কুরআনের ১১৪ টি সূরার নাম অর্থসহ

পবিত্র কুরআন ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। এটি আরবি ভাষায় নাজিল হয় এবং ২৩ বছরে ধাপে ধাপে পূর্ণতা লাভ করে। কুরআন মোট ৩০টি পারা ও ১১৪টি সূরা নিয়ে গঠিত, যার প্রতিটি সূরাই মানবজাতির হেদায়েত, নীতিবোধ ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করে।

কুরআনে আল্লাহর একত্ব, নবুয়ত, হালাল-হারাম, ন্যায়বিচার, করুণা, ধৈর্য, পরিবার, সমাজ, অর্থনীতি এবং পরকাল সম্পর্কে বিস্তৃত নির্দেশনা রয়েছে। এটি শুধু ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা।

মুসলমানদের বিশ্বাস, কুরআন আল্লাহর কালাম এবং এটি বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। এটি তিলাওয়াত করা, মুখস্থ রাখা এবং এর আলোকে জীবন গঠন করা ইবাদত ও কল্যাণের পথ। কুরআন হৃদয়ে ধারণ করা একজন মুমিনের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য।


অতএব, কুরআন শুধুমাত্র পাঠের জন্য নয়, বরং বোঝা, উপলব্ধি ও জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সত্যিকার সফলতা অর্জন সম্ভব।

কুরআনের ১১৪ টি সূরার নাম অর্থসহ :

০১) সুরা ফাতিহা – সূচনা।
০২) সুরা বাক্বারাহ – গাভী।
০৩) সুরা ইমরান – ইমরানের পরিবার।
০৪) সুরা নিসা –  নারী জাতি।
০৫) সুরা মায়িদাহ –খাদ্য সাজানো টেবিল।
০৬) সুরা আন’আম – গৃহপালিত পশু।
০৭) সুরা আ’রাফ – উচ্চস্থানসমূহ।
০৮) সুরা আনফাল – যুদ্ধলব্ধ ধনসম্পদ।
০৯) সুরা তাওবা – অনুশোচনা।
১০) সুরা ইউনূস – হযরত ইউনুস (আঃ)।
১১) সুরা হুদ – হযরত হুদ (আঃ)।
১২) সুরা ইউসুফ – হযরত ইউসুফ (আঃ)।
১৩) সুরা রা’দ – বজ্রপাত।
১৪) সুরা ইব্রাহীম – ইবরাহীম (আঃ)।
১৫: সুরা হিজর – অর্থ =পাথরের পাহাড়।
১৬) সুরা নাহল – মৌমাছি।
১৭) বনী ইসরাইল –ইসরাইলের বংশধর
১৮) সুরা কাহফ – গুহা।
১৯) সুরা মারইয়াম – ঈসা (আঃ) মাতা
২০) সুরা ত্ব-হা – দুটি আরবি হরফ।
২১) সুরা আম্বিয়া – নবীগণ।
২২) সুরা হাজ্জ – মহাসম্মেলন।
২৩) সুরা মু’মিনুন – অর্থ বিশ্বাসীগণ।
২৪) সুরা নূর – জ্যোতি।
২৫) সুরা ফুরক্বান – পার্থক্যকারী।
২৬) সুরা শু’আরা – কবিগণ।
২৭) সুরা নামল – পিপীলিকা।
২৮) সুরা ক্বাসাস – কাহিনী।
২৯) সুরা আনকাবূত – মাকড়সা।
৩০) সুরা রূম – রোমান জাতি।
৩১) সুরা লুকমান – একজন প্রজ্ঞাবান 
        অলীর নাম।
৩২) সুরা সাজদাহ – সিজদা।
৩৩) সুরা আহযাব – সংযুক্ত শক্তিসমূহ।
৩৪) সুরা সাবা – একটি নগরের নাম।
৩৫) সুরা ফাতির – আদিস্রষ্টা।
৩৬) সুরা ইয়াসিন – ইয়াসিন।
৩৭) সুরা সাফ্ফাত – সারিবদ্ধভাবে 
       দাঁড়ানো।
৩৮) সুরা সোয়াদ – একটি আরবি হরফ।
৩৯) সুরা যুমার – দলবদ্ধ জনতা।
৪০) সুরা মুমিন – বিশ্বাসী।
৪১) সুরা ফুসসিলাত -- সুস্পষ্টবিবরণ।
৪২) সুরা শূরা – পরামর্শ।
৪৩) সুরা যুখরূফ – স্বর্ণালংকার।
৪৪) সুরা দুখান – ধোঁয়া।
৪৫) সুরা জাছিয়াহ --- নতজানু।
৪৬) সুরা আহক্বাফ – বালুর পাহাড়।
৪৭) সুরা মুহাম্মদ – সর্বশেষ নবী ও   
        রসূলের নাম।
৪৮) সুরা ফাত্হ – বিজয়।
৪৯) সুরা হুজুরাত – বাসগৃহসমূহ।
৫০) সুরা ক্বাফ – একটি আরবি হরফ।
৫১) সুরা যারিয়াত – বিক্ষেপকারী।
৫২) সুরা তূর – তুর পর্বত।
৫৩) সুরা নাজম – তারকা।
৫৪) সুরা ক্বামার – চাঁদ।
৫৫) সুরা আর-রাহমান –পরম করুণাময়।
৫৬) সুরা ওয়াক্বিয়া – নিশ্চিত ঘটনা।
৫৭) সুরা হাদীদ – লোহা।
৫৮) মুজাদিলাহ – অনুযোগকারী নারী।
৫৯) সুরা হাশর – মহাসমাবেশ।
৬০) মুমতাহিনা –পরীক্ষাসাপেক্ষ নারী।
৬১) সুরা সাফ – সারিবদ্ধ সৈন্যদল।
৬২) সুরা জুমুআহ – সম্মেলন।
৬৩) সুরা মুনাফিকুন – কপট বিস্বাসীগন।
৬৪) সুরা তাগাবুন – মহা বিজয়।
৬৫) সুরা তালাক – বিচ্ছেদ।
৬৬) সুরা তাহরীম – নিষিদ্ধ করন।
৬৭) সুরা মূলক – সার্বভৌম কর্তৃত্ব।
৬৮) সুরা ক্বালাম – কলম।
৬৯) সুরা হাক্ক্বাহ – নিশ্চিত সত্য।
৭০) সুরা মা’আরিজ –উন্নয়নের সোপান।
৭১) সুরা নূহ – হযরত নুহ (আঃ)।
৭২) সুরা জ্বিন – জ্বিনজাতি।
৭৩) সুরা মুয্যাম্মিল –কম্বল আবৃত নবী।
৭৪) সুরা মুদ্দাসসির – চাদর আবৃত নবী।
৭৫) সুরা ক্বিয়ামাহ – পুনরুত্থান।
৭৬) সুরা দাহর – মানবজাতি।
৭৭) সুরা মুরসালাত – পুরুষগণ।
৭৮) সুরা নাবা – অর্থ =মহা সংবাদ।
৭৯) সুরা নাযিয়াত – প্রচেষ্টাকারী।
৮০) সুরা আবাসা – তিনি ভ্রুকুটি করলেন।
৮১) সুরা তাকবীর – অন্ধকারাচ্ছন্ন।
৮২) সুরা ইনফিত্বার – বিদীর্ণ করণ।
৮৩) সুরা মুতাফ্ফিফীন – প্রবঞ্চনা করা।
৮৪) সুরা ইনশিক্বাক্ব – চূর্ণবিচূর্ণ করণ।
৮৫) সুরা বুরূজ – নক্ষত্রপুঞ্জ।
৮৬) সুরা ত্বারিক্ব – রাতের আগন্তুক।
৮৭) সিরা আ’লা – সর্বোউপরে।
৮৮) সুরা গ্বাশিয়াহ্ – বিহ্বলকারী ঘটনা।
৮৯) সুরা ফাজর – ভোরবেলা।
৯০) সুরা বালাদ – নগর।
৯১) সুরা শামস – সূর্য।
৯২) সুরা লাইল – রাত্রি।
৯৩) সুরা দ্বোহা – স্বস্থের সময়।
৯৪) সুরা ইনশিরাহ – বক্ষ প্রশস্তকরণ।
৯৫) সুরা তীন – ডুমুর জাতীয় ফল।
৯৬) সুরা আলাক – রক্তপিণ্ড।
৯৭) সুরা ক্বদর – মহিমান্বিত।
৯৮) সুরা বাইয়্যিনাহ – সুস্পষ্ট প্রমাণ।
৯৯) সুরা যিলযাল – ভূমি কম্পন।
১০০) সুরা আদিয়াত – অভিজান কারী।
১০১) সুরা ক্বারি’আহ – মহা সংকট।
১০২) তাকাছুর – প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা।
১০৩) সুরা ‘আসর – সময়/যুগ।
১০৪) হুমাযাহ – পরনিন্দাকারী।
১০৫) সুরা ফীল – হাতি।
১০৬) সুরা ক্বুরাইশ – একটি গোত্রের নাম।
১০৭) সুরা মা’ঊন – সহযোগিতা।
১০৮) সুরা কাওসার – প্রাচুর্য।
১০৯) সুরা কাফিরূন – অবিশ্বাসী গোষ্ঠী।
১১০) সুরা নাসর – স্বর্গীয় সাহায্য।
১১১) সুরা লাহাব – জ্বলন্ত অঙ্গার।
১১২) সুরা ইখলাস – একত্ব।
১১৩) সুরা ফালাক্ব – নিশিভোর।
১১৪) সুরা  নাস – মানুষ জাতি।

Post a Comment