নিগ্ধ বাতাসে,
যখন তোমার চুল গুলো এলোমেলো হয়ে যায়-
তখন আমি তোমার মধ্যে খুঁজে পাই
কবির সেই বনলতা সেন কে!
তোমার শরীরের প্রেমের উষ্ণতা
আমার হৃদয়ে এঁকে দেয়
এক উজ্জ্বল রামধনুর চিত্র।
সেই নিঝুম রাতের স্মৃতি
আজও আমায় গভীর রাতে
নিয়ে যায় নদীর তীরে,
ভালোবাসার গল্প শোনাতে!